ইসলামিক উক্তি, অনুপ্রেরণামূলক উক্তি আপনাকে জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা অর্জন করতে সাহায্য করবে। সত্যি কথা বলতে কি, রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর প্রতিটি বাণীরই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস রয়েছে। ইসলামি জীবন ব্যবস্থার মূল বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কথা ও আচরণ। নবীজীর জীবন ও বাণী হাদীস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বাণী অর্থাৎ কুরআন বুঝতে এবং ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হাদিস জানা ও অনুশীলনের বিকল্প নেই। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে ইসলামিক উক্তি শেয়ার করলাম অনুপ্রেরণামূলক উক্তি শেয়ার করলাম। একটি কথা বলে রাখা ভালো, সব অনুপ্রেরণাময় উক্তি আমরা হাদিস থেকে সংগ্রহ করিনি, কিছু উক্তি সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন ইসলামিক মনীষীদের বলা।
ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি
নিশ্চয় যারা পিতৃহীনদের সম্পদ গ্রাস করে তারা তাদের উদরে অগ্নি ভক্ষণ করে, তারা জ্বলন্ত আগুনে জ্বলবে।
যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠাবসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল।
আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।
“কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখে বোকা হয়ে যেয়ো না কারণ তখন আমরা কেবল শব্দগুলো উচ্চারণ করি। বরং, তার দিকে লক্ষ্য করো যে কুরআন অনুযায়ী আমল করলো।”
সেই মানুষগুলোর মাঝে ভালো কিছু নেই, যারা অন্যদের সদুপদেশ দেয় না, এবং সেই মানুষদের মাঝে ভালো কিছু নেই, যারা উপদেশ গ্রহণ করতে পছন্দ করে না।
“দিনের আলোতে এমন কাজ করো না যাতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়, আর, রাতের অন্ধকারে এমন কাজ করো না, যাতে তোমায় দিনের আলোতে মুখ লুকিয়ে রাখতে হয়।”
অপরকে ঘৃণার চোখে উপহাস করো না, যেহেতু তারা তোমাদের অপেক্ষা ভাল হতে পারে। অপরের ত্রুটি অনুসন্ধান করও না, এবং একজনের অসাক্ষাতে নিন্দা করও না। আল্লাহকে ভয় কর, যেহেতু আল্লাহ দয়ালু ও ক্ষমাকারী।
অতিরিক্ত ধন তোমাদের ধ্বংসের পথেই নিয়ে গিয়েছে। ধন-সম্পদ যেন শুধু ধনীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বা কুক্ষিগত না থাকে।
জীবনে যা আবশ্যক, তা যৌবনে সংগ্রহ করো। যৌবনই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়, একে হেলায় নষ্ট কোরো না।
অনেক লোকই দিনে অন্তত পাঁচবার মুখ ধোয়, কিন্তু পাঁচ বছরেও একবার অন্তর ধোয়ার কথা চিন্তা করেনা।
শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খা মিটে না, তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না।
তোমরা মৃত্যু সম্পর্কে যেমন জান পশু-পাখিরা যদি তদ্রুপ জানতে পারত, তবে মানুষেরা কখনও মোটাতাজা পশু-পাখির মাংস ভক্ষণ করতে পারতে না।
জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে তোমার চলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি করা সাফল্যের সিঁড়ি।
পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে পিপাসা ততই বাড়বে।
কোন ব্যক্তি সে পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যে পযর্ন্ত না তার ভাগ্যে লিখিত শেষ খাদ্যকণাটুকু আহার না করে।
একাকী হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো তুমি খারাপ সঙ্গ পরিত্যাগ করেছ। কিন্তু একজন ভালো বন্ধু থাকা একাকীত্বের চাইতে উত্তম।
যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না, তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে।
তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরি করে নেয়। পাথরের মত হইয়ো না যে কিনা নিজে অন্যের চলার পথ রোধ করে।
