✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (৯২)
যদি কোন হানাফী মতাবলম্বী ব্যক্তি শাফেয়ী মতাবলম্বী ইমামের পিছনে ঈদের নামাজ আদায় করে আর ইমাম শাফেয়ী মাযহাব হিসেবে প্রথম রাকাতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে পাঁচ তাকবীর অতিরিক্ত বলে তবে হানাফী মতালম্বী মোক্তাদি তার (শাফেয়ী ইমামের) অনুসরণ করা আবশ্যক এই জন্যই যে পবিত্র হাদিস দ্বারা এটির প্রমাণ রয়েছে।
➠দুররে মোখতার দ্বিতীয় খন্ডের ৭৮ পৃষ্ঠায় উলেখ আছে-
ولـوزاد رابــعة إلى ستة عشر لانه ماثـور
❏ মাসয়ালা: (৯৩)
ঈদের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি নিম্নে দেয়া হলঃ
প্রথমে ইমাম ও মুক্তাদি উভয়ে ঈদের নামাজের নিয়ত করবে যে- আমি কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীর সহকারে আদায় করতেছি। নিয়ত করার পর ইমাম উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবর বলে হাত বাঁধবে এবং মুক্তাদি নিম্ন স্বরে তাকবীর বলে হাত বাঁধবে, অতঃপর ইমাম মুক্তাদী উভয়ই ছানা পাঠ করবে। এরপর ইমাম উচ্চস্বরে তাকবীর বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দিবে, হাত বাঁধবে না এবং সমস্ত মুক্তাদীও অনুরূপ করবে, অতঃপর দ্বিতীয় বার ইমাম তাকবীর বলে পূর্বের ন্যায় হাত ছেড়ে দিবে, মুক্তাদীগণও অনুরূপ করবে, এরপর তৃতীয় বার ইমাম তাকবীর বলে হাত বাঁধবে সাথে সাথে মুক্তাদীগণও হাত বাঁধবে। তারপর ইমাম সাহেব নিম্ন স্বরে তা‘উয ও তাসমীয়া (আ‘উযু বিল্লাহ ও বিছমিল্লাহ) পাঠ করে উচ্চ স্বরে সূরায়ে ফাতেহা ও কেরাত পাঠ করে রুকু সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দন্ডয়মান হয়ে সূরায়ে ফাতেহা ও কেরাত পাঠ করে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তাকবীর বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দিবে। মুক্তাদীগণও অনুরূপ করবে, তেমনিভাবে দ্বিতীয় তাকবীর বলে ইমাম মুক্তাদী উভয়ই হাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর তৃতীয়বার তাকবীর বলে হাত উঠাবে এবং ছেড়ে দিবে এরপর চতুর্থ তাকবীর বলে রুকুতে চলে যাবে। উক্ত নিয়মে ঈদের দু‘রাকাত নামাজ পরিপূর্ণ করবে।
নামাজ শেষে ইমাম দোয়া করে মিম্বরে উঠে দন্ডায়মান হয়ে খুতবা পাঠ করবে, মুক্তাদিগণ নিরবে শ্রবণ করবে। জুমার খুতবার ন্যায় ঈদের নামাজেও খুতবা দু’টি, আর যদি খুতবার পরে ইমাম দোয়া করে তাতেও অসুবিধার কিছু নাই।
➥ [ইসলাম ফিকহ, ২য় খখন্ড, ৩০৪পৃষ্ঠা]
❏ মাসয়ালা: (৯৪)
ঈদের নামায, জুমাতে লোকের আধিক্যের কারণে সিজদা সাহু করাতে কেউ খবর রাখবে আর কেউ রাখবে না তাই সেখানে সিজদা সাহু আদায় করবে না।