ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ| “ঈদে মীলাদুন্নবী” বলতে হুজুর পাক (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করা, তাঁর সানা- সিফাত আলোচনা করা, তাঁর প্রতি সালাত সালাম পাঠ করা, এবং তাঁর পবিত্রতম জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনাকে বুঝানো হয় ! সুবহানাল্লাহ!
কুরআন ও হাদিসের কোথাও মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) পালনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
اذكروا نعمة الله عليكم
তোমাদেরকে আল্লাহর যে নিয়ামত দেয়া হয়েছেতা তোমরা স্মরণ করো! (৩: ১০৩)
কুরআনে বা হাদিসে জন্মদিন পালন নিষেধ করা হয়নি। হাদিসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আসছে। আল্লাহ তালা ঘোষণা করেন>
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (২১: ১০৭)
কুরআনের আলোকে বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্মদিন আল্লাহর কাছে অতীব গুরত্বপুর্ণ যেমনঃ হযরত ইয়াহিয়া (আলাইহিস সালাম) ও হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) তাঁরা ছিলেন তাঁদের নিজস্ব কওমের জন্য আর আমাদের নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) হলেন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য। আর তাই ঈদে মিলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) মুমিনের জন্যে সবচে বড় ঈদ! কেবলমাত্র নবীদুশমনরা এই দিনে জ্বলে পুড়ে মরে যেমন জ্বলে পুড়ে মরে শয়তান। আবু লাহাব যদি ভাতিজা হিসেবে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্মে আনন্দ প্রকাশ করে সাময়িকের মুক্তি পেতে পারে, মুমিন হিসেবে আমরা নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্মে আনন্দ উৎসব করে অবশ্যই চিরস্থায়ী মুক্তি পেতে পারি।