ইমানের পূর্বশর্ত

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সঠিক ঈমান ছাড়া যতই আমল করি না কেন, তা কোন কাজে আসবে না।ঈমানের কিছু পূর্ব শর্ত আছে। 

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন

, إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا. لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

অর্থ:” নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রত্যক্ষদর্শী (হাজির-নাজির),সুসংবাদদাতা ও সর্তককারীরুপে প্রেরণ করেছি। যাতে (হে লোকেরা) তোমরা আল্লাহ  ও তার রাসুলের উপর ঈমান আনো এবং রাসুলকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করো এবং সকাল – সন্ধ্যা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর।”

→সুরা ফাতহ, আয়াত নং : ৮ – ৯

হে মুসলিমগণ, লক্ষ্য করুন, এই আয়াতে ইসলামের  আবির্ভাব ও কোরআন অবতরণের তিনটি উদ্দেশ্যে ব্যক্ত করা হয়েছে-

√ এক, আল্লাহ এবং তার রাসুল ﷺ এর উপর ঈমান আনা,

√ দুই, প্রিয় রাসুল ﷺ  কে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা আর

√তিন, আল্লাহর ইবাদত করা।

হে মুসলমানগণ! এ তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মুল্যবান ক্রম খেয়াল করুন। সর্বপ্রথমে ঈমানের কথা আর সর্বশেষে ইবাদতের কথা উল্লেখ আছে এবং এ দু’য়ের মাঝে উল্লেখ আছে আল্লাহর প্রিয় নবী ﷺ এর প্রতি সম্মানের কথা, কেননা ঈমান ব্যতীত কেবল শ্রদ্ধা ও সম্মান কোন কাজে আসবে না।

বহু খ্রিস্টধর্মাবলম্বী প্রিয় নবী ﷺ কে পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে,তারা প্রিয়নবী ﷺএর সম্মান রক্ষার খাতিরে বই লিখেন, তাঁর ﷺপ্রতি বিধর্মী দূরাচারীদের আরোপিত বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে এবং এ নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়, কিন্তু ঈমান ছাড়া এসব একেবারেই অর্থহীন। কারণ, এগুলো কেবল বাহ্যিক সম্মান। সত্যিকার অর্থে যদি প্রিয়নবীﷺ এর  প্রতি তাদের সম্মান থাকতো, তাহলে তারা নিশ্চয়ই ঈমান আনতো। অন্যদিকে, প্রিয়নবীﷺ প্রতি সত্যিকার সম্মানবোধ না রেখে সারা জীবন আল্লাহর ইবাদত করলেও তা বৃথা ও প্রত্যাখ্যাত হবে। অনেক সাধু-সন্ন্যাসী আছেন যারা সংসারের মায়া ত্যাগ করে নিজস্ব পদ্ধতি মোতাবেক স্রষ্ঠার উপাসনায় জীবন কাটিয়ে দেন। এমনকি তাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু”” এর যিকির শিখে তা পাঠ করেন।

কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সাইয়িদুনা মুহাম্মাদ মুস্তাফাﷺ’র প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে না, তাদের এসব উপাচার বিফলে যাবে। এসবের কোনো কিছুই আল্লাহ্ র কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

আল্লাহ্ এমন লোকেদের প্রসঙ্গে বলছেন-وَ قَدِمۡنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوۡا مِنۡ عَمَلٍ فَجَعَلۡنٰهُ هَبَآءً مَّنۡثُوۡرًا

অর্থ:” যে সমস্ত আমল তারা করেছে, আমি সব আমল বিনষ্ট করে দিয়েছি।”

→সুরা আল ফুরকান, আয়াত: ২৩

তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন-

عَامِلَۃٌ نَّاصِبَۃٌ. تَصۡلٰی نَارًا حَامِیَۃً

“তারা অক্লান্ত সাধনা করে, কিন্তু তবু্ও,  তারা জ্বলন্ত অগ্নিতে প্রবেশ করবে।”

→সুরা আল গাশিয়াহ, আয়াত: ৩-৪

 (আল্লাহর কাছে পানাহ চাই!)

হে মুসলিমগণ! বলুন, ঈমান, নাজাতপ্রাপ্তি ও আমল কবুল হওয়ার ভিত্তি কি প্রিয় নবী  ﷺ প্রতি সম্মানের উপর নির্ভরশীল নয়? বলুন, অবশ্যই নির্ভরশীল।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন – قُلۡ اِنۡ کَانَ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ وَ اِخۡوَانُکُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ وَ عَشِیۡرَتُکُمۡ وَ اَمۡوَالُۨ اقۡتَرَفۡتُمُوۡهَا وَ تِجَارَۃٌ تَخۡشَوۡنَ کَسَادَهَا وَ مَسٰکِنُ تَرۡضَوۡنَهَاۤ اَحَبَّ اِلَیۡکُمۡ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ جِهَادٍ فِیۡ سَبِیۡلِهٖ فَتَرَبَّصُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰهُ بِاَمۡرِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿

“আপনি বলে দিন – যদি তোমাদের মাতা-পিতা, পুত্র, ভাই, স্ত্রী, পরিবার পরিজন, অর্জিত সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য- যাতে লোকসান হওয়ার আশংকা করো এবং পছন্দের বাসস্থান- এসব যদি তোমাদের কাছে আল্লাহ, তার রাসুল এবং তার পথে সংগ্রাম করার চাইতে বেশি প্রিয় হয়, তবে আল্লাহর শান্তি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। আর আল্লাহ পাপাচারীদের পথ প্রদর্শন করেন না।”

→সুরা আত তওবা, আয়াত: ২৪

এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট বোঝা গেলো, যার কাছে পৃথিবীতে কোনো সম্মানিত ব্যক্তি, কোনো প্রিয়জন, কোনো সম্পদ বা অন্য কোনো বস্তু আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল ﷺ  এর চাইতে বেশি প্রিয় হয়, সে আল্লাহ্’র দরবারে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে, আল্লাহ্  এমন ব্যক্তিকে তাঁর দিকে আসার পথ দেখাবেন না। এমন ব্যক্তির উচিৎ আল্লাহ্ র আযাবের অপেক্ষা করা। (আল্লাহ্’র কাছে পানাহ্ চাই!)

আমাদের প্রিয় নবী ﷺ ইরশাদ করেন, 

لايؤمن احدكم، حت اكون احب اليه من والده وولده 

والناس اجمعين

“তোমাদের মধ্যে কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিকার মুমিন বলে গণ্য  হবে না. যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার মা-বাবা, সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষের চাইতে সর্বাধিক প্রিয় না হই।

→সহীহ বোখারী শরীফ, হাদিস নং- ১৪ ও ১৫

→ সহীহ মুসলিম শরীফ,  হাদিস নং- ৬৯ ও ৭০।

প্রিয় নবী করিম এর এই হাদিসটি সহীহ বুখারী ও মুসলিমে সায়্যিদুনা আনাস ইবনু মালিক আনসারি এর সূত্রে বর্ণিত আছে। এখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে – কোনো ব্যক্তি যদি ( সৃষ্টির মাঝে) অন্য কাউকে প্রিয়নবী ﷺ   এর চাইতে বেশি প্রিয় বিবেচনা করে, সে কখনও মুসলমান হতে পারেনা।

হে মুসলিমগণ, এবার বলুন, প্রিয় রাসুল ﷺ ও এর প্রতি সমস্ত জগতের চাইতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ঈমান ও নাজাতের পূর্বশর্ত হলো কিনা? বলুন! ‘হ্যাঁ, তাই’, আসলেই তাই। এমনকি যারাই এই কালিমা পড়ে তারা সকলেই  সানন্দে স্বীকার করবে – নিশ্চয়ই আমাদের অন্তরে রাসুলুল্লাহ্ ﷺ  ‘র জন্য অপার ভক্তি ও সম্মান রয়েছে। নিঃসন্দেহে, মা-বাবা, সন্তান-সন্ততি ও সমগ্র জগতের চাইতে আমরা প্রিয়নবীকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার ভাইয়েরা! আল্লাহ্ যেনো এ কথাকে সত্য করেন। কিন্তু, মন দিয়ে শুনুন আমাদের রব কি বলছেন, আল্লাহ্  বলছেন –

اَحَسِبَ النَّاسُ اَنۡ یُّتۡرَکُوۡۤا اَنۡ یَّقُوۡلُوۡۤا اٰمَنَّا وَ هُمۡ لَا یُفۡتَنُوۡنَ

“মানুষ কি এই ভেবে বসে আছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একটুকু বললেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে? তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে না?”

→ সুরা আল আনকাবুত, আয়াত নং -২

এ আয়াতে মুসলিমদের সতর্ক করা হচ্ছে যে, কেবল কালিমা পড়লে কিংবা মুখে মুসলিম দাবি করলে রেহাই মিলবে না। শুনুন! আপনাকে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। কেবল সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মুসলিম বলে গণ্য হবেন। যে কোনো পরীক্ষায় এটা যাচাই করে দেখা হয় যে, ব্যক্তি মুখে যা দাবী করছে, তা বাস্তবে তার মধ্যে আছে কি নেই। এর আগে আমরা দেখেছি কুরআন ও হাদীসে বলা হয়েছে- ঈমান বর্তমান থাকা ও সত্যিকার ঈমানের জন্য দুইটা বিষয় আবশ্যক –

১। প্রিয়নবী  ﷺ কে ভক্তি, সম্মান ও শ্রদ্ধা করা।

২। প্রিয়নবীর   ﷺ প্রতি ভালোবাসাকে সমস্ত সৃষ্টির উপরে প্রাধান্য দেয়া।

এই চূড়ান্ত পরীক্ষাটি হলো এমন

তাদের কথাই ভাবুন যাদের আপনি ভালোবাসেন; তাদের জন্য আপনার অন্তরে যতই সম্মান থাকুক, তাদের সাথে যতই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব থাকুক, যতই স্নেহের সম্পর্ক থাকুক-  কোনো বিষয় না – তিনি হতে পারেন আপনার বাবা, আপনার শিক্ষক, আপনার শায়খ, সন্তান-সন্ততি, ভাই, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কোনো আলিম স্থানীয় ব্যক্তিত্ব, হাফিযে কুরআন, মুফতি, দ্বীনের দাঈ- যেই হোক; যদি তাদের কেউ যখনই পবিত্রতম রাসুল ﷺ এর শানে বেয়াদবি, গোস্তাখি বা অসম্মান করে, তখন আপনার অন্তরে তাদের জন্য সম্মান ও ভালবাসার ছিটেফোঁটাও পর্যন্ত থাকা উচিত না।

ততক্ষণাত  তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুন, দুধের গ্লাসে পড়া মাছির মতো বের করে ছুঁড়ে ফেলুন। তাদের নামের প্রতিও ঘৃণা রাখুন, এমনকি তাদের চেহারাও দেখবেন না। তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, অথবা তাদের সম্মান-মর্যাদা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা কিংবা তাদের বিশেষত্ব এসব দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। এসব গুণের কদর তো কেবল প্রিয়তম রাসুল সাইয়্যিদুনা মুহাম্মাদ ﷺ  ‘র খাতিরেই হয়ে থাকে। কিন্তু যখন ব্যক্তি আমাদের মাওলা (অভিভাবক) মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ্  ﷺ এর শানে বেয়াদবি করে, তখন এই সম্পর্কের কি মূল্য থাকতে পারে? তাদের লম্বা জুব্বা, বড় পাগড়ি আমরা কেনো খুশি হবো? অনেক ইহুদীরাও কি জুব্বা পাগড়ি পরে না? আমরা কেনো তাদের নাম, জ্ঞান ও বাহ্যিক শ্রেষ্ঠত্বের তোয়াক্কা করবো? আমরা কি জানিনা যে এমনও অনেক জ্ঞানী খ্রিস্টান যাজক ও অনেক দার্শনিক আছেন যারা বহু শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য রাখেন? আপনি যদি এরপরও এসব কথায় আমল না করেন, বরং যে ব্যক্তি প্রিয় রাসুলে পাক  ﷺ এর শানে বেয়াদবি করে তার পক্ষে অজুহাত খুঁজেন, বা তাকে সর্বনিকৃষ্ট, জঘন্যতম পাপাচারী মন করেন; অথবা কমপক্ষে, যদি এসব তুচ্ছ মনে করেন এবং যে রাসুলুল্লাহ্ ﷺ  কে অসম্মান করে তার প্রতি আপনার মনে ঘৃণার উদ্রেক না হয়, তবে আল্লাহ্’র ওয়াস্তে নিজেই বিবেচনা করে দেখুন, ঈমানের পরীক্ষায় আপনি কি সফল হয়েছেন?

কুরআন ও হাদিসে যাকে ঈমান অর্জনের পূর্বশর্ত বলা হয়েছে, তা থেকে কত দূরে সরে গেছেন সেটা হিসাব করুন! হে মুসলিমগণ! যার অন্তরে রাসুলে আরাবি সাইয়্যিদুনা মুহাম্মাদ মুস্তাফা  ﷺ ‘র প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জগতের সবকিছুর তুলনায় বেশি রয়েছে, সে কি ঐ ব্যক্তিদের সম্মান করতে পারে যারা রাসুলের শানে বেয়াদবি করে? হোক না সে অপকর্মকারী তার শায়খ / পীর, উস্তাদ কিংবা জন্মদাতা পিতা! ঐ ব্যক্তি যদি তার নিকটতম বন্ধু বা ভাই হয় তবে তাকে কি সে ঘৃণা করবে না- যেহেতু তার কাছে হুযুর সমগ্র জাহাन থেকেও বেশি প্রিয়?

আল্লাহ্’র ওয়াস্তে, নিজের প্রতি দয়া করুন আর আল্লাহর নির্দেশ শুনুন ও দেখুন, তিনি আপনাদেরকে তাঁর দয়ার প্রতি কিভাবে আহবান করছেন

– لَا تَجِدُ قَوۡمًا یُّؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ یُوَآدُّوۡنَ مَنۡ حَآدَّ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اٰبَآءَهُمۡ اَوۡ اَبۡنَآءَهُمۡ اَوۡ اِخۡوَانَهُمۡ اَوۡ عَشِیۡرَتَهُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ کَتَبَ فِیۡ قُلُوۡبِهِمُ الۡاِیۡمَانَ وَ اَیَّدَهُمۡ بِرُوۡحٍ مِّنۡهُ ؕ وَ یُدۡخِلُهُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ رَضِیَ اللّٰهُ عَنۡهُمۡ وَ رَضُوۡا عَنۡهُ ؕ اُولٰٓئِکَ حِزۡبُ اللّٰهِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزۡبَ اللّٰهِ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ

“আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না -যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধবাদীদের ভালোবাসে – হোক না তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা আপনজন। এরা হচ্ছে তারাই যাদের অন্তরে তিনি ঈমান খোদাই করে দিয়েছেন, আর তাদের সাহায্য করেছেন তাঁর পক্ষ হতে এক রুহের মাধ্যমে। তিনি তাদের জান্নাতে দাখিল করবেন-  যার তলদেশে নহর বয়ে যায়, আর তাতে তারা চিরদিন থাকবে। আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহ্’র উপর সন্তুষ্ট । তারাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো, অবশ্যই আল্লাহ্ ‘র দলই সফলকাম হবে।”

→সুরা আল মুজাদালাহ, আয়াত: ২২

এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আল্লাহ্ অথবা রাসুল ﷺ  ও এর শানে অশোভন আচরণকারীদের সাথে মুসলিমরা যেন বন্ধুত্ব না করে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারা মুসলিম থাকবে না। এ হুকুমটি সার্বিক ও চূড়ান্ত। প্রকৃতির হওয়া সত্ত্বেও আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বাবা, ছেলে, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদির উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে- কেউ এমন আচরণকারীর সাথে বন্ধুত্ব অথবা মমত্ববোধ রাখতে পারবে না (বন্ধুত্ব বা ভালোবাসা যতই স্বাভাবিক বিষয় হোক), অন্যথায় সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

আলা হজরত আজিমুল বরকত মুজাদ্দিদ দ্বীন ও মিল্লাত ইমামে আহলে সুন্নাত আহমদ রেজা খান ফাজলে বেরলভী(রহ:) এর তামহীদ উল ঈমান থেকে সংগৃহীত

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment