গৃহে বন্দি হয়ে বোর হওয়ার দরকার নেই। আসুন কোয়ালিটি টাইম পাস করি। মেডিটেশন করি (যদিও এই পোস্ট টিও অন্যান পোস্টের মতোই রিপোস্ট)।
—————————
#নফি_সবাত ( #লা_ইলাহা_ইল্লাল্লাহ) জিকির করার নক্সবন্দি আকাবির গনের পদ্ধতিঃ
গোপন জিকির হিসাবে বা বাতেনী আমল হিসাবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকিরের কয়েকটি পদ্ধতি আছে। শুধু মাত্র একটি পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা হবে। এখানে #লা টান টি উঠবে নাভী থেকে কপালের মধ্যখান বরাবর যেয়ে থামবে। কপালের মধ্যখান হতে #ইলাহা ডান কাধ বরাবর নেমে, #ইল্লাল্লাহ ডান কাধ হতে ডাইরেক্ট কলবে (বাম স্তনের দুই আংগুল নিচে হৃদ স্পন্দন অনুভূত হবার স্থানে) ধাক্কা দিবে।
নিচে ছবি আকারে দেয়া হলো, যেন বুঝতে সুবিধা হয়।
নফি এসবাতের জিকির দুই ভাবে করা যায়। #এক, খোলাদমে (বা দম স্বাভাবিক রেখে) কিছু সময় এই জিকির টি করা ভাল, এতে, নাভী থেকে লা দিয়ে টান কপালের মধ্যখানে, ইলাই ডান কাধে, আর ইল্লাল্লাহ (কলবে) বামে -এই জিকিরের রুট বা পথ ক্লিয়ার হয়।
#দুই, কিছু সময় রুদ্ধ রেখেও করতে হবে, যেটা তরিকতের সালেকদের জরুরী আমল। এক্ষেত্রে লম্বা টান দিয়ে দম টেনে, তিন-পাচ-সাত বার #লা_ইলাহা_ইল্লালাহ জিকির টি পদ্ধতি মোতাবেক করে, দম ছেড়ে দিয়ে মনে মনে মুহাম্মাদূর রাসুলুল্লাহ সঃ বলতে হবে (সবটা ই হবে মনে মনে, জিহবা নড়াচড়া করবে না)। এরপরে কিছুক্ষন দম নিয়ে আবার পুর্বের মত লম্বা দম টান দিয়ে নিয়ে, দম রুদ্ধ বা বন্ধ রেখে পাচ/সাত/এগারো বা সম্ভব হলে আরও একটু বেশি সংখ্যা গননা করে বেজোড় সংখ্যাতে থেমে যাবে। এক্ষেত্রে একদমে সর্বোচ্চ একুশবার পযন্ত ট জিকির টি করার অনুমতি আছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন, কোনও ভাবেই শরীরের উপর বেকায়দা কোনও চাপ না পড়ে। এই জন্য আস্তে আস্তে সময় নিয়ে নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে অল্প করে করে জিকিরের সংখ্যা বাড়ানো উত্তম।
জিকিরের সংখ্যা কত হওয়া বাঞ্চনীয়?
গত শতাব্দী পযন্ত বুজুর্গ গন নুন্যতম ৫০০ বার এই জিকির টি করার তালিম দিতেন। কিন্তু বর্তমানের অতি ব্যাস্ততা থাকায় বুজুর্গ গন ১০০ বার আমল করার তাগিদ দিচ্ছেন।
এই জিকির কখন শুরু হবে?
এই জিকির লতিফায়ে নফসের(দুই ভ্রুর মধ্য খান বরাবর) আমলের পরে, শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালেকের বা ছাত্রদের অবস্থা বুঝে প্রথমেও এই আমল দিতে পারেন।
এই জিকিরের ফায়দা কি?
এই জিকিরের অনুশীলন করলে অন্যান লতিফা, যেমন কলব (বাম স্তনের দুই আংগুল নিচে), রুহ (ডান স্তনের দুই আংগুল নিচে), সিরর (বাম স্তনের দুই আংগুল উপরে), খফি (ডান স্তনের দুই আংগুল উপরে), আখফা (কলব -রুহ-সিরর-খফির মধ্যখানে বা বুকের মধ্যখানে), এবং লতিফায়ে নফস ( ভ্রুর মধ্য বরাবর) একদম পরিচ্ছন্ন এবং চালু হয়ে যায়। আর কোনও ঝামেলা থাকে না। এহাড়া, এই জিকির অনুশীলন করলে মনের চাঞ্চল্য দুরিভুত হয়। এটা অন্তর বা মনের ওজু সাদৃশ্য।
উচ্চাকাঙ্খাঃ এই জিকির অনুশীলন করলে সুলতানুল আজগর (সমগ্র শরীরে জিকির) এর রাস্তা তৈরি হোয়। অনেক সময়ে, অটোমেটিক সুলতানুল আসগর জারি হয়ে যায়।
(আল্লাহ আমাদের হক্কের উপর থাকার তৌফিক দান করুন)
(শেয়ার না করে, কপি -পেস্ট এর সাহায্যে ভালো লাগার লেখা গুলো ছড়িয়ে দিই–ধন্যবাদ)





Users Today : 228
Users Yesterday : 767
This Month : 14650
This Year : 186521
Total Users : 302384
Views Today : 9698
Total views : 3586441