তোমরা মিথ্যা বলো না কারণ, মিথ্যা নিয়ে যায় পাপের দিকে। আর পাপ নিয়ে যায় জাহান্নামের দিকে।
যে ব্যাক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে তার জন্য জাহান্নামে যাওয়া অনুরুপ অসম্ভব, যেমন গাভির বাট থেকে দুধ বের হবার পর পুনরায় ঢুকানো অসম্ভব।
“বিবাদ সৃষ্টিকারি ব্যাক্তি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশী ঘৃনিত। ঐ ব্যাক্তি বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারবে না যার হাত ও মুখ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।
আল্লাহ… কোন জাতির অবস্থান পরিবর্তন করেন না…. যতক্ষন না… তাদের নিজেদের মধ্যে যা আছে তার পরিবর্তন করেন।
“তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট।”
প্রতিটি মানুষকে একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে । প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।
বৃক্ষের মতো হও, আর,মরা পাতা গুলো ঝরে পড়তে দাও।
শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কন্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।
শোক কারো না। তুমি যাই হারাও না কেনো তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
অন্যের জীবনের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ো না, নিজের পথ তৈরি করো, নিজের জীবন সাজাও।
সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবে না বরং তোমারই এমন দিনের দিকে আগ্রসর হওয়া উচিত।
যে বাতাস গাছ উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসেই ঘাসেরা দোলে । বড় হওয়ার দম্ভ কখনও কারো না।
সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়ো না । যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়ো না । যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা কর, তবে আপন সত্তা থেকে হারিও না।
তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট।”
যে তোমার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, তুমি তার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করোনা।
নিজের জন্যে যা পছন্দ করো, : অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে, তবেই হতে পারবে মুমিন।
তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা, যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।”
কুরআনকে আঁকড়ে ধরো তাহলে কখনো বিপথগামী হবে না।”
মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায়।”
দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।”
কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না । মনে রেখো, অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।”
সুখ দুঃখের মন এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ।
মানুষ কি বলে, সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ো না : ওসব ভেবে ভেঙে পড়ো না। তুমি তোমার পথে অটল থাকো নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলো, যেন মানুষ তোমার মুখাপেক্ষী হয়ে তোমার কাছে ছুটে আসে।”
আপনার চিন্তাগুলোকে বিশুদ্ধ পানির চেয়েও পরিষ্কার রাখুন। বিন্দু বিন্দু পানি কণা যেমন সমুদ্র তৈরি করে তেমনি ভাবে আপনার * চিন্তাগুলো তৈরি করে আপনার চরিত্রকে আপনার বিশ্বাসকে।
পাপ যতই ক্ষুদ্র হোক তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করিও। আর পুণ্য যতই ক্ষুদ্র হোক, তা আমল করার চেষ্টা করিও।”
যে কাজ করতে তোমার মনে সঙ্কোচ আসে, প্রকাশ করতে ভয় পাও, সেটাই পাপ।
লোকে আপনার ব্যাপারে কী মন্তব্য করে সে বিষয়ে যদি আপনি অতিরিক্ত মনোযোগ দেন, তাহলে এর ফলে আপনি যে শুধু আত্মবিশ্বাস হারাবেন তা নয়, বরং আপনার আন্তরিকতাও হারিয়ে ফেলবেন।
