আ‘লা হযরত (রহঃ) এর দরবারে প্রশ্ন করা হয়: নামাযীদের জন্য ইস্তিঞ্জাখানা মসজিদ থেকে কতটুকু দূরে তৈরী করা উচিৎ? এর উত্তরে আমার ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহঃ) বলেন: মসজিদকে দূর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা ওয়াজীব। এজন্য মসজিদে কেরোসিন তেল জ্বালানো হারাম। মসজিদে দিয়াশলাই (অর্থাৎ দূর্গন্ধযুক্ত বারুদ বিশিষ্ট ম্যাচের কাঠি) জ্বালানো হারাম। এমনকি হাদীস পাকে বর্ণিত রয়েছে: মসজিদে কাঁচা মাংস নিয়ে যাওয়া জায়েজ নেই। (ইবনে মাজাহ্, ১ম খন্ড, ৪১৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৭৪৮)
অথচ কাঁচা মাংসের দূর্গন্ধ খুবই হালকা। অতএব যেখান থেকে মসজিদে দূর্গন্ধ পৌঁছে সেখান পর্যন্ত টয়লেট, প্রস্রাবখানা তৈরী করাতে নিষেধ করা হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১৬তম খন্ড, ২৩২ পৃষ্ঠা)
কাঁচা মাংসের গন্ধ হালকা হয়ে থাকে। এরপরও যেহেতু মসজিদে তা নিয়ে যাওয়া জায়েজ নেই সেহেতু কাঁচা মাছ নিয়ে যাওয়া আরো বেশি না জায়েজ হবে। কেননা, তার গন্ধ মাংসের চেয়ে বেশি গাঢ় হয়ে থাকে। বরং কোন কোন সময় রান্নাকারীর অসতর্কতার কারণে মাছের তরকারী খাওয়ার পর হাত ও মুখ খুবই দূর্গন্ধময় হয়ে যায়। এ অবস্থায় গন্ধ দূর না করে মসজিদে যাবেন না। যখন প্রস্রাবখানা পরিস্কার করা হয় তখন যথেষ্ট দূর্গন্ধ ছড়ায় এজন্য (শৌচাগার ও মসজিদের মধ্যে) এতটুকু দূরত্ব রাখা দরকার, যাতে পরিস্কার করার সময়ও মসজিদে দূর্গন্ধ প্রবেশ না করে। প্রস্রাবখানা মসজিদের বাউন্ডারীতে করতে হলে প্রয়োজনে দেয়াল ভেঙ্গে বাইরের দিকে দরজা করেও মসজিদকে দূর্গন্ধ মুক্ত রাখা যায়।





Users Today : 209
Users Yesterday : 767
This Month : 14631
This Year : 186502
Total Users : 302365
Views Today : 9014
Total views : 3585759