ইয়াজিদকে লানত দেয়া প্রসংগেঃ
আজ ১০ মহররম ইসলামের ইতিহাসে সেই রক্তরঞ্জিত দিন, ইমানদারদের অন্তর কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষত বিক্ষত থাকবেঃ
↓
প্রসংগঃ ইয়াজিদকে লানত।
যারা ডঃ জাকির নায়েককে অন্ধভাবে মানেন তারা ইয়াজিদকে আজ থেকে (রহিমুল্লাহ) বলবেন। আর যদি না পারেন তাহলে ডঃ জাকির নায়েকের এই নিকৃষ্ট ফতোয়ার বিরোদ্ধে আওয়াজ তোলুন। কোন মুসলমান ইয়াজিদ প্রেমী হতে পারে না আমরা সেই ইমাম হোসাইনের জন্য পাগল যিনি শির দিয়েছেন কিন্তু ইয়াজিদকে হক বলেন নি, যিনি প্রানের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কলিজার টুকরা প্রিয় দৌহিত্র , যিনি সমস্ত জান্নাতী যুবকদের সরদার।
ইয়াজিদ গুষ্টি কিয়ামতের দিন কিভাবে পার পায় দেখা যাবে।
↓
ইয়াজিদের নিকৃষ্টতম পাপগুলোঃ
A)
হাফেজ ইবনে কাসীর আরো লিখেছেন, ইয়াজিদ হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁর সাথীদেরকে ওবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদের মাধ্যমে হত্যা করিয়েছিল। (আল বেদায়া ওয়ান্নেহায়া ৮ম খন্ডঃ ২২২ পৃষ্ঠা)
B)
হুজ্জাতুল ইসলাম (৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
ঐতিহাসিকগণ হাররার ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে ঘটনায় ৮০জন সাহাবী শহীদ হয়েছিলেন। এ ঘটনার পর আর কোন বদরী সাহাবী জীবিত থাকেন নি।
সুত্রঃ
ফতহুল বারী:৮/৬৫১
C)
এ হাররার ঘটনাকালে ইয়াযিদ বাহিনী মানুষ হত্যা, সম্পদ লুন্ঠন এবং নারী ধর্ষণ-সব কিছুই করেছিল।
সুত্রঃ
আত তাবারীঃ ৫/৪৮৪
আল কামিলঃ ৪/১১২
আল বিদায়াহঃ৮/২১৮
D)
এ হাররার ঘটনাকালে মুসলমানের রক্তে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল মদীনার রাস্তাগুলো। মুসলমানের রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওযা মোবারক পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মসজিদে নববী রক্তে ভরে গিয়েছিল। ১০০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল। (সেই পশু গুলোর) ধর্ষণের ফলে ১০০০ জারজ সন্তান জন্ম নিয়েছিল।
সুত্রঃ
আত তাযকিরাহ
ইমাম ইবনুল জাওযী
পেইজঃ ৬৩,১৬৩
↓
সেই ইয়াজিদকে ডঃ জাকির নায়েক বলে (রহিমুল্লাহ) আসুন দেখি সহিহ হাদিস কি বলেঃ
↓
E)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আল্লাহ, যে ব্যক্তি মদীনা বাসীর উপর অত্যাচার করে এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করে, তুমি তাকে ভয় প্রদর্শন কর। এমন ব্যক্তির উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং সকল মানুষের লা’নত বর্ষিত হোক।
রেফারেন্সঃ
মু’জামুল আওসাত লিত তাবারানীঃ২/১২৫/১
আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ লিল আলবানীঃ১/৬২০, ১/৩৫১
আলা মাজমা’ লিল হাইসামীঃ৩/৩০৬
↓
যদি কেউ বলে যে এই হাদিস দুর্বল বা জাল তাহলে তাদের জন্য এই আয়াতই যথেষ্ঠঃ
F.1 : হত্যার বিধান →
আয়াত:★ “যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় কোন মু’মিনকে কতল করে সে জাহান্নামী।”
সুরা নিসা ৯৩
হাদিস:
1.
★ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসলমানদেরকে গালাগালি করা ফাসেকি আর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কুফরী | [ বুখারী ৪৮, মুসলিম ৬৪ ]
2.
★আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। “ইয়া রাসুলুল্লাহ! এ ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন, যদি আমি কোন কাফিরের সম্মুখীন হই এবং সে আমার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তার তলোয়ার দ্বারা আমার একটি হাত উড়িয়ে দেয়, এরপর কোন গাছের আড়ালে গিয়ে বলে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম! এ কথা বলার পরও আমি কি তাকে কতল করতে পারি?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তাকে হত্যা করো না।” আমি আরয করলাম, “হে আল্লাহর রাসুল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলে এ কথা বলেছে, তবুও কি আমি তাকে হত্যা করব না?” তিনি বললেনঃ “না, হত্যা করতে পারবে না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর (তবে) এ হত্যার পুর্বে তোমার যে অবস্হান ছিল সে ব্যাক্তি সে স্হানে পৌছবে এবং কালিমা পড়ার আগে সে ব্যাক্তি যে অবস্হানে ছিল তুমি সে স্হানে পৌছবে।”
[সহীহ মুসলিম ১৭৬, সহীহ বুখারি ৩৭৯৪]
3.
★ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের একটি বাহিনী মুশরিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পাঠালেন। উভয় দল পরস্পর সম্মুর্খীন হল। মুশরিক বাহিনীতে এক ব্যাক্তি ছিল। সে যখনই কোন মুসলিমকে হামলা করতে ইচ্ছা করত, সে তাকে লক্ষ করে ঝাপিয়ে পড়ত এবং শহীদ করে ফেলত। একজন মুসলিম তার অসতর্ক মূহৃর্তের অপেক্ষা করতে নাগলেন। জুনদুব বললেন, আমাদের বলা হলো যে, সে ব্যাক্তি ছিল উসামা ইবনু যায়িদ। তিনি যখন তার উপর তলোয়ার উত্তোলন করলেন তখন সে বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ তবুও উসামা (রাঃ) তাকে হত্যা করলেন। দুত যুদ্ধে জয়লাভের সুসংবাদ নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে হাযির হলেন। তিনি তার কাছে যুদ্ধের পরিস্হিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তিনি সব ঘটনাই বর্ণনা করলেন, এমন কি সে ব্যাক্তির ঘটনাটিও বললেন যে তিনি কি করেছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামাকে ডেকে পাঠালেন এবং প্রশ্ন করলেন, তুমি সে ব্যাক্তিকে হত্যা করলে কেন? উসামা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে অনেক মুসলিমকে ঘায়েল করেছে এবং অমুক অমুককে শহীদ করে দিয়েছে। এ বলে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলেন। আমি যখন তাকে আক্রমণ করলাম এবং সে তলোয়ার দেখে অমনি ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ বলে উঠল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি তাকে মেরে ফেললে? তিনি বললেন, জি হ্যা। রাসুল বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার মাগফিরাতের জন্য দু’আ করুন। রাসুল বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ (কালিমা) নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করবে? তারপর তিনি কেবল এ কথাই বলছিলেনঃ কিয়ামতের দ্বীন যখন সে ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি এর অতিরিক্ত কিছু বলেন নি।
[মুসলিম ১৭৬]
F.2:
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ওপরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি”।
(সূরা আহযাব : ৫৭)
Note: ইমাম হোসাইনকে যারা কতল করেছে তাদের প্রতি আল্লাহ ও রাসুল উভয়ই অসন্তুষ্ট এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায়ঃ-
G)
হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশ (রা) থেকে বর্নিত,
নবীজী (সাঃ) বলেছেন,
আমাকে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছেন যে, আমি হযরত ইয়াহিয়া ইবনে জাকারিয়া (রা) এর হত্যার বদল হিসেবে ৭০ হাজার লোককে হত্যা করেছি, আমি আমার দৌহিত্রের হত্যার বদলা হিসেবে ৭০ হাজারের ৭০ গুন লোককে হত্যা করব। – আল্লাহু আকবার
★ তাবারানীঃ আল মুজমাউল কবীরঃ খন্ড ২৪ : পৃ: ৫৪ হাদিস ১৪১
★ আল হাকিমঃ সহিহ আল মুসতাদরেক : আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) এর সুত্রে, খন্ড ২ : পৃ: ৩১৯ : হাদিস ৩১৪৭
H)
হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি বিদায় হজ্বে আরফাতের দিন হুযূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘ক্বাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহণরত অবস্থায় বলতে শুনেছি,
یا ایها الناس انی تر کت فیکم ماان اخزتم به لن تضالو ا کتاب الله و عتدتی اهال بیتی
হে লোকেরা ! আমি তোমাদের মধ্যে যা রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা দৃঢ়ভাবে ধারণ কর তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না । তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর তথা আহলে বায়ত ।
[তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ – ৫৬৫ পৃঃ]
ভেবে দেখুন ইয়াজিদ কাকে কতল করল?
