ইসলাম এবং নৈতিকতা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নাহমাদুহু নুসাল্লি  ওয়া নুসাল্লিম আ’লা রাসুলিহিল কারী।আম্মা বা’দঃ-     

ইসলাম এবং নৈতিকতা।

নৈতিক শিক্ষা ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্গত। ইসলামি দর্শনে আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন: ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোনোই জ্ঞান নেই; নিশ্চয় আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৩২)।
আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল: ‘পড়ো তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানব ‘আলাক’ হতে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে যা তারা জানত না।’ (সুরা আলাক, আয়াত: ১-৫)। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণ শেখালেন।’ (সুরা রহমান, আয়াত ১-৪)।

ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব:-
আচরণে (আমলে বা কর্মে) ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি। আচরণে অভীষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞান দান করাকে শিক্ষা বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়—আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), প্রতিষ্ঠিত সুন্নত (হাদিস) ও ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)।
হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষা অনুযায়ী কর্ম করেন (অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষাও থাকে)।’ (সহিহ তিরমিজি ও সুনানে আবু দাউদ)।

ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত বা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এটি দুভাবে অর্জিত হতে পারে: (ক) পঞ্চেন্দ্রিয় দ্বারা। যথা (১) চক্ষু, (২) কর্ণ, (৩) নাসিকা, (৪) জিহ্বা ও (৫) ত্বক। এ প্রকার ইলমকে ইলমে কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান বলে। (খ) ওয়াহি। যথা (১) কোরআন ও (২) হাদিস। এ প্রকার ইলমকে ইলমুল ওয়াহি বা ওয়াহির জ্ঞান বলে।

নৈতিক শিক্ষা সম্বন্ধে কোরআনের ভাষ্য:-
হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে পাঠান এমন রাসুল, যিনি আপনার আয়াত উপস্থাপন করবেন, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবেন এবং তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৯)। মানুষ দোষে-গুণে সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাতে ঢেলে দিলেন অপরাধপ্রবণতা ও তাকওয়া। অবশ্যই সফল হলো সে যে তা পবিত্র করল; আর বিপদগ্রস্ত হলো সে যে তা ছেড়ে দিল।’ (সুরা শামছ, আয়াত: ৮-১০)। ‘নিশ্চয় যারা অকৃতজ্ঞ, হোক সে কিতাবধারী ও অংশীবাদী, সে জাহান্নামের আগুনে চিরকাল দগ্ধ হবে; তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্টতম। আর যারা বিশ্বাসী ও সৎ কর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।’ (সুরা বাইয়িনা, আয়াত: ৬-৭)।

নৈতিক শিক্ষা সম্বন্ধে হাদিস শরিফের ভাষ্য:-
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগাহ) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫০)।

অর্জনীয় উত্তম বৈশিষ্ট্য বা সদ্‌গুণাবলি:-
আত্মিক ও মানবিক উন্নতির জন্য প্রয়োজন সদ্‌গুণাবলি অর্জন ও ষড়্‌রিপু নিয়ন্ত্রণ। সদ্‌গুণাবলির মধ্যে আছে কৌমার্য, সতীত্ব, শক্তিমত্তা, সত্যবাদিতা, ন্যায়বোধ, দয়া, মহানুভবতা, পরোপকারিতা, ধৈর্য-সহনশীলতা, মিতাচার বা সংযম ইত্যাদি। ধর্মীয় সদ্‌গুণ তিনটি; যথা (১) বিশ্বাস, (২) আশা ও (৩) ভালোবাসা।

বর্জনীয় ও নিন্দনীয় বিষয়সমূহ:-
বর্জনীয় বিষয় হলো ষড়্‌রিপু বা কুপ্রবৃত্তিসমূহ। যথা (১) কাম, (২) ক্রোধ, (৩) লোভ, (৪) মোহ, (৫) মদ, (৬) মাৎসর্য। সাধারণত মানুষের মধ্যে ১০টি সদ্‌গুণ ও ১০টি বদগুণ বিদ্যমান থাকে। পরিভাষায় এগুলোকে রজায়িল (কুপ্রবৃত্তি) ও ফাজায়িল (সুকুমারবৃত্তি) বলা হয়। মানুষের উচিত বদগুণ বর্জন ও সদ্‌গুণ অর্জনের মাধ্যমে পূর্ণতা অর্জন করা। এ ছাড়া কিছু উত্তম বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অর্জন করা মানুষের জন্য বাঞ্ছনীয় ও প্রশংসনীয় এবং কল্যাণের পথে সহায়ক।

রজায়িল বা কুপ্রবৃত্তিসমূহ:-
রজায়িলগুলো হলো (১) হিরছ (লোভ), (২) তমা (লালসা), (৩) রিয়া (প্রদর্শনের ইচ্ছা), (৪) কিবর (অহংকার), (৫) কিজব (মিথ্যা), (৬) গিবত (পরনিন্দা), (৭) হাছাদ (হিংসা), (৮) উজব (অহমিকা), (৯) কিনা (পরশ্রীকাতরতা) ও (১০) বুখল (কৃপণতা)।

ফাজায়িল বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ:-
ফাজায়িলগুলো হলো (১) তাওবা (গুনাহের জন্য অনুতাপ করা, ক্ষমা চাওয়া), (২) ইনাবাত (আল্লাহর দিকে মন সর্বদা রুজু রাখা), (৩) জুহদ (দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশা পরিত্যাগ করা), (৪) অরা (সন্দেহজনক জিনিস থেকে বেঁচে থাকা), (৫) সবর (ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করা), (৬) শোকর (কৃতজ্ঞতা, উপকারীর উপকার স্বীকার করা), (৭) তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হওয়া), (৮) তছলিম (আল্লাহর হুকুম-আহকাম/নিয়ামত ও মুসিবত সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেওয়া এবং আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা), (৯) রেজা (আল্লাহর ইচ্ছার ওপর রাজি থাকা), (১০) কানাআত (অল্পে তুষ্টি)।

বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষাই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; যদি তা কার্যকর বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের একটি পন্থা মাত্র। অধ্যয়ন মানে পঠন বা পাঠ করা অথবা পাঠ গ্রহণ করা; অধ্যাপনা মানে পাঠন বা পাঠদান বা পাঠ প্রদান করা। অধ্যয়ন সব সময় জ্ঞানার্জনের সমার্থক নয়; জ্ঞানার্জন সর্বদাই অধ্যয়নের সমার্থক হয়। বর্তমানে বস্তুবাদী শিক্ষা ও আর্থসামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় আমাদের সমাজকে করেছে কলুষিত, জাতিকে করেছে কলঙ্কিত, দেশকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

নৈতিক শিক্ষায় পিতা, মাতা ও
অভিভাবকের করণীয়:-
শিশুর বা সন্তানের নৈতিক শিক্ষার প্রথম ও প্রধান উৎস হলেন তার পিতা, মাতা ও অভিভাবকেরা। তাঁদের জীবন ও কর্ম পৌষ্য বা সন্তানের জীবনে সরাসরি প্রতিফলিত হয়। তাঁরা যদি সৎ ও সুন্দর পরিশীলিত চরিত্র ও মার্জিত আচরণের অধিকারী হন, সন্তানেরা দেখে দেখেই তা আয়ত্ত করবে। সন্তানেরা তাঁদেরই প্রতিবিম্ব।

নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষকের করণীয়:-
শিক্ষক হলেন শিক্ষার্থীর জীবনের প্রধান প্রভাবক। শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষক হলেন হিরো (নায়ক) বা আইকন (মডেল)। তাই শিক্ষককে হতে হবে শিক্ষার্থীর রোল মডেল বা আদর্শের বাস্তব নমুনা।

নৈতিক শিক্ষায় সমাজের করণীয়:-
মানুষ সামাজিক জীব। পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রভাব সমাজজীবনে প্রকট। সুতরাং আমাদের সমাজজীবনের প্রতিচ্ছায়া শিক্ষার্থীর মন, মানস ও শিক্ষাকে প্রভাবিত করে। তাই সুশিক্ষার জন্য চাই সহায়ক পরিবেশ; ন্যায়বিচার, সুশাসন, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক সহনশীলতা।

