ফিরকায়ে আহলে হাদিসদের একটাপোস্ট আমার চুখেপড়লো যেখানে লিখা, আসুন শবে বরাতপালন থেকে বিরতথাকি …।
বাপ দাদার কথায়ইসলাম চলে না, ইসলাম চলবে কুরআনহাদিসের দলিল দেইয়ে………
যাই হুক , আজএই পোস্টের আলোকেআমরা দেখে নিবযারা কুরআন হাদিসমানা নিয়ে মিছিলদেয় তারা কতটুকুকুরআন হাদিস মানে?
এই বেপারে আমরাআজকে দেখে নিবহাদিসে সবে বরাতসম্পর্কে কি বলাআছে , এবং সেইহাদিস গুলির মানতাদেরই বাপ দাদারতাহকীক মত কতটুকুমানার যোগ্য ।
প্রথমেই দেখে নেইবিভিন্ন হাদিসে শবেবারাআতের বর্ণনা এসেছে।যেমন-
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )
হযরত আলী বিনআবু তালীব রাঃথেকে বর্ণিত। রাসূলসাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন শাবানমাসের অর্ধেকের রজনীআসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতেনামায পড়, আরদিনের বেলা রোযারাখ। নিশ্চয় আল্লাহএ রাতে সূর্যডুবার সাথে সাথেপৃথিবীর আসমানে এসেবলেন-কোন গোনাহক্ষমাপ্রার্থীআছে কি আমারকাছে? আমি তাকেক্ষমা করে দিব।কোন রিজিকপ্রার্থী আছেকি? আমি তাকেরিজিক দিব। কোনবিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতেচায় কি? আমিতাকে বিপদমুক্ত করেদিব। আছে কিএমন, আছে কিতেমন? এমন বলতেথাকেন ফযর পর্যন্ত। {সূনানেইবনে মাজাহ, হাদীসনং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২}
عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
অনুবাদ-হযরত আয়শারাঃ বলেন-একরাতে রাসূল সাঃকে না পেয়েখুজতে বের হলাম।খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে[মদীনার কবরস্থান] গিয়েআমি তাঁকে দেখতেপেলাম। তিনি বললেন-কি ব্যাপার আয়শা? [তুমি যে তালাশেবের হলে?] তোমারকি মনে হয়আল্লাহ এবং তাঁররাসূল তোমার উপরকোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতেঅন্য কোন বিবিরঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়শা রাঃবললেন- আমার ধারণাহয়েছিল আপনি অন্যকোন বিবির ঘরেগিয়েছেন। রাসূল সাঃতখন বললেন-যখনশাবান মাসের ১৫ইরাত আসে অর্থাৎযখন শবে বরাতহয়, তখন আল্লাহপাক এ রাতেপ্রথম আসমানে নেমেআসেন। তারপর বনুকালব গোত্রের বকরীরপশমের চেয়ে বেশীসংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমাকরে দেন। {সুনানেতিরমিযী, হাদীস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিনহুমাইদ, হাদীস নং-১৫০৯}
যেহেতু গায়রে মুকাল্লিদ তথাকথিত আহলে হাদীসভাইয়েরা এ রাতেরফযীলতকে অস্বিকার করেথাকেন। তাই তাদেরকাছে গ্রহণযোগ্য এবংঅন্ধভাবে মান্যবর ব্যক্তিত্ব কথিতআহলে হাদিসদের ইমামশায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানীরহঃ তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ“আস সিলসিলাতুস সাহিহাহ আলমুজাল্লাদাতুলকামিলাহ” গ্রন্থে ৩নং খন্ডে ১১৪৪নং অধ্যায়ে ২১৮নাম্বার পৃষ্ঠায় শবেবারাআত সম্পর্কে হাদিসএনে যে দীর্ঘআলোচনা করে যেমত ব্যক্ত করেছেনতা তোলে ধরাহল-
عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن )
অনুবাদ-হযরত মুয়াজবিন জাবাল রাঃথেকে বর্ণিত। রাসূলসাঃ ইরশাদ করেছেন-অর্ধ শাবানের রাতে[শবে বরাতে]আল্লাহতাআলা তাঁর সমস্তমাখলুকের প্রতি মনযোগআরোপ করেন এবংমুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়াসকলকে ক্ষমা করেদেন। {সহীহ ইবনেহিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীসনং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাকবিন রাহওয়াই, হাদীসনং-১৭০২, আলমুজামুল আওসাত, হাদীসনং-৬৭৭৬, আলমুজামুল কাবীর, হাদীসনং-২১৫, সুনানেইবনে মাজা, হাদীসনং-১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবীশাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪}
আলবানী তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩নং খন্ডের ১৩৫নং পৃষ্ঠায় বলেন।“এই হাদিসটি সহীহ” এটি সাহাবাদের একজামাত বর্ণনা করেছেনবিভিন্ন সূত্রে যারএকটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে।তাদের মাঝে রয়েছেন # মুয়াজবিন জাবাল রাঃ# আবু সা’লাবারাঃ # আব্দুল্লাহ বিনআমর রাঃ # আবুমুসা আশয়ারী রাঃ# আবু হুরায়রা রাঃ# আবু বকর সিদ্দীক রাঃ# আউফ বিন মালিকরাঃ # আয়েশা রাঃপ্রমুখ সাহাবাগণ।
উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিসতিনি তার কিতাবেআনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পরশেষে তিনি বলেন-
و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب و الصحة تثبت بأقل منها
عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث ، فما نقله
الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في ” إصلاح المساجد ” ( ص ১০৭ ) عن أهل التعديل
و التجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح ، فليس مما ينبغي
الاعتماد عليه ، و لئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبل
التسرع و عدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك . و الله تعالى هو الموفق
অর্থাৎ “সারকথাহল এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এইসকল সূত্র পরম্পরা দ্বারাসহীহ, এতে কোনসন্দেহ নেই। আরসহীহ হওয়া এরথেকে কম সংখ্যকবর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়েযায়, যতক্ষণ নামারাত্মক কোন দুর্বলতা থেকেবেঁচে যায়, যেমনএই হাদিসটি হয়েছে। আরযা বর্ণিত শায়েখকাসেমী থেকে তারপ্রণিত “ইসলাহুল মাসাজিদ” গ্রন্থের ১০৭নং পৃষ্ঠায় জারাহতা’দীল ইমামদের থেকেযে, “শাবানের অর্ধমাসের রাতের কোনফযীলত সম্পর্কে কোনহাদিস নেই মর্মে” সেই বক্তব্যের উপরনির্ভর করা যাবেনা। আরযদি কেউ তামেনে নেয় সেহবে ঝাঁপিয়ে পড়া(ঘারতেড়া) স্বভাবের, আরতার ব্যখ্যা-বিশ্লেষণ ওগবেষণা-উদ্ভাবনের কোনযোগ্যতাই নেই এরকমভাবে যেমনআমি করলাম”।
শায়েখ আলবানী রহঃএর বিশ্লেষণ থেকেএকথা নির্ধিদ্ধায় আমরাবলতে পারি হাদিসদ্বারা শবে বারাআতপ্রমাণিত।
আল্লাহ এদের ফিতনাও অপপ্রচার থেকেমুস্লিম উম্মাহ কেহেফাজত করুন , আমীন।