I)
তিনি বারবার বলতেন : ‘হুসাইন আমা থেকে,আর আমি হুসাইন থেকে।’
Reference :
★ কানযুল উম্মাল,৬ষ্ঠ খণ্ড,পৃ. ২২১;
★ সহীহ তিরমিযী,২য় খণ্ড,পৃ. ৩০৬;
★ মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল,৩য় খণ্ড;
★ হিলইয়াতু আবু নাঈম,৫ম খণ্ড, ৪র্থ খন্ড;
★ তারিখে বাগদাদ,৯ম খণ্ড;
★ তাহযিবুত তাহযীব,
★ ইবনে হাজার,৩য় খণ্ড;
★ সহীহ ইবনে মাজাহ;
★ মুস্তাদরাকুস সাহীহাইন,৩য় খণ্ড;
J)
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন:
‘মা ফাতেমা (রাঃ) সমস্ত জান্নাতী মহিলাদের সরদার আর ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (রাঃ) সমস্ত বেহেশতী যুবকদের সরদার।
Reference :
★ সহীহ তিরমিযী,২য় খণ্ড;
★ সহীহ ইবনে মাজাহ,
★ ফাযায়েলে আসহাবুন নবী অধ্যায়;বুখারী ফি আদাবুল মুফরাদ
►Tirmidhi, al-Jami-us-sahih (5:660#3781)
►Nasai, as-Sunan-ul-kubra (5:80,95#8298,8365)
►Nasai, Fadhail-us-sahabah (p.58,72#193,260)
►Ahmad bin Hambal, al-Musnad (5:391)
►Ahmad bin Hambal, Fadail-us-sahabah (2:788#1406)
►Ibn Abi Shaybah, al-Musannaf (6:388#32271)
►Hakim, al-Mustadrak (3:164#4721,4722)
►Tabarani, al-Mujam-ul-kabir (22:402#1005)
►Bayhaqi, al-Itiqad (p.328)
►Muhibb Tabari, Dhakhair-ul-uqba fi-manaqib dhaw-il-qurba (p.224)
K)
হযরত আল-মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
“ফাতেমা ( রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা) আমার শরীরের অংশ (যেমন ঠিক তেমন)। সুতরাং যে তাকে অসন্তুষ্ট করল, সে যেন আমাকেই অসন্তুষ্ট করল।”
Reference :
★ বুখারীঃ আস-সহীহ, ৩য় খন্ড, পৃ.১৩৬১, ১৩৬৪, ১৩৭৪, হাদীস:
৩৫১০,
৩৫২৩,
৩৫৫৬; এবং
৫ম খন্ড, পৃ.২৩০৩, হাদীস: ৪৯৩২;
★ মুসলিমঃ আস-সহীহ, ৪/১৯০৩, হাদীস: ২৪৪৯]
★ মুসলিমঃ আস-সহীহ, ৭/১৪১, হাদীস: ৬৪৬১]
এই হাদিসের ৬৬টি রেফারেন্স আছে এত গুলো টাইপ করাও সম্ভব নয়।
ইয়াজিদ সম্পর্কে হাদিসে পাকে সুষ্পষ্ট ভবিষ্যৎবানীঃ
L)
সাহাবী হযরত আবু উবাইদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,প্রিয় রাসুল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ইরশাদ করছেন,
আমার উম্মতের শাসন ন্যায়সঙ্গত থাকবে অর্থাৎ শাসক ন্যায়পরায়ণ হবে।সর্বপ্রথম যে তা বিনষ্ট করবে সে হল বনু উমাইয়ার এক পুরুষ যার নাম হবে এজিদ।
Reference :
★ Musannaf Ibn Abi Shaiba, Vol 8, Pg No. 341. Hadith no. 145
★ Dalaail Un Nabuwwah lil Baihaqi- Abwab Ghazwa Tabuk, Hadith No.2802
★ Imam Abu Ya’ala has written in his “Musnad”
★ Imam Ibn Hajar Asqalani : Matalib al A’aliyah : Kitabul Futooh, Hadith No.4584.
★ Imam Shahabuddin Ahmed bin Hajar Haitami in “As- Sawaaiq Al Muhriqa”
★ Imam Ibn Katheer in “Bidayah Wan Nihayah”
★ Imam Jalaluddin Suyuti in “Tarikh Al Khulafa.”
হাদিসটির বিভিন্ন সুত্র :
1.
Hadhrat Abu Ubaidah bin Jarrah (May Allah SWT be well pleased with him)
2.
Hadhrat Abu Darda (May Allah SWT be well pleased with him)
3.
Hadhrat Abuzar Ghifari (May Allah SWT be well pleased with him).
