পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।
الفصل الأول: في فضل الصوم مطلقا
প্রথম অনুচ্ছেদ: রোযার ফযীলত সম্পর্কিত
23561- الصيام جنة. (حم ن عن أبي هريرة) .
রোযা ঢালস্বরুপ।
23562- نوم الصائم عبادة، وصمته تسبيح، وعمله مضاعف ودعاؤه مستجاب، وذنبه مغفور. (هب عن عبد الله بن أبي أوفى)
রোযাদারের শয়ন করাও ইবাদত। তার নীরবতা তাসবীহ। তার আমলের প্রতিদান বহুগুণ। তার দুআ কবুল করা হয় আর তার গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
23563- الصيام جنة من النار كجنة أحدكم من القتال. (حم ن هـ عن عثمان بن أبي العاص)
রোযা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল। যেমন যুদ্ধে তোমাদের ঢাল থাকে।
23564- الصيام جنة حصينة من النار. (هب عن جابر) .
রোযা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল ও দূর্গ।
23565- الصيام جنة وحصن حصين من النار. (حم، هب عن أبي هريرة) .
রোযা ঢালস্বরুপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার মজবুত দূর্গ।
23566- الصيام جنة ما لم يخرقها. (ن هق عن أبي عبيدة) .
রোযা ঢালস্বরুপ। অতএব রোযাদার যেন (মন্দ কর্ম দ্বারা) তা ভেঙ্গে না ফেলে।
23567- الصيام جنة ما لم يخرقها بكذب أو غيبة. (طس عن أبي هريرة) .
রোযা ঢালস্বরুপ। যে পর্যন্ত রোযাদার তা মিথ্যা ও গীবত দ্বারা ভেঙ্গে না ফেলে।
23568- من صام يوما لم يخرقه كتب له عشر حسنات. (حل عن البراء) .
যে একদিন রোযা রাখল আর তা নষ্ট করল না, তার জন্য দশটি নেকী লিখে দেওয়া হয়।
23569- الصيام جنة وهو حصن من حصون المؤمن، وكل عمل لصاحبه إلا الصيام يقول الله: الصيام لي وأنا أجزي به. (طب عن أبي أمامة) .
রোযা ঢালস্বরুপ আর মুমিনের দূর্গের মধ্য থেকে একটি মজবুত দূর্গ। আর প্রত্যেক আমল তার কর্তার জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু রোযা শুধু আল্লাহর জন্য। অতএব আল্লাহ তাআলা বলেন- রোযা আমার জন্য আর আমি নিজেই তার প্রতিদান দিব।
23570- الصيام جنة من النار فمن أصبح صائما فلا يجهل يومئذ فإذا امرؤ جهل عليه فلا يشتمه ولا يسبه وليقل: إني صائم والذي نفس محمد بيده لخلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك. (ن عن عائشة) .
রোযা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ঢাল। যে ব্যক্তি সকালে রোযা অবস্থায় উঠে এবং কোন মূর্খতার আচরণ করে না। আর যে তার সাথে মূর্খতার আচরণ করতে আসে সে তাকে কোন গালি দেয় না আর না কোন ভাল-মন্দ বলে বরং বলে যে, আমি রোযাদার (তবে সে-ই উত্তম রোযাদার)। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ! রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশক আম্বরের চেয়েও উত্তম।
23571- الصيام نصف الصبر وعلى كل شيء زكاة، وزكاة الجسد الصيام. (هب عن أبي هريرة) .
রোযা সবরের অর্ধেক। আর প্রত্যেক বস্তুর যাকাত রয়েছে। আর শরীরের যাকাত হলো রোযা।
23572- لكل شيء زكاة، وزكاة الجسد الصوم. (هـ عن أبي هريرة طب عن سهل بن سعد) .
প্রত্যেক বস্তুর যাকাত রয়েছে। আর শরীরের যাকাত হলো রোযা।
23573- الصيام نصف الصبر. (هب عن أبي هريرة) .
রোযা সবরের অর্ধেক।
23574- الصيام لا رياء فيه، قال الله تعالى: “هو لي وأنا أجزي به يدع طعامه وشرابه من أجلي”. (هب عن أبي هريرة) .
রোযায় রিয়াকারী হয় না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন- রোযা আমার জন্য আর আমি নিজেই তার প্রতিদান দিব। কারণ সে আমারই জন্য পানাহার পরিত্যাগ করেছে।
23575 – الصيام والقرآن يشفعان للعبد يوم القيامة يقول الصيام أي رب إني منعته الطعام والشهوات بالنهار فشفعني فيه ويقول القرآن : رب منعته النوم بالليل فشفعني فيه فيشفعان
( حم طب ك هب عن ابن عمرو )
রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমিই তাকে দিনের বেলা পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত রেখেছিলাম। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর। আর কুরআন বলবে- হে আমার প্রতিপালক! রাতের বেলা আমিই তাকে (কিয়ামুল লাইলের জন্য) নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর। সুতরাং তাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে।
চলবে
23576- إن الله تعالى يقول: إن الصوم لي وأنا أجزي به، وإن للصائم فرحتين إذا أفطر فرح، وإذا لقي الله تعالى وجزاه فرح والذي نفس محمد بيده لخلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك. (حم م ن عن أبي هريرة وأبي سعيد معا) .
আল্লাহ তাআলা বলেন- নিশ্চয়ই রোযা আমার জন্য আর আমি নিজেই তার প্রতিদান দিবে। রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হলো ইফতারের সময়। আরেকটি আনন্দ হলো আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ! রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশক আম্বরের চেয়েও অধিক উত্তম।
23577- إن الصائم إذا أكل عنده لم تزل تصلي عليه الملائكة حتى يفرغ من طعامه. (حم ت هب عن أم عمارة) .
রোযাদারের সামনে যখন খাবার খাওয়া হয় তখন ফেরেশতা বরারব তার জন্য মাগফিরাতের দুআ করতে থাকে- যে পর্যন্ত আহারকারীর আহার শেষ না হয়।
23578- الصائم إذا أكلت عنده [المفاطير] صلت عليه الملائكة. (ق هـ عن أم عمارة) .
রোযাদারের সামনে যখন খাবার খাওয়া হয় তখন ফেরেশতা তার জন্য মাগফিরাতের দুআ করে।
23579- إن في الجنة بابا يقال له الريان يدخل منه الصائمون يوم القيامة لا يدخل منه أحد غيرهم يقال: أين الصائمون؟ فيقومون فيدخلون منه، فإذا دخلوا أغلق فلم يدخل منه أحد. (حم ق عن سهل بن سعد) .
জান্নাতের একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন এর মধ্যে দিয়ে কেবল রোযাদাররাই প্রবেশ করবে। রোযাদার ব্যতীত কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করবে না। অতএব বলা হবে, রোযাদারেরা কোথায়? তখন রোযাদাররা দাড়িয়ে যাবে আর সেই দরজা দিয়ে তারা প্রবেশ করবে। যখন তারা ভিতরে প্রবেশ করবে তখন দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে আর সেই দরজা দিয়ে অপর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
23580- للصائمين باب في الجنة يقال له الريان لا يدخل فيه أحد غيرهم، فإذا دخل آخرهم أغلق، من دخل فيه شرب، ومن شرب لم يظمأ أبدا. (ن عن سهل بن سعد) .
রোযাদারদের জন্য জান্নাতের একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান বলা হয়। সেই দরজা দিয়ে রোযাদার ব্যতীত আর কেউ প্রবেশ করবে না। অতএব যখন শেষ রোযাদার সেখান দিয়ে প্রবেশ করবে তখন সেখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। যে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে সেখানে জান্নাতের পানি অথবা শরাব পান করবে। আর যে তা একবার পান করবে সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না।
23581- في الجنة ثمانية أبواب فيها باب يسمى الريان لا يدخله إلا الصائمون. (خ عن سهل بن سعد)
জান্নাতের আটটি দরজা আছে। তার মধ্যে একটি দরজা আছে যাকে রাইয়ান নামে সম্বন্ধ করা হয়। যার মধ্য দিয়ে রোযাদাররা ব্যতীত আর কেউ প্রবেশ করবে না।
23582- في الجنة باب يدعى له الصائمون، فمن كان من الصائمين دخله، ومن دخله لا يظمأ أبدا. (ت هـ عنه) .
জান্নাতের একটি দরজা আছে, যার থেকে কেবল রোযাদারদেরই ডাকা হবে। ওর মধ্যে কেবল রোযাদাররাই প্রবেশ করবে। আর যে-ই সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না।
23583- لكل باب من أبواب البر باب، من أبواب الجنة، وإن باب الصيام يدعى الريان. (طب عن سهل بن سعد) .
প্রত্যেক নেককাজের দরজার জন্য একটি দরজা রয়েছে, যা জান্নাতের দরজার মধ্য থেকে হবে। আর রোযার দরজাকে রাইয়ান বলা হয়ে থাকে।
চলবে
পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!