আশূরা সমাগত। কারবালায় ইমামে হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাহাদাত-সংক্রান্ত ইতিহাস ও তাঁর হন্তাদের সম্পর্কে শরঈ সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে ফেইসবুকে পোষ্ট করেছি আমি। কিন্তু শিরোনামে উল্লেখিত আমার অনূদিত ও চট্টগ্রামস্থ সাঞ্জেরী পাবলিকেশনের প্রকাশিত বইটি নিয়ে মহাভ্রান্ত শিয়া গোষ্ঠীর ফেইসবুকে সক্রিয় দালালচক্র অভিযোগ উত্থাপন করেছিলো যে আমি ইমামে হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর হন্তা এয়াযীদের পক্ষে বই অনুবাদ করেছি। প্রকৃত ঘটনা হলো, যেসব উদ্ধৃতি/কোটেশন তারা দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস পেয়েছিলো, সেগুলো শিয়াদের বইয়ের উদ্ধৃতি যা জনৈক দেওবন্দী আলেম নিজের পুস্তকে তুলেছিলেন। আমার অনূদিত গ্রন্থের প্রণেতা আল্লামা হুসাইন হিলমী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর উদ্ধৃতি সেগুলো নয়।
শিয়া এজেন্ডাধারীবর্গ গোটা উদ্ধৃতিগুলোর সামনে-পেছনে পুরো বক্তব্য না তুলে ধোঁকাবাজিস্বরূপ মধ্যখান থেকে কিয়দংশ প্রকাশ করে হৈচৈ বাধিয়েছিলো। তাই আমি ঠিক করেছি আমার জবাবসূচক টীকা-টিপ্পনিযুক্ত পুনঃসম্পাদিত বইটি এ ফেইসবুকেই পুনঃপ্রকাশ করবো। এ কাজ আমার নিয়মিত অনুবাদে বাধা সৃষ্টি করবে না। কেননা প্রায় সবই গুছিয়ে ফেলেছি। কেবল প্রতিদিন সকালে পর্ব-ওয়ারি প্রকাশের অপেক্ষা। এরপর ২য় সংস্করণ ঢাকা থেকে ছাপবো ঠিক করেছি – ইনশা’আল্লাহ। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। আশা করি এ বইটি পথভ্রষ্ট শিয়া গোষ্ঠী সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অনেক কিছু জানতে সহায়তা করবে, মওলার মর্জি।
জরুরি জ্ঞাতব্য: আশূরার পরে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর কৃত শেষ ইজতিহাদের প্রতি উত্থাপিত শিয়া অভিযোগের প্রত্যুত্তরটি ফেইসবুকে শেয়ার করা হবে, ইনশা’আল্লাহ।