সনদ পর্যালোচনা :
The great Muhaddith of the 3rd century Hijri
Imam Abu Ya’ala has recorded a Hadith along with its chain of narration in his Musnad Vol 2, Pg No. 71:
It has been narrated on the authority of Hadhrat Abu Ubaidah bin Jarrah (May Allah SWT be well pleased with him) that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said: The affairs of Ummah will be maintained with justice, till a person from Bani Ummayyah will be first to cast a crack in the religion. He will be called Yazid. All the narrators of this Hadith are honest and reliable.
The aforementioned Hadith has also been recorded by the great Muhaddith Imam Shahabuddin Ahmed bin Hajar Haitami in As Sawaaiq Al Muhriqa, Pg no. 132. He has recorded another Hadith in this regard in the same book on Pg No. 132.
Hadhrat Abu Darda (May Allah SWT be well pleased with him) relates: I heard the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) say: The first person to change My Sunnah will be a person from Bani Ummayyah who will be called Yazid.”
Imam Ibn Katheer has recorded the same Hadith in Bidayah wan Nihayah, Vol 6, Pg No. 256 on the authority of Hadhrat Abuzar Ghifari (May Allah SWT be well pleased with him). In that narration, the words, “who will be called Yazid,” are not related.
ভিন্ন সনদে আসার কারনে তা হাসান পর্যায়ে পৌঁছেছে।
الطريق الأول : هشام بن الغاز عن مكحول:
و اختلف عن هشام :
أ- فتارة يرويه عن مكحول عن أبي عبيدة بن الجراح مرفوعا ، رواه عنه :
1- عبد القدوس بن الحجاج الخولاني [و هو صدوق] :أخرجه نعيم بن حماد في الفتن (817) و (824) .
2- يحيى بن حمزة الحضرمي [ثقة رمي بالقدر] :أخرجه أحمد بن منيع في “مسنده” كما في “المطالب العالية” (4466) ، و أبي يعلى الموصلي في “مسنده” (870) .
ب- و تارة يرويه عن مكحول ، عن أبي ثعلبة الخشني ، عن أبي عبيدة بن الجراح مرفوعا ، رواه عنه :
أخرجه يعقوب بن سفيان الفسوي في “المعرفة و التاريخ” (1/295) ، و من طريقه البيهقي في “الدلائل” (6/467) ، و ابن عساكر في “تاريخه” (68/41) .
الطريق الثاني : سليمان بن أبي داود عن مكحول :
أخرجه البزار في “مسنده” (1284) :وَحَدَّثَنَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ الْحَرَّانِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي دَاوُدَ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ مَكْحُولٍ ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيُّ ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يَزَالُ هَذَا الأَمْرُ قَائِمًا حَتَّى يَثْلِمَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ.
قال البزار : “وَهَذَا الْحَدِيثُ لاَ نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ، إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ بِهَذَا الإِسْنَادِ” .
الطريق الثالث : الأوزاعي عن مكحول :
أخرجه الحارث بن أبي أسامة في “مسنده” (رقم 616-بغية الباحث) ، و أبي يعلى الموصلي في “مسنده” (871) فقالا : حدثنا الحكم بن موسى حدثنا الوليد بن مسلم عن الأوزاعي عن مكحول ، عن أبي عبيدة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : ” لا يزال أمر أمتي قائما بالقسط حتى يكون أول من يثلمه رجل من بني أمية يقال له يزيد ” .
الطريق الرابع : هشام بن عروة عن أبيه ، عن جابر ، عن أبي عبيدة :
أخرجه محمد بن الحسين الحاجي البزاز في “فوائده” كما في “أخبار قزوين” للرافعي (1/475) : فقال أنبأ أبو الحسين محمد بن عمار البزاز ثنا علي بن إبراهيم بن سلمة ثنا أحمد بن علي بن الفضل الخزاز ثنا عبيد بن صدقة النصيبي ثنا محمد بن سليمان حدثني صدقة بن عبد الله عن هشام بن عروة عن أبيه عن جابر عن أبي عبيدة قال قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم: “لا يزال هذا الأمر قائما بالقسط حتى ثلمه رجل من بني أمية”.
তাছাড়া এ ব্যাপারে আরেকটি হাদীস আছে, যা আলবানী হাসান বলেছেন,
حديث أبي ذر مرفوعًا بلفظ: «أول من يغير سنتي رجل من بني أمية!» أخرجه ابن أبي عاصم في «الأوائل» [رقم/ 63]، وابن أبي شيبة [رقم/35877]، وابن عدي في الكامل [164/3
حسنه الإمام في الصحيحة [329/4