উত্তম চরিত্রের মানুষ ছাড়া অন্যদের সাথে মেলামেশা করবেন না; কেননা যার চরিত্র উত্তম তিনি যা কিছু বয়ে আনেন তা শুধুই উত্তম, অন্যদিকে যার চরিত্র খারাপ সে যা বয়ে আনে তা শুধুই খারাপ।
জীবনের যে সময়টুকু বাকী আছে সেটুকু ত্রুটিমুক্ত রাখুন, আপনার অতীতে যা হয়ে গেছে তা আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।।
মৃত্যুকে খুঁজো (অর্থাৎ, সাহসী হও) তাহলে তোমাদেরকে জীবন দান করা হবে।”
মৃত্যু এসে যখন মাথায় হাত রাখে’ তখন বাদশাহ ফকির উভয়েই সমান হয়ে যায় ; কাউকে পার্থক্য করা যায় না”
তুমি যদি কারো উপকার করো, তবে সাবধান! কখনো তা কারো কাছে প্রকাশ করোনা। আর কেউ যদি তোমার উপকার করে, তবে সাবধান! কখনো তা ভুলে যেওনা”
যদি কোনো দুঃখী মানুষের মনে হাসি আসে আর তার কারণটা যদি আপনি হন, তাহলে আপনি বুঝে নেবেন আপনি এই পৃথিবীর একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ”
যদি কেউ আপনার উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে, তাহলে তার বিশ্বাস ভেঙ্গে তাকে আপনি এটা বোঝাবেন না যে সে সত্যিই অন্ধ”
যখন সৃষ্টিকর্তা আপনার কাছ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়, তখন এটা কখনোই মনে করবেন না তিনি আপনাকে বড় কোনো শাস্তি দিয়েছে। হয়তো এমন হতে পারে তিনি আপনার হাত খালি করেছে। আগের থেকেও আরো কোনো ভালো জিনিস দেওয়ার জন্য”
বিশ্বাস করুন যদি আপনার স্বপ্ন বার বার ভেঙ্গে যায় তাহলে সকাল আপনার খুব কাছা কাছিই আছে মনে রাখবেন হাজারটা স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার পরই একটা সকাল হয়।
কারোর পরামর্শে আপনি হয়তো রাস্তা পাবেন কিন্তু লক্ষ্যপূর্ণ তো নিজের পরিশ্রম দ্বারাই সম্ভব হবে” নিজের জীবনকে এমনভাবে তৈরী করুন, যাতে সবাই আপনার মতো জীবন পাওয়ার স্বপ্ন দেখে”
অলসতার থেকে সাবধান থাকবেন কারণ, আপনি একে আজকের দিন দিলে, সে আপনার কাছ থেকে কালকের দিনটাও চুরি করে নেবে”
লোকের তাতে কোনো কিছু আসে যায়না যে আপনি খুশিতে আছেন নাকি কষ্টে, তারা তো এটাই দেখে যে আপনি তাদেরকে খুশি রেখেছেন কিনা, পোশাক এবং চেহারা মিথ্যে কথা বলে, যেকোনো মানুষের আসল রূপ তো সময়ই দেখিয়ে দেয়”
কোনোদিন অহংকার করবেন না কারণ এটা যেকোনো মূহুর্তে বদলে যেতে পারে, নিজের প্রশংসা কোনোদিন করবেন না, এই কাজ মোটেই ঠিক নয়।
শ্মশান এবং কবরস্থানে গিয়ে আপনি এমন অনেক মানুষকেই দেখতে পাবেন, যারা ভাবতো….
তাদের ছাড়া এই পৃথিবীই চলবেনা”
জীবনে কোনো খুশি আসলে সেটার স্বাদ নিন মিষ্টি মনে করে আর জীবনে যদি কোনো দুঃখ আসে তাহলে সেটার স্বাদ নিন ঔষধ মনে করে”
সৃষ্টিকর্তা আপনার কখনোই খারাপ করেনা, তাই খারাপ সময়ে কোনোদিন ভয় পাবেন না কারন জীবন যেকোনো মূহুর্তে পরিবর্তন হতে পারে”
অনেক জনকে পাবেন যারা আপনাকে বলবে তারা আপনার আপনজন কিন্তু কেউই আপন হবেনা। আপনি মানুন কিংবা নাই মানুন এটাই সত্যি”
আপনি এমন মানুষ তৈরী হন, যেমন মানুষদের আপনি নিজে পছন্দ করেন জীবনে হেরে গেলে অবশ্যই আবার চেষ্টা করবেন, হেরে যাওয়ার অর্থ কিন্তু জীবনকে সম্পূর্নভাবে হারিয়ে ফেলা নয়”
যখন মানুষের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে, তখন তার কথা বলার ধরনও বদলে যাবো” যতদিন আপনি আপনার সমস্যার কারণ অন্যকে মনে করবেন, ততদিন আপনি আপনার কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারবেন না”
কারো মনে কষ্ট দেওয়ার মতো কথা কোনোদিনই বলবেন না, কারণ সময় তো চলে যাবে কিন্তু কথা সর্বদাই মনে থাকবে”
সৌন্দর্য্য অনেক সস্তা কিন্তু চরিত্র অনেক মূল্যবান, তাই সৌন্দর্য্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট না হয়ে চরিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন”
মনে রাখবেন, চুপ থাকার চেয়ে বড় কোনো জবাব হয়না আর ক্ষমা করার থেকে বড় কোনো শাস্তি হয়না”
জীবন অনেক কিছু আমাদের বিনামূল্যে দেয় আর সেইসব গুলোর মূল্য আমরা তখনই বুঝতে পারি, যখন সেইগুলোকে আমরা হারিয়ে ফেলি”