আহলে বাইয়াত কারা?
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
باب فَضَائِلِ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَدَاةً وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ جَاءَ الْحُسَيْنُ فَدَخَلَ مَعَهُ ثُمَّ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَدْخَلَهَا ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ قَالَ ( إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا)
৬০৪৩। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র (রহঃ) … আয়িশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সকালে বের হলেন। তাঁর গায়ে ছিলো কাল পশম দ্বারা খচিত একটি পশমী চাঁদর। হাসান ইবনু আলী (رضي الله عنه) এলেন, তিনি তাঁকে চাঁদরের ভেতর ঢুকিয়ে নিলেন। হুসায়ন ইবনু আলী (رضي الله عنه) এলেন, তিনিও তার সঙ্গে (চাদরে) ঢুকে পড়লেন। ফাতিমা (رضي الله عنه) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। অতঃপর আলী (رضي الله عنه) এলেন, তাঁকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। পরে বললেনঃ হে আহলে বাইত! আল্লাহ তাআলা তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে বিদুরিত করে তোমাদের অতিশয় পবিত্রময় করতে চান।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ، هُوَ الأَنْمَاطِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَخْطُبُ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ “ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا كِتَابَ اللَّهِ وَعِتْرَتِي أَهْلَ بَيْتِي ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَزَيْدُ بْنُ الْحَسَنِ قَدْ رَوَى عَنْهُ سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ .
৩৭৮৬। জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আমি তার বিদায় হজ্জে আরাফার দিন তার কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখেছি এবং তাকে বলতে শুনেছিঃ হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা ধারণ বা অনুসরণ করলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহ তা’আলার কিতাব (আল-কুরআন) এবং আমার ইতরাত অর্থাৎ আমার আহলে বাইত।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، رَبِيبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَّ : ( إنمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا ) فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَدَعَا فَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ وَعَلِيٌّ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا ” . قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ” أَنْتِ عَلَى مَكَانِكِ وَأَنْتِ عَلَى خَيْرٍ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ .
৩২০৫। উমার ইবনু আবী সালামাহ্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আশ্রয়ে লালিত পালিত হন। তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ (رضي الله عنه)-এর ঘরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল (অনুবাদ) “আল্লাহ তা’আলা তো চান আহলে বাইত হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে”– (সূরা আহযাবঃ ৩৩), তখন তিনি ফাতিমাহ, হাসান ও হুসাইন (رضي الله عنه)-কে ডাকলেন এবং তাদেরকে একটি কম্বলের ভিতর ঢেকে নিলেন।
আলী (رضي الله عنه) তার পিছনে ছিলেন। তিনি তাকেও কম্বলের ভিতর নিয়ে নিলেন। তারপর তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বাইত’ (পরিবারের সদস্য)। তুমি তাদের ভিতর হতে অপরিচ্ছন্নতা দূর করে দাও এবং সম্পূর্ণরূপে পরিচ্ছন্ন করে দাও।” উম্মু সালামাহ (رضي الله عنه) বলেন, হে আল্লাহর নাবী! আমিও কি তাদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেনঃ তুমি স্ব-স্থানে থাক এবং তুমি কল্যাণের মধ্যেই আছ।
আহলে বাইয়াতকে ভালবাসা ও আঁকড়ে ধরার ফজিলতঃ
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، – كُوفِيٌّ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الآخَرِ كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَىَّ الْحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
৩৭৮৮। যাইদ ইবনু আরকাম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তরূপে ধারণ (অনুসরণ) করলে আমার পরে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণঃ আল্লাহ তা’আলার কিতাব যা আকাশ হতে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং আমার পরিবার অর্থাৎ আমার আহলে বাইত। এ দুটি কখনও আলাদা হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য কর আমার পরে দু’জনের সঙ্গে তোমরা কিভাবে আচরণ কর।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَصْبَهَانِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، رَبِيبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَّ : ( إنمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا ) فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ وَعَلِيٌّ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَجَلَّلَهُ بِكِسَاءٍ ثُمَّ قَالَ ” اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلُ بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا ” . قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَأَنَا مَعَهُمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ” أَنْتِ عَلَى مَكَانِكِ وَأَنْتِ إِلَى خَيْرٍ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَأَبِي الْحَمْرَاءِ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
৩৭৮৭। নাবী (ﷺ)-এর পোষ্য উমার ইবনু আবী সালামাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (رضي الله عنه)-এর ঘরে এ আয়াত নাবী (ﷺ)-এর উপর অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “হে নাবীর পরিবার। আল্লাহ তা’আলা তো চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পবিত্র করতে”– (সূরা আহযাব ৩৩)। সে সময় নাবী (ﷺ) ফাতিমাহ, হাসান ও হুসাইন (رضي الله عنه)-কে ডাকেন এবং তাদেরকে একখানা চাদরে আবূত করেন। তার পেছনে আলী (رضي الله عنه) ছিলেন। তিনি তাকেও চাদরে ঢেকে নেন, তারপর বললেনঃ “হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বাইত। অতএব তুমি তাদের হতে অপবিত্রতা অপসারণ করে দাও এবং তাদেরকে উত্তমভাবে পবিত্র কর”। সে সময় উম্মু সালামাহ্ (رضي الله عنه) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত কি? তিনি বললেনঃ তুমি স্বস্থানে আছ এবং তুমি কল্যাণের মাঝেই আছ।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحِبُّوا اللَّهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ وَأَحِبُّونِي بِحُبِّ اللَّهِ وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
৩৭৮৯। ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে মহব্বত কর। কেননা তিনি তোমাদেরকে তার নিয়ামাতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহ্ তা’আলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত এবং আমার মহব্বতে আমার আহলে বাইতকেও মহব্বত কর।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন : ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি : আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর (ইতরাত), আমার আহলে বাইত; নিশ্চয়ই এ দু’টি কখনই বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না হাউসের নিকট (হাউসে কাউসারের নিকট) আমার কাছে উপস্থিত হয় (কিয়ামত দিবসে)।’
নাসায়ী, আহমাদ, খাসায়িস, পৃ. ১১২, হাদীস ৭৮; ইবনে মাগাযিলী, মানাকিব, পৃ. ২৩০, হাদীস ২৮৩; আবু ইয়ালী, মুসনাদ, ২য় খ-, পৃ. ২৯৭, হাদীস ১০২১; ইবনে আবি আসিম, কিতাবুস সুন্নাহ, পৃ. ৬৩০, হাদীস ১৫৫৫; ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৭তম খ-, পৃ. ২১১, হাদীস ১১১৩১; তাবারানী, সুলাইমান, ৫ম খ-, পৃ. ১৬৯, হাদীস ৯৮০ ও ৪৯৮১।
হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসুল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহ্কে ভালোবাস কেননা মহান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত হতে তোমাদিগকে রিজিক প্রদান করেছেন। আল্লাহ্র ভালোবাসা পেতে হলে আমাকে ভালোবাস ( রাসুলকে) আর আমার ভালোবাসা পেতে হলে আমার আহলে বাইতকে ( আনুগাত্যপুর্ন ) ভালোবাস।
সুত্রঃ সহীহ তিরমিজি, খঃ-৬, হাদিস-৩৭২৮ ইসঃ সেন্টার, সহীহ তিরমিজি (সকল খণ্ড একত্রে) পৃঃ-১০৮৫, হাদিস-৩৭৫১ তাজ কোং, মেশকাত শরীফ, খঃ-১১, পৃঃ-১৮৮, হাদিস-৫৯২২ এমদাদিয়া লাইব্রেরি।
হযরত আলী (عليه السلام) বর্ণনা করেন, হযরত রাসুল (ﷺ) হাসান – হোসাইন এর হাত ধরে বললেন, যে ব্যাক্তি আমাকে এবং এই দু’জনকে ( হাসান ও হোসাইন ) কে ভালবাসবে সাথে সাথে তাঁদের পিতা- মাতাকে ( হযরত আলী ও হযরত ফাতেমা ) কে ভালবাসবে সে কিয়ামতে দিবসে আমার সাথেই থাকবে।
সুত্রঃ জামে আত তিরমিজি, আহমদ ইবনে হাম্বাল, আল মুসনাদ, তাবরানি আল মু’জামুল কবির, খতিবে বাগদাদ, তারিখে বাগদাদ, আবু ইয়ালা- আল মুসনাদ, ইত্যাদি।
আহলে বাইয়াতের অনুসরণ ও ভালবাসাতে মুক্তি, তাঁদের ত্যাগ করলে জাহান্নামঃ
হাদিসে সাকালাইন: মুসলমানরদের প্রতি বিশ্বনবী (ﷺ)’র অতি জরুরি বাণী
*হযরত আবু সাইদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত: *রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- মান আবগাদানা আহলিল বাইতি ফা হুয়া মুনাফিকুন।
অর্থাৎ- যারা আহলে বাইতের সাথে বিদ্বেষ রাখে তারা তো কপট, মুনাফিক।
তথ্য সুত্র: ( ফাযায়িলুস সাহাবা : ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ২য় খন্ড:৬৬১, হাদিস-১১২৬; মুহিব্বে তাবারী : যখায়েরুল উকবা , পৃষ্টা-৫১; তাফসীরে আদ-দুররুল মুনসুর : আল্লামা সুয়ুতী, ৭ম:৩৪৯; শেত্ব মুক্তা নবী তনয়া ফাতেমাতুয যোহরা : শায়েখুল ইসলাম ড: তাহের আল কাদেরী, পাকিস্তান, পৃষ্টা-৪৪)
قالَ رَسُولُ اللهِ: إنِّي تَارِكٌ فِيكُمُ الثَّقَلَيْنِ: كِتَابَ اللهِ وَعِتْرَتِي أهْلَ بَيْتِي، مَا إنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أبَداً، وَإنَّهُمَا لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ
মহানবী (ﷺ) বলছেন : আমি দু’টি ভারী ও মূল্যবান বস্তু তোমাদরে মাঝে রখেে যাচ্ছি। আল্লাহর কিতাব (কোরআন) ও আমার বংশধর আহলে বাইত (রক্ত সর্ম্পকীয় অতি নিকট আত্মীয়)। তোমরা যদি এ দু’টিকে আঁকড়ে ধর তবে কখনই বিপথগামী হবে না। এ দু’ইটি আমার সঙ্গে (কিয়ামত) হাউসে কাউসারে মিলিত না হওয়া র্পযন্ত পরস্পর হতে বচ্ছিন্নি হবে না।
(এ হাদসিটি ইসলামী বিভিন্ন সূত্রে কিছুটা বর্ণনার পার্থক্যসহ মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়ছে। যেমন
নবী করিম (ﷺ) এর প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবুজার আল গিফারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আমার আহলে বাইত-এর সদস্যগণ [ আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন আঃ ] আমার উম্মতের জন্য তেমনি নাজাতের তরী, যেমনি আল্লাহ্র নবী নুহ (عليه السلام)-এর তরী মহাপ্রলয়ের সময় তার জাতির জন্য আশ্রয় ও নাজাতের তরী ছিলো। অর্থাৎ যারাই হযরত নুহ (عليه السلام)-এর তরীতে উঠেছিল তারাই মহাপ্রলয় থেকে নাজাত পেয়েছিল ( হযরত নুহ (عليه السلام) এর ছেলে তরীতে উঠেনি আল্লাহ তাকেও ক্ষমা করেন নি ) তেমনি এই উম্মতের যারা আমার আহলে বাইত কে অনুসরন করবে তারাই নাজাত পাবে এবং যারা অনুসরন করবে না তারা সুস্পষ্ট পথভ্রষ্ট ( জাহান্নামী ) হবে।
সুত্রঃ মেশকাত শরিফ, কাশফুল মাহজুব, মাসিক মদিনা, পীরের মর্যাদা ও ভুমিকা, জ্ঞানধারা, আস সাওয়ায়েকে মুহরেকা, তাফসীরে কাবির, মুসনাদে হাম্বাল, কানযুল উম্মাল, মুস্তাদারাকে হাকেম, তারিখে খোলফা, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, মুয়াদ্দাতুল কুরবা, নুরুল আবসার, আল তাবরানি, আরজাহুল মাতালেব, ইত্যাদি।
আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপথি তার তাফসীরে লিখেছেন যে, নবী (ﷺ) আহলে বায়েত এর কথা এজন্য তাগিদ দিয়েছেন যে, হেদায়েত এবং বেলায়েতের ব্যাপারে আহলে বায়েতই পথ প্রদর্শক।
সুত্রঃ তাফসীরে মাযহারী, খঃ-২, পৃঃ-৩৯৩ ( ইসঃ ফাঃ বাঃ), তাফসীরে নুরুল কোরআন, খঃ-৪, পৃঃ-৩৩, মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন, এই উম্মতের যারা আমার আহলে বায়েতকে ভালোবাসবে ( অনুসরণ করবে ) তারাই নাজাত পাবে ও যারা অনুসরণ করবে না, তারা ধ্বংস হবে
সুত্রঃ মেশকাত, খঃ-১১, হাদিস-৫৯২৩।
নবী (ﷺ) বলেছেন, আহলে বায়েতের পরিচিতি লাভ দোজখ মুক্তির উসিলা। আর আহলে বায়েত কে ভালোবাসা অর্থ পুলসিরাত পাড়ি দেওয়া। আর তাঁদের কে বিশ্বাস করা আল্লহর আযাব থেকে নিরাপত্তা সদৃশ। সুত্রঃ মাদারেজুন নবুওয়াত, খন্ড-৩, পৃঃ-১১৫।
নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি আমার আহলে বায়েতকে শত্রু মনে করবে বা তাদের প্রতি হিংসা করবে যে কেয়ামতের দিন ইয়াহুদী রূপে আসবে
সুত্রঃ এহইয়াউল মাইয়াত, আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়তী, পৃঃ-৭।
অন্য হাদীছ শরীফ মুবারক উনার মধ্যে এসেছে,
عن حضرت جابر بن عبد الله الانصاري رضى الله تعالى عنه قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه و سلم فسمعته وهو يقول يا أيها الناس من أبغضنا اهل البيت حشره الله يوم القيامة يهوديا فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وان صام وصلى قال وان صام وصلى وزعم انه مسلم.
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন এবং বলতে থাকলেন যে, হে লোক সকল! যারা আমার আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করলো, তাঁদের বিরোধিতা করলো, তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী হিসেবে। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! যদিও তারা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে? উত্তরে তিনি ইরশাদ করলেন, হ্যাঁ! যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে, তারা মুসলমান।”
(আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত-ত্ববারণী ৪/২১২, জামিউল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১০/৪৭৫, জামউল জাওয়ামি‘ লিস সুয়ূত্বী, মাজমাউয যাওয়াইদ লিল হাইছামী ৯/৭১২, তারীখে জুরজান ৩৬৯ পৃ.)
رقم الحديث: 2600
(حديث مرفوع) وَسألت أبي عَنْ حديثرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، وَغَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَّهُ قَالَ : ” يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ، إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ لَكُمْ ثَلاثًا : أَنْ يُثَبِّتَ قَائِمَكُمْ ، وَأَنْ يَهْدِيَ ضَالَّكُمْ ، وَأَنْ يُعَلِّمَ جَاهِلَكُمْ ، وَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَكُمْ جُودًا نُجُدًا رُحَمَاءَ ، وَلَوْ أَنَّ رَجُلا صَفَنَ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ فَصَلَّى وَصَامَ ثُمَّ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ مُبْغِضٌ لأَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ دَخَلَ النَّارَ ” . قَالَ أَبِي : هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ .
عن حضرت ابن عباس رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو أن رجلا صف بين الركن والمقام فصلى وصام ثم لقى الله مبغضا لاهل بيت محمد صلى الله عليه وسلم دخل النار.
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যদি সম্মানিত রুকন এবং সম্মানিত মাক্বামের মধ্যবর্তী স্থানে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতঃপর নামায পড়ে এবং রোযা রাখে, কিন্তু এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় যে, সে আহলে বায়েতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। তাহলে সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” নাঊযুবিল্লাহ!’ (মুস্তাদরাকে হাকীমঃ ৪৭৬৬, যাখাইরুল উক্ববা লি-মুহিব্বে ত্ববারী ১/১৮, হাদিসের মান সহীহ)
মদিনা মুনিব [ﷺ] বলেছেন, “কিয়ামতের দিন এক দল লোককে অত্যন্ত চমৎকার ও সম্মানিত অবস্থায় দেখা যাবে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা ফেরেস্তা বা নবী কিনা? উত্তরে তারা বলবেন, আমরা ফেরেস্তাও নই নবীও নই, বরং মোহাম্মদ [ﷺ]-এঁর উম্মতের মধ্যে অভাবী লোক। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তাহলে কিভাবে তোমরা এত উচ্চ মর্যাদা লাভ করলে? উত্তরে তাঁরা বলবে, আমরা খুব বেশি আমল করিনি এমনকি পুরো বছর রোজাও রাখিনি এবং পুরো রাত্রি ইবাদতেও কাটাইনি। তবে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করতাম এবং মোহাম্মদ [ﷺ] ও তাঁর আহলে বাইতের সদস্যগণের নাম শুনলে তাঁদের উপর দূরুদ পাঠ করতাম। আর তাঁদের দুঃখের কথা শুনলে আমাদের গালগড়িয়ে অশ্রু প্রবাহিত হত। [মুসতাদারক আলাস সাহীহাইন, খ–১০, পৃ-৩১৮]
মহানবী (ﷺ) হযরত ফাতেমাকে বলেন যে, “কিয়ামতের দিন তুমি নারীদের জন্য শাফায়াত করবে এবং আমি পুরুষদের জন্য শাফায়াত করবো; যারা ইমাম হুসাইনের দুঃখে ক্রন্দনকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে আমরা হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। [বিহারুল আনওয়ার, খ–৯৪, পৃ-১৯২]
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “সমস্ত চোখ কিয়ামতের দিন কাঁদতে থাকবে, নিশ্চয়ই কেবল সেই চোখ ছাড়া, যা ইমাম হুসাইনের বিয়োগান্ত ঘটনায় কেঁদেছে, ঐ চোখ সেই দিন হাসতে থাকবে এবং তাকে জান্নাতের নিয়ামতসমূহের সুসংবাদ প্রদান করা হবে। [বিহারুল আনওয়ার, খ–৪৪, পৃ-১৯৩]
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ের ইমাম হোসাইন-এর শাহাদাতের বিষয়ে এমন ভালোবাসার উত্তাপ রয়েছে যা কখনো শীতল হওয়ার নয়। [মুস্তাদারক আল ওয়াসাইল, খ–১০, পৃ-৩১৮]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর আহলে বাইআতের উপর দূরুদ পড়ার ফযিলত
সাহল ইবনে সা’দ থেকে বর্ণিত হয়েছেঃ
قَدِمَ رَسُولَ الله () فَاءذا بِأبي طَلحَة, فَقامَ إلَيهِ فَتَلَقّاۀ فَقالَ : بِأ بي اَنتَ وَ اُمّي يا رَسُولَ الله إنّي لَأرَي السُّرُورَفي وَجهِکَ , قالَ أتاني جبرئيلُ آفاً فقالَ: يا مُحمّد ! مَن صَلّي عَلَيکَ مَرَّ ةً کَتَبَ اللهُ بِها عَشرَ حَسَناتٍ وَ مَحي عَنهُ عَشرَ سَيِّئاتٍ وَرَ فَعَ لَهُ بِها عَشرَ دَرَجاتٍ
রাসূল (ﷺ) প্রবেশ করলে আবু তালহা তাঁর নিকট দ্রুত পৌঁছলেম এবং তাঁকে অভ্যর্থনা জানালেন এবং বললেনঃ ‘আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার চেহারা আনন্দিত দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেনঃ জিব্রাইল সবেমাত্র আমার নিকট এসেছিলেন ও বললেনঃ হে মুহাম্মাদ (ﷺ) ! যে কেউ একবার আপনার উপর দূরুদ পড়ে মহান আল্লাহ তাকে দশটি হাসানাহ পুরস্কার দেন, দশটি অপকর্ম ও বদ থেকে তাকে মুক্ত করেন এবং তাকে দশ ধাপ উপরে তুলেন। [কানযুল উম্মাল খঃ১, পৃঃ৪৩৬,৪৪৮,খঃ২ পৃঃ১৭৯]
এ রেওয়ায়েতটি আবু তালহার ভাষায় এরূপ অতিরিক্তি সহকারে এসেছে এবং ফেরশতা তাকে (দূরুদ পাঠকারীকে) সেটিই বলে যা তোমাকে বলা হয়েছে। বললামঃ হে জিব্রাইল! এ ফেরেশতাটিকে ? বললেন ! মহিয়ান, গড়িয়ান আল্লাহ যখন আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তখন থেকে আপনার মাবয়ূসের (নবুওয়াতের ঘোষণা দেয়া ) সময় পর্যন্ত দু’টি ফেরেশতা আপনার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। আপনার এমন কোন উম্মত নেই যে দূরুদ পড়েনি আর ফেরেশতা তাকে বলেনিঃ তোমাকেও !মহান আল্লাহ তোমার উপর দূরুদ পাঠিয়েছেন।
[কানযুল উম্মাল খঃ১ পৃঃ৪৪০,৪৪৯এবং খঃ২ পৃঃ১৮১।]
এ রেওয়াতেটি সাঈদ ইবনে ওমর আনসারী ও আবু বারদা বিন নাইয়র ও আনাস থেকে ও বর্ণিত হয়েছে।
কানযুল উম্মল খঃ১,পৃঃ৪৩৮-৪৩৯ এবং ৪৪৮-৪৪৯ সূনানে নাসাঈ খঃ৩, পৃঃ৫০ কিতাবুস সালাত। অধ্যায় মাহানবীর উপর দূরুদের ফযিলত। ফারায়িদুল সাযাতিন,খঃ১ পৃঃ২৪, তারিখে বাগদাদ খঃ৮ পৃঃ২৮১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সহ অন্যান্য যাদের উপর দরূদ পড়া যায়, বিভিন্ন শব্দে দরূদে ইব্রাহীম।
হাদিস ১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তােমরা বল,
“আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা কামা ছাল্লাইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া বারিক আ’লা মুহাম্মাদিন ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আ’লা ইবরাহীমা।”
[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৭৩৬]
হাদিস ২: কা‘ব ইবনু ‘উজরাহ (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।
. باب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ التَّشَهُّدِ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ قُلْنَا أَوْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ أَمَرْتَنَا أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ وَأَنْ نُسَلِّمَ عَلَيْكَ فَأَمَّا السَّلَامُ فَقَدْ عَرَفْنَاهُ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ” قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ” . – صحيح : ق [1]
তিনি বলেন, একদা আমরা বললাম অথবা লোকজন বললো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাদেরকে আপনার উপর দরুদ ও সালাম পড়ার আদেশ করেছেন। সালাম পাঠের নিয়ম আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আপনার উপর দরুদ কিভাবে পাঠ করবো? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা বলো-
‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ’’-
অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি মুহাম্মদ, তাঁর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষন করুন যেরূপ রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীমের উপর। আপনি ইবরাহীমকে যেমন বরকত দান করেছেন তেমনি মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরদের বরকত দান করুন। নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও মহান।
(১) তিরমিযী, আবওয়াবুস সালাত, বাবু মা জাআ ফি সিফাতিস সালাতি আলান্নাবী (ﷺ), ২:৫২, নং-৪৮৩।
(২) নাসাঈ, সুনান, কিতাবুস সাহু, ৩:৪৭, নং-১২৮৭।
(৩) নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ১:৩৮৩, নং-১২১।
(৪) হুমাইদী, মুসনাদ, ২:৩১০, নং-৭১১।
(৫) তাবরানী, মুজামুল কাবীর, ১৯:১৩১, নং-২৮৭।
(৬) ইউসুফ বিন মুসা, মু’তাছারুল মুখতাছার, ১:৫৪।
(৭) সুনান আবূ দাউদ, অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة), হাদিস নম্বরঃ ৯৭৬
(৮) বুখারী (অধ্যায় : তাফসীর, সূরাহ আল-আহযাব, অনুঃ আল্লাহর বানী : ইন্নাল্লাহা ওয়া মালায়িকাতাহু য়ুসাল্লুনা ‘আল্লান্নাবী ইয়া আইয়ূ হাল্লাযিনা আমানু সল্লু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লিমূ তাসলিমা, হাঃ ৪৭৯৭),
(৯) মুসলিম (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ তাশাহহুদের পর নাবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ), কিতাবুস সালাত, খঃ ১/৩০৫, হাদীস ৬৬,
(১০) সুনানে দারামী খঃ ১, পৃঃ৩০১,
(১১) সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস ৯০৪,
(১২) মুসনাদে আহমাদ খঃ ৪ পৃঃ ২৪১-২৪৪।
(১৩) তাফসীরে তাবারী খঃ ২২, পৃঃ৩১,
(১৪) তাফসীরে কুরতুবী, খঃ ১৪, পৃঃ ৩৩৪,
(১৫) তাফসীরে দূররুল মানসূর খঃ ৫, পৃঃ ২১৫-২১৬,
(১৬) কাঞ্জুল উম্মাল খঃ ২, পৃঃ ১৮০,
(১৭) তাফসীরে ইবনে কাসির খঃ৩ পৃঃ৫০৭।
হাদিস ৩:ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল ‘আলা তার সনদে ইবনু বিশর ও মিস্‘আরের মাধ্যমে হাকাম হতে হাদীসটি বর্ণনার পর দরূদ পাঠ সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
. باب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ التَّشَهُّدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَ ” اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الزُّبَيْرُ بْنُ عَدِيٍّ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى كَمَا رَوَاهُ مِسْعَرٌ إِلَا أَنَّهُ قَالَ ” كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ ” . وَسَاقَ مِثْلَهُ . – صحيح : ق [1
‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’’
ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) বলেন, হাদীসটি যুবাইর ইবনু ‘আদী (رحمة الله) ইবনু আবূ লায়লাহ (رحمة الله) হতে মিস্‘আরের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে সেখানে শুধু ‘‘কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা’’ এর স্থলে ‘‘কামা সল্লাইতা ‘আলা ‘আলি ইবরাহীমা’’ কথাটি উল্লেখ করেছেন। হাদীসের অবশিষ্ট অংশ মিস‘আর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
▪ সুনান আবূ দাউদ, অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ৯৭৮, তাশাহ্হুদ পড়ার পর নবীজী (ﷺ)-এর উপর দরুদ পাঠ।
▪ সহীহ : বুখারী ও মুসলিম
হাদিস ৪ : আবূ হুরাইরাহ (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
باب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ التَّشَهُّدِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ يَسَارٍ الْكِلَابِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو مُطَرِّفٍ، عُبَيْدُ اللهِ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ كَرِيزٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْهَاشِمِيُّ، عَنِ الْمُجْمِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَكْتَالَ بِالْمِكْيَالِ الأَوْفَى إِذَا صَلَّى عَلَيْنَا أَهْلَ الْبَيْتِ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ وَأَزْوَاجِهِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَذُرِّيَّتِهِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ” – ضعيف [1
কেউ যদি আমাদের আহলি বাইতের উপর দরূদ পড়ার পুরো সওয়াব পেতে চায় সে যেন এভাবে বলেঃ
‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যি ওয়া আয্ওয়াজিহি উম্মাহাতিল মু‘মিনীনা ওয়া যুররিয়াতিহি ওয়া আহলি বাইতিহি কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ’’।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মাদ, তাঁর স্ত্রী উম্মাহাতিল মু‘মিনীন, তাঁর সন্তানাদি ও আহলি বাইতের উপর রহমাত বর্ষণ করুন যেমনি রহমাত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীমের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।’’
▪ সুনান আবূ দাউদ, অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة), হাদিস নম্বরঃ ৯৮২, তাশাহ্হুদ পড়ার পর নবীজী (ﷺ)-এর উপর দরুদ পাঠ।
▪ বায়হাক্বী ‘সুনান’ (২/৫২৯), হাদিস ৩৯৬৫,
▪ বুখারী ‘আত-তারীখ’ (৩/৮৭),
▪ সুয়ূতী একে আদ-দুররে মানসূর (৫/২১৬) গ্রন্থে এবং
▪ তাবরীযীঃ মিশকাত (হাঃ ৯৩২) গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
▪ ইমাম কাসতালানীঃ আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ (৩য় খণ্ড), পৃ ৩৯১।
হাদিস ৫: আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।
باب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ التَّشَهُّدِ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ ” قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ” . – صحيح : ق [1]
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (رحمة الله) … আবূ হুমায়দ সাঈদী (رحمة الله) বর্ণনা করেন। একবার লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমরা আপনার উপর কিভাবে দরূদ পড়বো? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা বলোঃ
‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়াতিহি কামা সল্লাইতা ‘আলা ‘আলি ইবরাহীমা ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়াতিহি কামা বারাকতা ‘আলা ‘আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ’’।
“অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (ﷺ) ও তার সহধর্মিণীগণ এবং তার সন্তান-সন্ততিগণের উপর রহমত নাযিল করুন। যেমন করে আপনি ইবরাহীম (عليه السلام) এর উপর রহমত নাযিল করেছেন। আর আপনি মুহাম্মদ, তার সহধর্মিণীগণ এবং তার আওলাদের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমনভাবে আপনি ইবরাহীম (عليه السلام) এর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করেছেন। আপনি অতি প্রশংসিত এবং উচ্চ মর্যাদাশীল।
(১) বুখারী, সহিহ, কিতাবুল আম্বিয়া, বাবু কাউলিল্লাহ ৩:১২৩২, নং ৩১৮৯। আবূ যার (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত। হাদীস যমীনে সর্বপ্রথম কোন মাসজিদ স্থাপিত হয়েছে, হাঃ ৩৩৬৯। সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৬৭/ দু’আ (كتاب الدعوات), হাদিস নম্বরঃ ৫৯২০।
(২) মুসলিম, সহিহ, কিতাবুস সালাহ, বাবুস সালাতে আলান্নবী (ﷺ) বাদাত তাশাহহুদ, ১:৩০৬, নং ৪০৬।
(৩) ইবনে মাযাহ, সুনান, কিতাবু ইকামাতিস্ সালামে ওয়াস সুন্নাতে ফিহা, বাবুস সালাতে আলান্নাবী(ﷺ), ১:২৯৩, নং-৯০৫।
(৪) মালিক, মুয়াত্তা, বাবু মা জাআ ফিস সালাতে আলান্নাবী(ﷺ), ১:১৬৫, নং-৩৯৫।
(৫) নাসায়ী, সুনানুল কুবরা, ১:৩৮৪ , নং-১২১৭।
(৬) সুনান আবূ দাউদ, অধ্যায়ঃ সালাত (كتاب الصلاة), হাদিস নম্বরঃ ৯৭৯, তাশাহ্হুদ পড়ার পর নবীজী (ﷺ)-এর উপর দরুদ পাঠ।
হাদিস ৬ : ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (رضي الله عنه) বর্ণিত,
قالُوايارَسُولَ الله ! وَکَيفَ نُيفَ نُصَلّي عَلَيک ؟ قالَ ;قُولُوا: أللّهُمَّ صَلِّ عَلي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ کَما صَلَّيتَ عَلي إبراهيمَ وَ آلِ أبراهيم إنَّکَ حَميدُ مَجيدُ وَبارِک عَل مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ کَما بارَکتَ عَلي إبراهيمَ وَ عَلي آلِ إبراهيمَ إبَّکَ حَميدُ مَجيدُ
হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমরা কিরূপে আপনার উপর দূরুদ পাঠ করবো ? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে; হে আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর প্রতি দূরুদ পাঠাও, যেরূপে ইব্রাহীম (عليه السلام) ও আলে ইব্রাহীমের প্রতি দূরুদ পাঠিয়েছ। প্রকৃতপক্ষে আপনি প্রশংসিত সমুন্নত এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরকত দান কর যেরূপে ইব্রাহীম (عليه السلام) ও আলে ইব্রাহীমের উপর বরকত দান করেছ। প্রকৃতপক্ষে আপনি প্রশংসিত ও সমুন্নত। [ইমাম মুত্তাকী আল-হিন্দীঃ কানযূল উম্মাল]
হাদিস ৭ :আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লা (رحمة الله) বর্ণনা করেন,
” باب الصَّلاَةِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ لَقِيَنِي كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ فَقَالَ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً، إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَيْنَا فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ “ فَقُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ ”.
একবার আমার সঙ্গে কাব ইবনু উজরাহ (رضي الله عنه) এর সাক্ষাত হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেবো না। তা হল এইঃ একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন, তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনাকে কেমন করে সালাম দেব, আমরা আপনার উপর দরুদ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে,
“ইয়া আল্লাহ আপনি মুহাম্মাদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর খাস রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম (عليه السلام) এর পরিবারের উপর খাস রহমাত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল। ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি ইববাহীম (عليه السلام) এর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযীল করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত উচ্চ মর্যাদাশীল।”
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ দু’আ (كتاب الدعوات), হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৭]
হাদিস ৮ : হযরত আবু মাসউদ আল আনসারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
“রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন ও আমাদের সাথে সাদ ইবনে এবাদার মজলিশে বসলেন। বাশির বিন সাদ (অবু নোমান বিন বাশির) তাঁকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল ! মহান আল্লাহ আপনার উপর দূরুদ পড়ার নিদের্শ দিয়েছেন। আমরা কিরূপে দূরুদ পড়বো? বর্ণনাকারী বলেনঃ আল্লাহর রাসূল (এতটা) নিরবতা অবলম্বন করলেন যে আমাদের মনে হচ্ছিল যে হায় যদি এমন প্রশ্ন না করতাম। অতঃপর বললেনঃ
“হে আল্লাহ ! মুহাম্মাদ ও আলে মুহম্মাদের প্রতি দূরুদ পাঠাও, যেমন ভাবে পাঠিয়েছ, মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর প্রতি বরকত দান কর, যেমনভাবে বরকত দান করেছ পৃথিবী বাসীদের মধ্যে ইব্রাহীমকে। প্রকৃতপক্ষে তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত। সালামও ঠিক এরমই যা জেনেছ। “
(১) ইবনে মাজাহ, সুনান, কিতাবু ইকামাতেস সালাতে ওয়াস্ সুন্নাতে ফিহা, বাবুস সালাতে আলান্নাবী (ﷺ), ১:২৯৩, নং-৯০৬ ।
(২) আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফ, ২:২১৩, নং-৩১০৯।
(৩) আবু ইয়ালা, মুসনাদ, ৯:১৭৫, নং-৫২৬৭।
(৪) তাবরানী, মুজামুল কাবীর, ৮:১১৫, নং-৮৫৯৪।
(৫) বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, ২:২০৮, নং-১৫৫০।
(৬) ইমাম বায়হাকী,আস-সুনানুল কোবরা, ২/৫২৯ পৃ, হা/ ৩৯৬৫, তিনি বলেন- “এ হাদিসটি হাসান, মুত্তাসিল।”
(৭) সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সালাত খঃ১ পৃঃ৩০৫, হাদীস ৬৭, অনুঃ নবীজী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ।
(৮) সূনানে দারেমী, খঃ ১ পৃঃ ৩১০,
(৯) সুনানে আবু দাউদ খঃ ১ পৃঃ ২৫৮ , হাদীস ৯৮০,
(১০) সুনানে নাসাঈ, অধ্যায় : সাহু, নবীজী(ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠর নির্দেশ, হাদিস ১২৮৪, মালিক হতে।
(১১) সূনানে তিরমিযী, অধ্যায় : তাফসীর, অনুঃ সূরাহ আল-আহযাব, হাঃ ৩২২০, তিনি বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
(১২) তাফসীরে সূরা আহযাব খঃ পৃঃ ৯৫
(১৩) মুয়াত্তায়ে মালিক খঃ ১, পৃঃ ১৬৫ ও ১৬৬,
(১৪) ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ২৮/৩০৪ পৃ. হা/১৭০৭২,
(১৫) কানযুল উম্মাল খঃ ২ পৃঃ ১৮২,
(১৬) তাফসীরে কুরতুবী খঃ ৪, পৃঃ ২৩৩।
(১৭) তাফসীরে দূররুল মানসূর খঃ৫ পৃঃ২১৬ও২১৭।
(১৮) তাফসীরে ইবনে কাসির খঃ৩ পৃঃ৫০৮।
(১৯) তাফসীরে খাযিন খঃ৩ পৃঃ৪৭৭,
(২০) মুস্তাদরাক আল হাকিম আস সহীহাইন খঃ১, পৃঃ২৬৮,
(২১) সহিহ ইবনে হিব্বান, হা/১৯৫৯,
(২২) সুনানে দারা কুতনী, ২/১৬৮ পৃ. হা/১৩৩৯, তিনি বলেন- হাদিসটি হাসান, মুত্তাসিল।
(২৩) ইমাম কাসতালানীঃ আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ (৩য় খণ্ড), পৃ ৩৯১।
হাদিস ৯: ইবরাহীম ইবনু হামযা (رحمة الله) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন,
باب الصَّلاَةِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، وَالدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا السَّلاَمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي قَالَ “ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَآلِ إِبْرَاهِيمَ ”.
একবার আমরা বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই যে ‘আসসালামু আলাইকা’ তা তো আমরা জেনে নিয়েছি। তবে আপনার উপর দরুদ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেনঃ তোমরা পড়বে,
“ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও আপনার রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর খাছ রহমত বর্ষণ করুন। যেমন করে আপনি ইবরাহীম (عليه السلام) এর উপর রহমত নাযিল করেছেন। আর আপনি মুহাম্মদ ও তার পরিবারবর্গের উপর বরকত বর্ষণ করুন, যে রকম আপনি ইবরাহীম (عليه السلام) এর উপর এবং ইবরাহীম (عليه السلام) এর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করেছেন।”
▪ সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ দু’আ (كتاب الدعوات)
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৮।
▪ সহীহ বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা আহযাব, খঃ৩, পৃঃ১১৯ এবং
▪ কিতাবে দাওয়াত খঃ ৪পৃঃ ৭২।
▪ সূনানে নাসাঈ খঃ ৩পৃঃ ৪৯।
▪ সূনানে ইবনে মাযাহ খঃ১ পৃঃ২৯২, হাদীস ৯০২
▪ মুসনাদে আহমাদ খঃ৩ পৃঃ৪৭।
▪ তাফসীরে দূররুল খঃ৫ পৃঃ২১৭।
হাদিস ১০:ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
অতঃপর বললাম অথবা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আপনার উপর সালাম সম্পর্কে জেনেছি, কিন্তু আপনার উপর দূরুদ কিরূপে (পড়ে)? বললেনঃ
“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ পাঠাও, যেরূপ পাঠিয়েছ ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীমের উপর। তুমিতো প্রশংসিত ও উন্নত। এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরকত প্রদান কর, যেরূপ বরকত প্রদান করেছে ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীমের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত।”
[তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে সূরা আহযাব খঃ২২ পৃঃ৩১, তাফসীরে দূররুল মনসূর খঃ৫, পৃঃ২১৬]
হাদিস ১১: যাইদ ইবনে খারিজাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ
আমার উপর দূরুদ পাঠবে এবং দোয়া করবে ও বলবেঃ
“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ পাঠাও এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরকত দান কর যেরূপ বরকত দান করেছ ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীমের উপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত। [সুনানে নাসাঈ, কিতাবে সাহু খঃ৩ পৃঃ৪৯]
হাদিস ১২: আবু তালহা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
قُلنا: يارَسول الله!قَد علمنا کَيفَ السَّلام عَلَيک.فَکَيفَ الصَّلاة عَليکَ ؟قالَ : قولوا: أللّهُمَّ صَلِّ عَلي مُحَمَّدٍ وَ علي آلِ مُحَمَّدٍ وَ بارِک عَلي مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ کَماصَلَّيتَ و بارَکتَ عَلي إبراهيم وعلي آلِ ابراهيم إنَّکَ حَميدُ مَجيدُ
বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! কিরূপে আপনার উপর সালাম বলবো তা জেনেছি। আপনার উপর দূরুদ কিরূপ? বললেনঃ বল,
“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ পাঠাও এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরকত দান কর যেরূপে ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীনের উপর দূরুদ ও বরকত দান করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত।”
[কানযুল উম্মাল খঃ২, পৃঃ১৭৬, তাফসীরে দূররুল মানসূর খঃ৫, পৃঃ ২১৬, সুনানে নাসাঈ ও মুসনাদে আহমাদ]
হাদিস ১৩: বারদেয়ে খাযায়ী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) বলেনঃ
বলঃ হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ, রহমতও বরকত দান কর যেরূপে এ গুলো ইব্রাহীমকে দান করেছ। নিশ্চযই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত। (মুসনাদে আহমাদ ও সুয়ুতির দূররুল মানসূর)
হাদিস ১৪: মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ বিন যাইদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) বলেনঃ
বলঃ হে আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ প্রেরণ কর যেরূপভাবে ইব্রাহীম (عليه السلام)-এর উপর দূরুদ পাঠিয়েছ। মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরকত দান কর যেরুপে ইব্রাহীমকে পৃথিবীবাসীর মধ্যে বরক দিয়েছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত সালাম ও সেরূপ যেমন টি জেনেছ। [কানযুল উম্মাল খঃ ১, পৃঃ৪৪২]
হাদিস ১৫: হযরত ইব্রাহীম (رضي الله عنه) থেকে اِنّ الله وَ ملا کث এ আয়াতের প্রসঙ্গে বর্ণনা করেছে যে,
قالُوا يا رَسُولَ الله! هذَا السَّلام قَد عَرفناه .فَکَيفَ الصَّلاة عَليکَ ؟ فَقالَ
তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ সালামটি জানতাম। আপনার উপর দূরুদ কিরূপ? বললেনঃ বল,
“হে আল্লাহ! তোমার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদের উপর দূরুদ পাঠাও, যেমন ভাবে দূরুদ পাঠিয়েছ ইব্রাহিমের উপর। সত্যিই তুমি প্রশংসিত ও সনুন্নত।”
[ইমাম তাবারীঃ তাফসীরে তাবারী, খঃ২, পৃঃ৩২,
ইমাম সুয়ূতীঃ তাফসীরে দূররে মানসূর খঃ৫, পৃঃ ২১৬]
হাদিস ১৬:উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ
قالَ اَصحابُ النَّبيّ يا رَسُول الله أُمِرنا أن نکثر الصَّلاةَ عَلَيکَ فِي اللَّيلَةِ الغراء وَ اليَوم الأزهَر وَ أحبّ ما صَلّينا عَلَيکَ کَم تُحِبّ. قالَ
সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছে অন্ধকার রাতে ও আলোকিত দিবালোকে আপনার উপর দূরুদ বেশী পড়তে। (তা কতই না সুন্দর যে) আপনার উপর আমাদের দূরুদ এমন হবে যা আপনি পছন্দ করবেন। বললেনঃ বল;
“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দূরুদ পাঠাও, যেরূপ ভাবে ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীমের উপর দূরুদ পাঠিয়েছ এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর রহমত বর্ষণ কর, যেরূপে ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহীমের উপর রহমত করেছো। মুহাম্মাদ (ﷺ) ও আলে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর বরক দাত্ত, যেরুপে বরকত দিয়েছো ইব্রাহীম ও আলে ইব্রাহমকে নিশ্ময়ই তুমি প্রশংসিত ও সমুন্নত। আর সালামের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তো নিজেই জেনেছ।
[ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল খঃ ২, পৃঃ ১৮২ ও খঃ ১, পৃঃ ৪৪৩]