ইসলাম অর্থ শান্তি ও স্রষ্টার প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। ইসলাম নতুন ধর্ম নয়। মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত পৃথিবীর প্রথম মানুষ হজরত আদম আ:-এর জীবনবিধান থেকেই ইসলাম শুরু। ইসলাম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সর্বোত্তম শান্তি ও কল্যাণ। আর মুসলমান কথাটির অর্থ হলো সর্বোত্তম শান্তি ও কল্যাণ স্থাপনকারী এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার কাছে আত্মসমর্পণকারী। ইসলাম মানবতার ধর্ম। সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সাম্যের সেতুবন্ধ ও মাইলফলক হলো ইসলাম। ন্যায়, সত্য ও ত্যাগের স্মরণিকা ইসলাম। ইসলাম মহান আল্লাহ পাকের দেয়া এক পূর্ণাঙ্গ পরিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জীবনব্যবস্থা। ইসলাম ধর্মের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান। ইসলাম খুব সহজ ধর্ম। এতে জটিলতার কোনো অবকাশ নেই। ইসলাম সর্বদা শান্তির কথা বলে। সংঘাত সৃষ্টির জন্য মানুষ অনেক সময় ধর্মকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। ধর্মের মধ্যে বিভেদ ধর্মের মূল চেতনাকে পাল্টে দেয়। সবাই যদি সঠিকভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলাম ধর্মকে অনুসরণকরত জীবনে বাস্তবায়িত ও প্রতিফলিত করতে পারে তাহলেই বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। ইসলাম ভুল পথে ব্যবহার করার মতো ধর্ম নয়। যদি ভুল পথে ব্যবহৃত হয় তা ধ্বংসাত্মক শক্তিতে পরিণত হয়। ধর্মের মূল চেতনাকে পাশ কাটানোর ফলে ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ চলে। ইসলাম ধর্ম কখনো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। আর ইসলাম কখনো অসুস্থ ও অসহায় নয়। ইসলামকে অমান্য করা হয় বলেই মানুষ আজ অসুস্থ, অসহায়, দুর্নীতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত।
মানুষের সহজাত ও মৌলিক প্রবৃত্তি ও মনোবলই হলো নিয়ম। নিয়ম মেনে চলা বা রক্ষা করা থেকেই নীতি, মূলনীতি বা প্রণালী। অর্থাৎ নিয়মের মূলতত্ত্ব ও উপাদানই হলো নীতি।
নীতির প্রতি মূল্যায়ন, সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন থেকেই আসে নীতিবোধ ও আদর্শিক গুণাবলি। আর এই নীতিবোধ থেকেই নৈতিকতা। অর্থাৎ নিয়ম থেকে নীতি, আর নীতি থেকে নৈতিকতা। নৈতিকতা হলো নীতিবোধ ও গুণাবলির দর্শন অর্থাৎ জীবন দর্শন। জীবনকে সুপথে সুকাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বৈশল্যকরণী। নীতি নৈতিকতা মূলত একটি প্রশিক্ষণ। এটা শেখার জন্য ব্যবস্থা, অনুশীলন ও চর্চার প্রয়োজন জরুরি। মানুষের জীবনের সততা, মহানুভবতা, উদারতা, ন্যায় পরায়ণতা, সভ্যতা, সাধুতা, অখণ্ডতা, একত্রতা, পূর্ণতা সর্বোপরি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, চরিত্র, মহত্ত ও আদর্শিক গুণাবলির সংমিশ্রিত আত্মশুদ্ধির স্বর্ণফসল হলো নৈতিকতা। জীবনচেতনার প্রথম সূর্যসিঁড়ি হলো নৈতিকতা। নৈতিকতা মানুষের জীবনের স্বচ্ছতার দিগন্তবিস্তারী প্লাবন ডেকে এনে দেয়। তাই মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধের জাগরণকেই নৈতিকতা বলা হয়।
নৈতিকতা আত্মার অস্তিত্বের ও আত্মোপলব্ধির ক্ষেত্রে নিবেদিত ও উৎসর্গীকৃত। দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও প্রধান অবলম্বন হলো নৈতিকতা অর্জন। নৈতিকতা অর্জন ব্যতিরেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মল করা কখনো সম্ভব নয়। নৈতিকতা সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্মমতার আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য এক সাহসী প্রতিবাদী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। নৈতিকতা হলো আত্মশুদ্ধি, আত্মার মুক্তি ও শান্তির বাতিঘর। মানবিক গুণাবলি বিকশিত হওয়ার একমাত্র পথ নৈতিকতা। মানুষের ক্যারিয়ার গড়ার মাধ্যম হলো নৈতিকতা। জাতির সর্বক্ষেত্রে অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই নৈতিকতা। সর্বত্র নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধে রুচিশীল নীতিবান ও যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়াতলে কাতারবদ্ধ হতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠান নৈতিকতা অনস্বীকার্য। কারণ ইসলাম হচ্ছে একটি প্রাক্টিসিং ধর্ম। সর্বক্ষেত্রে সবাইকে নৈতিকতার চর্চার বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশে আজ সতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতার দুর্ভিক্ষ চলছে। নৈতিক সঙ্কটের আবর্তে কিষ্ট ভাগ্যাহত মানুষ আমরা। জীবনের পরতে পরতে একটা সত্য অবিরত আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে যায় তা হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মধ্যে আল্লাহর দেয়া জীবনব্যবস্থা সর্বাত্মকভাবে গ্রহণ করতে পারলে পৃথিবীটা প্রকৃত সুখের ও শান্তির হয়ে উঠত। নৈতিকতা সেই তাগাদা ও সেই শিক্ষাই নিয়ে আসে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment