ইসমে আযম বলতে বোঝায় আল্লাহর সেই বিশেষ নাম, যার মাধ্যমে দোয়া করলে তা কবুল হয়। বিভিন্ন হাদিস ও ইসলামি গ্রন্থে ইসমে আযম নিয়ে কিছু বর্ণনা রয়েছে, যদিও নির্দিষ্টভাবে কোন নামটি ইসমে আযম সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। তবে আলেমদের মতে, কিছু দোয়া ও জিকির আছে যেগুলোতে আল্লাহর ইসমে আযম রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।
কিছু ইসমে আযমের জিকির
১. اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، الأَحَدُ، الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
- বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এই কারণে যে, তুমি একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, তুমি একক, সব কিছুর উপর নির্ভরশীল, তুমি জন্ম দাও না এবং তোমার জন্মও হয়নি, এবং তোমার সমকক্ষ কেউ নেই।”
- সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম-এ হাদিস আছে, যা থেকে বোঝা যায়, এই জিকিরে ইসমে আযম রয়েছে।
২. يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ
- বাংলা অর্থ: “হে চিরঞ্জীব, হে সৃষ্টির ধারক ও পালনকর্তা! তোমার করুণার আশ্রয়ে আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি।”
- হাদিস অনুযায়ী, এটি ইসমে আযম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩. اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَسْمَائِكَ الْحُسْنَى كُلِّهَا
- বাংলা অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার সমস্ত সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে তোমার কাছে প্রার্থনা করছি।”
- এটি আল্লাহর সমস্ত গুণবাচক নামের মাধ্যমেই প্রার্থনা করা, যা ইসমে আযমের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়।
ইসমে আযমের জিকিরের ফজিলত
ইসমে আযমের মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন বলে হাদিসে এসেছে। রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ইসমে আযমের মাধ্যমে দোয়া করে, তার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।”
- (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০৫)