ইসলামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ শাস্তি || In Islam, communal riots are a terrible punishment

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

যারা আল-কুরআন অবমাননার জন্য দায়ী তাদের উপযুক্ত বিচার হোক।

━━━━━━━━━━━━━━━━

কারণ আল্লাহ বলেন,

“ফিতনা হত্যার চেয়ে মারাত্মক।” [সূরা বাক্বারা ২:১৯১]

আল্লাহ বলেন, “যদি  আমি  এ  কুরআনকে  কোন  পর্বতের  উপর   অবতীর্ণ করতাম, তবে  তুমি অবশ্যই সেটাকে আল্লাহ্‌র  ভয়ে অবনত ও টুকরো  টুকরো  অবস্থায় দেখতে  এবং   এসব  দৃষ্টান্ত  মানুষের   জন্য আমি বর্ণনা করি, যেন তারা চিন্তা ভাবনা করে।” [সূরা আল-হাশর ২১]

যারা মন্দিরে হামলার জন্য দায়ী তাদেরও উপযুক্ত বিচার হোক।

━━━━━━━━━━━━━━━━

১) কারণ আল্লাহ বলেন, ‘হে আহলে কিতাব (আসমানী কিতাবের অনুসরণকারীগণ)! তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়ো না। আর আল্লাহ সম্বন্ধে যথাযথ বলো।’ [সুরা নিসা : ১৭১]

২) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘লোকসকল! তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে দূরে থাকো। কেননা তোমাদের আগে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩০২৯, মুসনাদে আহমদ : ৩২৪৮, আল মুজামুল কাবির : ১৫১৪০]

৩) ‘এটি আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। সুতরাং তা অতিক্রম কোরো না। যারা অতিক্রম করে, তারা-ই প্রকৃত জালেম (সীমালঙ্ঘনকারী)।’ [সুরা বাকারা : ২২৯]

৪) আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَلاَ تَسُبُّواْ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ فَيَسُبُّواْ اللّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِم مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ‘

‘আল্লাহকে ছেড়ে তারা (বিধর্মীরা) যাদের আরাধনা করে, তোমরা তাদেরকে মন্দ (গালাগাল) করো না। তাহলে তারা ধৃষ্টতা দেখাতে গিয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গাল-মন্দ করবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ-কর্মকে সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদের বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।’

[সুরা আনআম : আয়াত ১০৮]

৫) দ্বীনের (ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থার) ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে।

[সুরা বাকারা : আয়াত ২৫৬]

মুসলিম হয়ে অমুসলিমের উপর জুলুম করার শাস্তিঃ

━━━━━━━━━━━━━━━━

১) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘জেনে রেখ! কোন মুসলমান যদি অমুসলিম নাগরিকের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করে, কোন অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করে, তার কোন জিনিস বা সহায়-সম্পদ জোরপূর্বক কেড়ে নেয়; তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় আমি তাদের বিপক্ষে অমুসলিমদের পক্ষে অবস্থান করব।’ [আবু দাউদ]

২) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’

[মুসনাদে আহমাদ]

৩) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

‘তোমরা মজলুমের বদদোয়া থেকে বেঁচে থেক, যদিও সে কাফির হয়। কেননা মাজলুমের মাঝে আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।’ [মুনাদে আহামদ]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment