আহলে বাইত সর্বোত্তম বংশ মর্যাদার অধিকারীঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

❏ হাদীস ১:

أخرج الديلمي عن علي رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ خير الناس العرب، وخير العرب قريش، وخير قریش بنوهاشم.

ইমাম দায়লামী হযরত আলী (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, সর্বোত্তম মানুষ হচ্ছে আরবগণ, আর সর্বোত্তম আরব হচ্ছে কুরাইশগণ, আর সর্বোত্তম কুরাইশ বংশীয় লােক হচ্ছে বনু হাশেম।

[দায়লামীঃ আল ফেরদৌস, ২:১৭৮, হাদিস ২৮৯২]

❏ হাদীস ২:

أخرج الطبراني عن عمر رضي الله عنه قال:قال رسول اللهﷺ كل بني أنثى فإن عصبتهم لأبيهم، ما خلاولد فاطمة فإنی عصبتهم، فأناأبوهم; 

ইমাম তাবরানী হযরত ওমর (رضي الله عنه) এ সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক নারীর ঔরসজাত সন্তানদের বংশ পরিচয় নির্ণয় হয় তাদের পিতার দিক থেকে। শুধু (আমার কন্যা) ফাতেমার (رضي الله عنه)’র সন্তানগণ ব্যতিত। কেননা, আমিই তাদের ‘আসাবা’ এবং আমিই তাদের পিতার স্থলাভিষিক্ত (অভিভাবক হিসেবে)।”

তথ্যসূত্রঃ 

১. আল-মু’জামুল কবীর, ৩:৪৪ (২৬৩১), 

২. মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ইমাম হাইছামী, ৪:২২৪। 

❏ হাদীস ৩:

أخرج الطبراني عن فاطمة الزهراء رضی الله عنها قالت: قال رسول اللهﷺ كل بني أم ينتمون إلى عصبتهم، إلا ولدی  فاطمة، فأنا وليهما وعصبتهما ؛

ইমাম তাবরানী হযরত ফাতেমাতুজ জাহরা (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক মায়ের সন্তানেরই বংশীয় সম্পর্ক নির্ণীত হয় তাদের পিতার দিক দিয়ে। কিন্তু ফাতেমার সন্তানদের ব্যতিত। কেননা, আমিই তাদের অভিভাবক এবং তাদের বংশীয় উর্ধতন পুরুষ। তাই আমার দিকেই তাদের বংশীয় সম্পর্ক নির্ণীত হবে।”

তথ্যসূত্রঃ 

১. আল মু’জামুল কাবীর, ৩:৪৪ (২৬৩২),

২. আবু ইয়াআলা, ৬:১৬১ (৬৭০৯), 

৩. তারীখু বাগদাদ আল খতীব আল বাগদাদী, ১১:২৮৫, 

৪. আল মাকাসিদুল হাসানা, ইমাম সাখাভী, পৃ. ৩৮১। 

❏ হাদীস ৪:

أخرج الحاكم عن جابر رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ لكل بني أم عصبة ينتمون إليهم، إلا ابني فاطمة، فأنا  وليهما وعصبتهما؛

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক মায়ের সন্তানেরই বংশীয় সম্পর্ক রয়েছে, যা তাঁদের (পিতার) দিকে সম্পর্কিত হয়। তবে ফাতেমার দুই সন্তান ব্যতিত। কেননা, আমি তাদের অভিভাবক এবং তাদের আসাবা (অর্থাৎ তাদের বংশীয় সম্পর্ক নির্ণীত হবে আমার দিকে)”।

তথ্যসূত্রঃ 

আল মুসতাদরিক (তিনি এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন), ৩:১৭৯ (৪৭৭০), ইমাম যাহাবীও তার অনুসরণ করে সহিহ বলেছেন।

❏ হাদীস ৫:

أخرج الطبراني في الأوسط عن جابر رضی الله عنه، أنه سمع عمر بن الخطاب رضي الله عنه يقول للناس حين تزوج بنت على رضي الله عنه: ألاتهنئونی! سمعت رسول اللهﷺ يقول ينقطع يوم  القيامة كل سبب ونسب، إلا سببی و نسبی؛

ইমাম তাবরানী ‘আল-আওসাত’ এ হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) যখন আলী (رضي الله عنه)’র কন্যাকে (উম্মে কুলসুম) বিয়ে করেন, তখন মানুষকে লক্ষ করে বলতে শুনেছেন যে, “সাবধান! তােমরা আমাকে স্বাগত জানাবেনা? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সকল উপায় (উসিলা) ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে; কিন্তু আমার উপায় ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবেনা।”

তথ্যসূত্রঃ

১. আল মু’জামুল আওসাত, ৬:২৮২ (৫৬০২)। 

২. আস সুনানুল কুবরা, ইমাম বায়হাক্বী, ৭:১০১ (১৩৩৯৩)/ ৭:১৮৫ (১৩৬৬০)। 

৩. আল মু’জামুল কাবীর, ইমাম তাবরানী, ৩:৪৫ (২৬৩৫)।

৪. আয যুররিয়্যাতুত ত্বাহিরা, আদ দুলাভী পৃ. ১১৫ হাদীছ নং- ২১৯।

❏ হাদীস ৬:

أخرج الطبراني عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ كل سبب ونسب منقطع يوم القيامة، إلا سببی  ونسبی۔

ইমাম তাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন প্রত্যেক উপায় ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, শুধু আমার উপায় (উসিলা) ও বংশীয় সম্পর্ক ব্যতিত”।

তথ্যসূত্রঃ

১. মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ইমাম হাইছামী, ৯:১৭৩। 

২. আল মু’জামুল কাবীর, ইমাম তাবরানী, ২:২৭ (৩৩) (মসুরা ইবনে মাখমা এর সূত্রে)। 

৩. আল মু’জামুল আওসাত, ৬:২৮২ (৫৬০২)। 

৪. আস সুনানুল বায়হাক্বী, ৭:১০২ (২৩২৯৪)/ ১৮৫ (১৩৬৬০)।

❏ হাদীস ৭:

أخرج ابن عساكر في تاريخه عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ كل نسب وصهر منقطع يوم  القيامة، إلا نسبی وصهری؛

ইবনে আসাকির তার ‘তারীখ’ এ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক বংশীয় ও বৈবাহিক সূত্রের আত্মীয়তা কিয়ামতের দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, শুধু আমার বংশীয় ও বৈবাহিক সূত্রের আত্মীয়তা ব্যতিত। অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন আমার কোন আত্মীয়তাই নষ্ট হবেনা।”

তথ্যসূত্রঃ

১. আল মু’জামুল কাবীর, তাবরানী-৩:৪৫ (২৬৩৪)। 

২. আল ফাওয়ায়েদ, তাম্মাম রাজী, ২:৩৩৩ (১৬০৩)। 

৩. আস সুনানুল কুবরা, ৭:১০২ (১৩৩৯৫/১৩৩৯৬) মােসাওয়ার ইবনে মাখরামা (رضي الله عنه) এর হাদিস থেকে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment