আল-কুরআনের আলো

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আল-কুরআনের আলো

بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْنَا يانَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلاَمًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ -وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الأَْخْسَرِينَ

অনুবাদ : আমি বললাম, হে আগুন! ইবরাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। এবং তারা (নমরুদ এবং তার সম্প্রদায়) তাঁর (ইবরাহীমের) ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করল। তখন আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং – ৬৯,৭০)
উক্ত আয়াতদ্বয়ের আলোকে আমার জীবনের বাস্ত্মব অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি :
আল্লাহ তা’য়ালা উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য কুরআনুল কারীম নাযিল করে বিরাট অনুগ্রহ করেছেন, যা আমাদের জন্য অনেক বড় নেয়ামত। যা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার নির্ভূল সেতু বন্ধন, মুক্তির একমাত্র পাথেয়, মণিমুক্তার ভান্ডার, অন্ত্মরের কালিমা দূরিকরণের, রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার বিস্ময়কর মহৌষধ। আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার মাধ্যম, সঠিক পথ প্রদর্শক, হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী, পরিপূর্ণ একটি জীবন-বিধান। যার ফাযায়েল অসংখ্য, এবং তিলাওয়াতের প্রতিদান ও সওয়াব অপরিসীম। সুতরাং উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ের আলোকে আমার বাস্ত্মব জীবনে যা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি তা হল, আমি কঠিন কঠিন সমস্যায় পড়ে, জটিল রোগে আক্রান্ত্ম হয়ে, বড় ধরণের মুসিবতের সম্মুখীন হয়ে পবিত্র কুরআনের স্মরণাপন্ন হই এবং উক্ত সমস্যা ও রোগ-বালাই থেকে উত্তরণের পথ খোঁজতে থাকি। অত:পর খোঁজতে খোঁজতে উক্ত আয়াতদ্বয়ের প্রতি আমার দৃষ্টি পড়ে। তখন দেখতে পাই যে, নমরুদ ও তার সম্প্রদায় যখন হযরত ইব্রাহীম (আ:) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল, এমনকি শেষ পর্যন্ত্ম উনাকে জ্বলন্ত্ম আগুনে নিক্ষেপ করল। তখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে অনুগ্রহ করে বিপদ থেকে এভাবেই রক্ষা করলেন যে, আগুনকে নির্দেশ দিলেন- তুমি ইবরাহীমের উপর শীতল হয়ে যাও। শুধু শীতল নয়, বরং নিরাপদ, শান্ত্মিময় ও আরামদায়ক হিসেবে শীতল হয়ে যাও। আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন- যারা ইবরাহীম (আ:) এর ক্ষতি সাধন করতে চেয়েছিল তাদেরকেই আমি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম। কারণ, তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। ইবরাহীম (আ:) এর আগুন নিভে গিয়ে ফুলবাগীচায় পরিণত হল। সুতরাং আমার অনুভূতি ও আশা এই যে, আল্লাহ পাক যেভাবে তাঁর বান্দা হযরত ইবরাহীম (আ:) কে কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা করলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে ধ্বংস করলেন। অনুরূপভাবে আমাদেরকেও আল্লাহ তা’য়ালা কঠিন বিপদ থেকে মুক্ত করবেন, রোগ থেকে নিরাময় দান করবেন। তাই আমি উক্ত দু’টি আয়াতের আমল করতে থাকি। আর আল্লাহর দরবারে দু’আ ও ফরিয়াদ করতে থাকি। অবশেষে আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণী আমার উপর হয়েছে যে, আল্লাহ তা’য়ালা কঠিন বিপদ থেকে আমাকে রক্ষা করেছেন এবং রোগ থেকে নিরাময় দান করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্‌। এভাবে প্রত্যেক সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধান পবিত্র কুরআনে রয়েছে।
অতএব আমার পীর ভাই-বোন ও ছাত্র ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আসুন আমরা পবিত্র কুরআনকে চর্চা করি এবং অন্ত্মর দিয়ে ভালবাসি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে কুরআনের সংযোগ করি। আমাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান পবিত্র কুরআনের মধ্যে দেখি এবং খোঁজি। আর ছড়িয়ে থাকা মণিমুক্তাগুলো আহ্‌রণ করি। মহান আল্লাহ বড় দয়াবান ও মেহেরবান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন! আমীন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment