ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বিস্তৃতভাবে,ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী  (ﷺ) এর অর্থ (Meaning) :
– “ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা |”
– “মিলাদ অর্থ জন্মবৃত্তান্ত”
– “আন-নবী মানে আমাদের নবী  (ﷺ)”
“মীলাদের” তিনটি সাদৃশ্যপূর্ণ আরবি শব্দ রয়েছে –
১) ميلاد মীলাদ, ২) مولد মাওলিদ, ৩) مولود মাওলূদ |
আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে,
ميلاد النبي বা ” মীলাদুন্নবী” বলতে রাসূল পাক (ﷺ) উনার বিলাদত শরীফকেই বুঝায় |
আর পারিভাষিক বা ব্যাবহারিক অর্থে,
মীলাদুন্নবী বলতে হুজুর পাক (ﷺ) উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-সিফাত আলোচনা করা, উনার প্রতি দুরুদ-সালাত-সালাম পাঠ করা, এবং উনার পবিত্রতম জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনা বুঝানো হয় !

এক নজরে, মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কিত বিষয়ভিত্তিক কিছু আয়াত :

  • আল-ইমরান ৮১, ১৬৪
  • আল-আম্বিয়া ১০৭
  • সূরা আহযাব ৫৬ (দুরুদ পড়ার হুকুম)
  • আল-মায়েদা ১৫, ২০ (মূসা আ. এর মিলাদ)
  • সূরা তওবা ৩৩, ১২৮
  • সূরা সাফ ৬,৮
  • জুমুয়া ২
  • বালাদ ১-২
  • আল-ইব্রাহীম ৫ (মূসা আ. এর মিলাদ), ২৮ (বুখারী শরীফে শানে নুযুল), ৩৪
  • সূরা নাহল ৮৩
  • আল-ইনশিরাহ ১-৪
  • ক্বাফ ২
  • আনফাল ৩৩
  • আদ-দ্বোহা ১১
  • আল-আরাফ ১৫৭
  • সূরা হিজর ১৭২
  • সূরা ফাতহ ৮,৯, ২৮
  • আন-নিসা ৫৯, ১৬৪, ১৭৫

আল-কুরআন ও জগৎবিখ্যাত তফসীরের আলোকে :

সর্বজন সমাদৃত বিখ্যাত তফসীরগ্রন্থ গুলো থেকে আয়াতের ব্যাখ্যা সংযুক্ত করা হল।
আয়াত ১ 

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا
অর্থ : আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশতী) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন | খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !”
(সূরা মায়িদা ১১৪)

ব্যখ্যা :

উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ?

হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন | এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয়, তাহলে যার উসীলায় জগৎ সৃষ্টি, যিনি সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি’মাতুল কুবরা হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন কি আনন্দ বা ঈদ হতে পারে না? খুশি করা যাবে না ?

অবশ্যই হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন ইমানদারদের জন্য খুশির দিন আর শয়তানের কান্নার দিন।

আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ করার হুকুম :

আয়াত ১ :
আল্লাহ পাক বলেন, اذكروا نعمة الله عليكم
অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !” (সূরা আল ইমরান ১০৩)
আয়াত ২ :
وأما بنعمة ربك فحدت 
অর্থ : আপনার রবের নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। (সূরা আদ্ব দ্বুহা ১১)
দুনিয়ার আল্লাহর নিয়ামতের শেষ নেই কিন্তু রাসূল (ﷺ) শ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
হাদিসে আছে, হযরত মুহম্মদ (ﷺ) হলেন, আল্লাহ পাকের নিয়ামত!” (বুখারী শরীফ ১/২২১)

নিয়ামত পূর্ন দিন সমূহ স্বরন করার হুকুম :

আল্লাহ পাক বলেন, 

وذكرهم بايام الله ان في ذلك لايات لكل صبار شكور

অর্থ : আল্লাহ পাকের বিশেষ দিন সমূহ স্বরন করুন ! নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল শোকর গুযার বান্দাদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে !” (সূরা ইব্রাহীম ৫)

রাসূল (ﷺ) কেমন নিয়ামত?

আল্লাহ পাক বলেন,  وماارسلناك الا رحمة للعالمين
অর্থ : [হে হাবীব (ﷺ)] ! আমি আপনাকে সমস্ত কায়িনাতের জন্য রহমত হিসাবে পাঠিয়েছি !”‘ (সূরা আম্বিয়া ১০৭)

রাসূল (ﷺ) কে নিয়ামত হিসেবে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করা কেমন? 

[ইউনূস ৫৮] : 
আয়াত :
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
قال بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خيرمما يجمعون
অর্থ : [হে হাবীব (ﷺ)] ! আপনি উম্মাহকে বলে দিন , মহান আল্লাহ পাক যে “অনুগ্রহ ও রহমত” প্রেরন করেছেন , সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে | এ খুশি প্রকাশ করাটা তারা যা সঞ্চয় করে রাখে , সমুদয় সঞ্চয় অপেক্ষা সবচাইতে উত্তম !” (সূরা ইউনূছ ৫৮)


[ইউনূস ৫৮] তফসীর ১ :

ইমাম ইবনুল জাওযী (রহঃ) নিজ ‘তাফসীর’গ্রন্থে সূরা ইউনূসের উক্ত ৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “আদ্ দাহাক হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এই আয়াতে 
– ‘ফযল’ বলতে জ্ঞান (আল-কুরআন ও তাওহীদ) কে বুঝিয়েছে; 
– আর ‘রহমত’ বলতে মহানবী (ﷺ) কে বুঝানো হয়েছে।” 
[ইবনে জাওযী কৃত ‘যা’দ আল-মাসীর ফী এলম আত তাফসীর’, ৪:৪০ সূরা ইউনূস ৫৮]

[ইউনূস ৫৮] তফসীর ২ :

ইমাম আবু হাইয়ান আন্দালুসী (রহঃ) এ সম্পর্কে বলেন, “ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।” 
[তাফসীর আল-বাহর আল-মুহীত, ৫:১৭১]

[ইউনূস ৫৮] তফসীর ৩ :


দুই লক্ষ হাদিসের হাফিজ ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) তার ব্যাখ্যায় বর্ননা করেন,
عن ابن عباس رضي الله تعال عنهما قال في الاية فضل الله العلم و رحمته محمد صلي الله عليه و سلم قال الله تعالي وما ارسلناك الا رحمة للعلمين
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, উক্ত আয়াত দ্বারা এখানে আল্লাহ পাকের “[অনুগ্রহ বলতে ইলম]” আর “[রহমত দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওনাকে] বুঝানো হয়েছে। 
যেমন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, 
আমি তো আপনাকে তামাম জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি (আম্বিয়া ১০৭)|”
[ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতীঃ তফসীরে দূররুল মনসুর – সূরা ইউনূছ ৫৮ এর ব্যাখ্যা]

[ইউনূস ৫৮] তফসীর ৪ :


ইমাম আল্লামা আলূসী বাগদাদী (রহঃ) ব্যাখ্যা করেন  যে, এমন কি ‘ফযল’ (অনুগ্রহ) বলতেও হযূর পাক (ﷺ)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যেমনিভাবে বর্ণিত হয়েছে, 
– ইমাম আল-খতীব বাগদাদী (রহঃ) ও 
– ইমাম ইবনে আসাকির (রহঃ)
থেকে যে আয়াতোক্ত ‘ফযল’ হলেন মহানবী (ﷺ)। [আলূসী রচিত রূহুল মাআনী, ১১:১৪১]

জুমু’আহ্, ৪ : আয়াত :

”এটি আল্লাহর অনুগ্রহ; যাকে চান দান করেন; এবং আল্লাহ বড় অনুগ্রহশীল।” (সূরা জুমু’আহ্, ৪ আয়াত)

জুমু’আহ্, ৪ : তাফসীর :

আয়াতের শেষাংশে ‘আল্লাহ বড় (অশেষ) অনুগ্রহশীল’ বাক্যটিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ব্যাখ্যা করেন এভাবে,
আল্লাহর অনুগ্রহ অফুরন্ত, যেহেতু তিনি মহানবী (ﷺ) কে ইসলাম ও নবুয়্যত দান করেছেন। এও বলা হয়েছে যে এর মানে ঈমানদারদের প্রতি তিনি ইসলামের নেয়ামত বর্ষণ করেছেন। আর এ কথাও বলা হয়েছে যে এর অর্থ তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি তিনি অনুগ্রহ করেছেন মহানবী (ﷺ) এবং কিতাব (কুরআন) প্রেরণ করে। [তানবির আল-মিকবাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস]

আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ এবং ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়।


সকল ফিক্বাহের কিতাবে আছে-
الامر للوجوب
অর্থাৎ, আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় ! (বাদায়েউস সানায়ে)

দেখুন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন- اقيموا الصلوة
অর্থ : তোমরা নামাজ আদায় করো।”
কুরআন শরীফের এই নির্দেশ সূচক বাক্য দ্বারা নামাজ ফরজ হয়েছে |
তদ্রুপ সূরা ইউনূছের ৫৮ আয়াতের فليفرحوا বা খুশি প্রকাশ করো এটা আদেশ সূচক বাক্য। 
তাহলে এই দিকে খেয়াল করলে, এ আদেশের দ্বারা রাসুলের আগমনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনস্বরূপ আনন্দিত হওয়া উত্তম কাজ এটা বিশ্বাস করা অত্যাবশ্যক। আর পালন করা সুন্নত কিংবা নফল।

সুতরাং প্রশ্ন হল, সবচাইতে বড় নিয়ামত কি ? নির্ধিদ্বায় জবাব হবে “হুজুর পাক (ﷺ) !

রসূলুল্লাহ (ﷺ) মাহাত্ম্য বর্ণনার নির্দেশ :

 إنا أرسلناك شاهدا ومبشر ونذير لتؤمنوا بالله و رسوله و تعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة وأصيلا

৪৮:৮ – নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাযির (উপস্থিত) নাযির (প্রত্যক্ষ সাক্ষীস্বরূপ), সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী করে; 
৪৮:৯ – যাতে হে লোকেরা! তোমরা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের উপর ঈমান আনো এবং রসূলের মহত্ব বর্ণনা ও (তাঁর প্রতি) সম্মান প্রদর্শন করো আর সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সূরা ফাতাহ ৮,৯)

নবীগণের মজলিশে পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবীর [ﷺ] আলোচনা (শানে নুযুল দেখতে পারেন) :

 وإذ أخذ الله ميثاق النبيين لما اتيتكم من كتاب و حكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال أأقررتم وأخذتم علي ذلكك إصري قالوا أقررنا قال فاشهدوا وأنا معكم من الشاهدين

অর্থ: স্মরণ করুণ! যখন আল্লাহ পাক নবীগণের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, আমি আপনাদেরকে যে কিতাব ও হিকমত প্রদান করবো।  অতঃপর তশরীফ আনবেন একজন রসূল [মুহাম্মদ (ﷺ)] ! তিনি আপনাদের প্রদত্ত কিতাবগুলোর সত্যায়ন করবেন। তখন আপনারা নিশ্চই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনাকে (পেলে) সহযোগিতা করবেন ! মহান আল্লাহ বললেন, আপনারা কি এ অঙ্গীকার স্বীকার ও গ্রহণ করলেন? উনারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করে নিলাম। তখন আল্লাহ পাক বললেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম !” (সূরা আল ইমরান ৮১)

সূরা ছাফ ৬ : আয়াত :

আল্লাহ পাক বলেন, 

قال عيسي ابن مريم يبني اسراءيا اني رسول الله اليكم مصدقا لما بين يدي من التورة و مبشرا برسول ياتي من بعدي اسمه احمد

অর্থ :হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে বনী ইসরাঈল ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ! আমার পূর্ববর্তী তাওরাত শরীফের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদ দানকারী। যিনি আমার পরে আগমন করবেন, উনার নাম মুবারক হচ্ছে আহমদ (ﷺ) !” (সূরা ছফ ৬)

সূরা ছাফ ৬ : তফসীর :


উক্ত আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  নিজেই নিজের মীলদ শরীফ বর্ননা করেন,

“আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো ! তা হলো :
– আমি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর দোয়া,
– আমি হযরত ঈসা (আঃ) তার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ এবং
– “আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।”
তথ্যসূত্রঃ
★ ইমাম তাবারী : তফসীরে তাবারী : খ ১ : প ৫৫৬
★ ইমাম তাবারী : তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক : খ ১ : প ৪৫৮
★ ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : খ ২ : প ১৩১
★ ইমাম ইবনে কাসীর : তফসীরে ইবনে কাসীর : খ ৪ : প ৩৬০
★ ইমাম আবু লাইস সমরকানী : তফসীরে সমরকানী : খ ৩ : প ৪২১
★ ইমাম সূয়ূতী : তফসীরে দুররে মনসূর : খ ১ : প ৩৩৪
★ ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ খ ৪ : প ১২৭ : হাদিস ১৬৭০১
★ ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুওয়াত : খন্ড ১ : পৃ ৮৩, প ১১০
★ ইমাম ইবনে ইসহাক : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ২৮
★ ইমাম ইবনে হিশাম : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ১৫৬
★ ইমাম ইবনে সা’দ : তাবাকাত আল কুবরা : খ ১ : প ১৫০
★ ইমাম ইবনে হিব্বান : সহীহ ইবনে হিব্বান : খ ৯ : প ১০৬
★ ইমাম বাগবী : মিশকাতুল মাসাবিহ : প ৫১৩ 
★ ইমাম হাকিম : মুস্তাদরেক আল হাকিম : খন্ড ২ : পৃ ৬০০ : হাদিস ৪১৭৫
★ ইমাম ইবনে জাওজী : আল ওয়াফা : প ৯১ 
★ ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী : মাজমাউল যাওয়াইদ : (৮:২২১/৪০৯)
★ ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩
★ ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭

এই হাদিসটির বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত সুত্রঃ

১. হযরত কা’ব আল আহবার (রাঃ)
২. হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) এর মাতা শিফা বিনতে আমর ইবনে আউফ (রাঃ)
৩. হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রাঃ)
৪. হযরত মু’য়াজ বিন জাবাল (রাঃ)
৫. হযরত আবু উমামা (রাঃ)
৬. হযরত উসমান ইবনে আবিল আস (রাঃ)
৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) 
৮. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)
৯. হযরত ইকরামা (রাঃ) 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment