ইসরার প্রসিদ্ধ তারিখঃ______________
➤ হাফেজ আবদুল গণী মাকদেসী হাম্বলী রহ. বলেন-
كان الإسراء ليلة السابع والعشرين من رجب
২৭ রজব রাত্রে ইসরা সংঘটিত হয়েছে।
—উমদাতুল কারী শরহে বুখারী,৪/৩৯,ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহঃ]
➤ আল্লামা ইবনে খাল্লিকান রহ. বলেন-
وكان تسلمه (البيت المقدس) في يوم الجمعة السابع والعشرين من رجب، وليلته كانت ليلة المعراج المنصوص عليها في القرآن الكريم .
(وفيات الأعيان لإبن خلكان (المتوفى: 681هـ) ج7, ص179, طبع دار صادر , بيروت – لبنان )
বা, সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ূবী রহ. এর হাতে বাইতুল মোকাদ্দাস সমর্পন করার রাত্রি ছিল ২৭ রজব জুমুআর রাত্রি। এটি ছিল মেরাজের রাত, যার উপর কুরআনের নস বিদ্যমান। [ওয়াফিআতুল আইয়ান, ৭/১৭৯]
➤ আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহ. বলেন-
ليلة الإسراء_ وهى ليلة سبع وعشرين من رجب ليلة الاثنين وعليه عمل الناس .
تفسير روح البيان للإمام إسماعيل حقي —
(المتوفى: 1127هـ)ج 5, ص 103, طبع دار الفكر بيروت – لبنان )
লাইলাতুল ইসরা হল রজব মাসের ২৭ তারিখ রোববার দিবাগত রাত।এর উপরই মানুষগণ আমল করে আসছে।
[তাফসীরে রূহুর বায়ান-৫/১০৩]
➤আল্লামা তাহতাভী হানাফী রহ. বলেন-
ليلة المعراج — قيل ليلة سبع وعشرين من رجب وعليه العمل في جميع الأمصار وجزم به النووي في الروضة تبعا للرافعي .
(حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح ج1,ص 114, طبع المطبعة الكبرى الأميرية ببولاق – مصر )
শবে মেরাজ বলা হয় রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতকে। এটিই সকল শহরে গৃহীত এবং এর উপর ইমাম নববী রহ. দৃঢ় মতামত দিয়েছেন। [হাশিয়াতুত তাতাভী আলা মারাকিউল ফালাহ, ১/১১৪]
➤ হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. বলেন-
ليلة سبع وعشرين منه (رجب) وهي ليلة المعراج
(إحياء علوم الدين للإمام الغزالي (المتوفى: 505هـ) ج1, ص 361, طبع دار المعرفة – بيروت لبنان )
রজবের ২৭তম রাত্রি সেটি মেরাজের রাত [এহইয়াউ উলুমুদ্দীন, ১ম খন্ড, পৃ.-৩৬১]
➤ ইমাম নববী রহ. বলেন-
ليلة الإسراء بمكة بعد النبوة بعشر سنين وثلاثة أشهر ليلة سبع وعشرين من رجب .
(روضة الطالبين للإمام النووي ج 10, ص 206, طبع المكتب الإسلامي، بيروت- دمشق )
লাইলাতুল ইসরা মক্কায় নবুওয়াতের ১০ বছর ৩ মাস পর রজব মাসের ২৭ তারিখ। [রওজাতুত তলেবীন, খন্ড-১০, পৃ.-২০৬] অবশ্য ওনার ভিন্ন মতও আছে।
➤ আল্লামা ইবনে কাছির রহ. বর্ণনা করেন-
قَدِ اخْتَارَهُ الْحَافِظُ عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ سُرُورٍ الْمَقْدِسِيُّ فِي سِيرَتِهِ وَقَدْ أَوْرَدَ حَدِيثًا لَا يَصِحُّ سَنَدُهُ ذَكَرْنَاهُ فِي فَضَائِلِ شَهْرِ رَجَبٍ أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ-
হাফেজ আবদুল গনী বিন সুরূর মাকদেসী তার সীরাত গ্রন্থে ২৭ রজব মেরাজুন্নবী হওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেছেন। (যদিও সনদ সহিহ নয়) [আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৩/১০৯]
➤ আল্লামা আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী রহ. বলেন-
قلت: وقد كان في ليلة سبع وعشرين من رجب.
(الوفاء بتعريف فضائل المصطفى للإمام أبي الفرج عبد الرحمن الجوزي (المتوفى :597هـ) ج1, ص 162, طبع دار المعرفة بيروت ـ لبنان )
আমি বলি মেরাজ সংঘটিত হয়েছে রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে।
[আল ওয়াফা বি আহওয়ালে মোস্তফা, ১/১৬২]
[আল মুন্তাযিম ফিত তারিখিল উমুমি ওয়াল মুলক,৩/২৬,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]
➤ আল্লামা আবদুল বাকী যুরকানী রহ. বলেন-
كان ليلة السابع والعشرين من رجب” وعليه عمل الناس، قال بعضهم: وهو الأقوى، فإن المسألة إذا كان فيها خلاف للسلف ولم يقم دليل على الترجيح واقترن العمل بأحد القولين أو الاقوال، وتلقى بالقبول فإن ذلك مما يغلب على الظن كونه راجحا.
“و” لذا “اختاره الحافظ عبد الغني” ابن عبد الواحد بن علي “بن سرور المقدسي”
শবে মেরাজ ২৭ রজব রাত্রে, এটিই মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য। কেউ কেউ বলেন এটিই অধিক শক্তিশালী মত।
[শরহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ২/৭১]
➤ আল্লামা আবদুল হাই লাখনবী রহ. বলেন-
هو أمر مختلف فيه بين المحدثين والمؤرخين فقيل كان ذلك في ربيع الأول وقيل في ربيع الآخرة وقيل في ذي الحجة وقيل في شوال وقيل في رمضان وقيل في رجب في ليلة السابع والعشرين وقواه بعضهم
এটি মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদপূর্ণ বিষয়। কেউ বলেন মেরাজ রবিউল আউয়ালে সংঘটিত হয়েছে, কেউ বলেন রবিউস সানীতে, কেউ বলেন জিলহজ্জ মাসে, কেউ বলেন শাওয়াল মাসে আবার কেউ বলেন রমজান মাসে, কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত্রে এটিকেই কেউ কেউ শক্তিশালী মত বলেছেন। [আছারুল মারফূআ, ১/৭৭]
রব তা’য়ালার দর্শন সম্পর্কেঃ—
➤ রাসুলে আকরাম ﷺ এরশাদ করেনঃ
فَرَأَيْتُ رَبِّي فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ “অতঃপর আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দরতম অবস্থায় দেখেছি”।
(১।তিরমিযী শরিফ, ৫/৩৪৩ পৃ. হা/৩২৩৫,কিতাবু তাফসিরীল কোর’আন,বাব মা জা আ ফি তাফসিরে সুরাতিস সোয়াদ
২।মিশকাত, ১/৭১ পৃ. হাদিস:৭৪৮)
ইমাম তিরমিযী হাদিসটি সংকলন করে বলেনঃ
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
“এ হাদিসটি হাসান, সহীহ। আমি ইমাম বুখারীকে এ হাদিসের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ হাদিসটি সহীহ।”
(তিরমিযী শরীফ, ৫/৩৪৩ পৃ. হাদিস:৩২৩৫)
➤ হাদিস নং ২:
حدثنا عبد الله حدثني أبى ثنا أسود بن عامر ثنا حماد بن سلمة عن قتادة عن عكرمة عن بن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : رأيت ربي تبارك وتعالى
রাসুলে আকরাম ﷺ এরশাদ করেনঃ
“আমি আমার রব আল্লাহকে দেখেছি”।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৫৮০, সুনানে কুবরা নাসায়ী, হাদীস নং-১১৪৭৩)
➤ হাদিস ৩ঃঃ
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ رَاَيْتُ رَبِّىْ عَزَّ وَجَلَّ فِىْ اَحْسَنِ صُوْرَةٍ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ
“আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দরতম অবস্থায় দেখেছি”।
(১.মিশকাত, হাঃ ৭২৫
২.সুনানে দারেমী, হাঃ ২১৪৯)
সাহাবীদের থেকে মওকুফ সনদে সহিহ হাদিসসমূহঃ
➤ হাদিস নং ৪ঃ—
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ
إن محمد ﷺ رأي ربه مرئين : مرة بصره،و مرة بفؤاده
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ’কে দুইবার দেখেছেন, একবার স্বচক্ষে, আরেকবার অন্তর দ্বারা।”
[১।মু’জামুল আওসাত, ৫৭৬১
২।মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং- ১২৫৬৪]
হাদীস ৫ঃঃ
ابن عباس : رأيت ربي عز وجل ليس كمثله شيء
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ
“আমি আমার রব আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছি, কিন্তু তাঁর কোন তুলনা নেই।”
(ইমাম দায়লামী,আল ফেরদাউস, হাঃ ৩১৮৩) [সনদ সহিহ ]
➤ হাদিস নং ৬ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ
“নবীজী ﷺ তাঁর রবকে দেখেছেন”।
(ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, হাঃ ৪৪৪) [সনদ সহিহ]
হাফেজুল হাদিস ইমাম শাবী, প্রসিদ্ধ তাবেয়ী ইকরামা হতে সাহাবি ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে অতি শক্তিশালী সনদে হাদীস বর্ণনা করেন।
➤ হাদিস নং ৭ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ
” নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা ইব্রাহিম (আঃ)’কে খলীল বানিয়েছেন, মুসা (আঃ)’এর সাথে কথা বলেছেন, আর নবীজীকে দীদার (দর্শন) দিয়েছেন”।
(ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, হাঃ ৪৪৫) [সনদ সহিহ] বুখারী–মুসলিমের মওকুফ শর্তে
➤ হাদিস নং ৮ঃ হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ
“নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ﷺতাঁর রব আল্লাহ তা’য়ালাকে দেখেছেন।”
(ইমাম বায্যার, আল মুসনাদ, হাঃ ৭১৬৫, ইমাম ইবনে খুজায়মা, ২৮৮৯) [সনদ হাসান]
➤ হাদিস নং ৯ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ এরশাদ করেনঃ
“আমার নিকট মহান রব আল্লাহ রাতে (মেরাজের রাতে) উত্তম আকৃতিতে আগমন করেছিলেন।”
(মুসনাদে আহমদ, হাঃ ৩৪৮৪,২২১৬২)
➤ হাদিস নং ১০ঃ
(শাসক) মারওয়ান ইবনে হাকাম একদা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)’কে জিজ্ঞাসা করলেন, “মুহাম্মদ ﷺ কি আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ দেখেছেন”।
[ইমাম কাযী আয়াজ, আশ শিফা বি তা’রিফে হুকুকিল মুস্তাফা (ﷺ),২৪৮ পৃঃ]
মাকতু’ সূত্রে তাবেয়ী হতে সহিহ সনদে হাদিসসমূহঃ
➤ হাদিস নং ১১ঃ হযরত হাসান বসরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি কসম করে বলেছেনঃ
“নিশ্চয়ই রাসূল ﷺআল্লাহ তা‘য়ালাকে দেখেছেন।”
(ইমাম আব্দুর রায্যাক, আত-তাফসির, ৩/২৫১ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩০৩৩) [সনদ সহিহ]
➤ হাদিস নং ১২ঃ হযরত তাবেয়ি শারিক (রহঃ) হযরত আবু যর গিফারী রাঃ হতে বর্ণনা করেনঃ
“অত্র আয়াত (হৃদয় যা দেখেছে তা মিথ্যা নয়) প্রসঙ্গে যে, হুযুরﷺ আল্লাহ তা‘য়ালার দর্শন লাভ করেছেন।”
(কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/১১৬ পৃষ্ঠা, মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৬ পৃ.)
পূর্বের ইমামদের মত ও আয়েশা (রাঃ) এর হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যাঃ
➤ ইমাম কাজী আয়াজ (রহঃ)’এর অভিমতঃ
“তিনি বলেন, সত্য কথা হলো আকলের দিক থেকে এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করার কোন অবকাশ নেই যে, দুনিয়াতে তিনি আল্লাহর দীদার লাভ করেছেন। আর আকলের দিক থেকে বিরূপ কোন প্রমাণও নেই যে, এরূপ হওয়া অসম্ভব।”
(কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/১১৮ পৃষ্ঠা, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৯ পৃষ্ঠা,)
➤ ইমাম নববী (রহঃ)’এর অভিমতঃ
“অধিকাংশ ওলামার নিকট এই মতই প্রাধান্য পেয়েছে যে, নবী করীম ﷺ মি‘রাজের রজনীতে স্বীয় প্রতিপালককে তাঁর কপালের চক্ষু দ্বারা দেখছেন। যেমনটি ইবনে আব্বাস রাঃ এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এই বিষয়ে যারা (সাহাবীরা) রাসূলে পাক হতে মি‘রাজের সময় (মি‘রাজের ঘটনা) শ্রবণ করেছেন কেবল তাদের অভিমত ছাড়া বাকি অভিমত (যেমন মা আয়েশার অভিমত; কেননা তিনি তখন খুব ছোট ছিলেন) গ্রহণ করা হবে না।”
(ইমাম নববী : শরহে মুসলিম : ৩/৫ পৃষ্ঠা, দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেব : ৬/১১৬পৃ,)
➤ ইমাম গাজালী (রহঃ)’এর অভিমতঃ
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) লিখেনঃ
“ইমাম গায্যালী (রহঃ) ‘ইহইয়াউল উলূমে’ বলেন, বিশুদ্ধ অভিমত হলো, মি‘রাজের রজনীতে রাসূল আল্লাহ্ তা‘য়ালাকে দেখেছেন।”
(আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৩)
ফযিলতে মেরাজঃ
Al-Isra has been depicted in Quranulkareem on the Chapter of Al-Suratul Isra (or, Bani Israeel).A person who refuses to go from the Masjid al-Haram to the Baitul Muqaddas is considered a Kafir. The I’raaj, refers that the, prophetic ascension to the upper sky has been proved by ‘Hadith Al-Ahad’s or ‘Mutawatir’s.
➤Date of Al-Isra Night:-
Allama Hafiz Ibn Kathir mentioned that,
ان الاسراء كان ليلة السابع والعشرين من رجب، وقد اختاره الحافظ عبد الغني بن سرور المقدسي في سيرته والله اعلم
translation: Surely Al-Isra took place on the 27th night of the month of Rajab and it has been given priority by Hafizul-Hadith Allama Abdul Ghani Ibn Sarur Al Maqdisi in his book Sirat.Allah knows best.
[★Al-Bidaya Wan-Nihaya,2/116,Ibn Kathir
★Al-Siratun Nawawiyah 2/93,Ibn Kathir
★Umdatul Qari,4/59,Imam Badr-Uddin A’inee
★Imaa al-asma, 10/338, Imam Taqiuddin Muqrezi
★Nujhatul Majalis,1/144,Allama Abdir Rahman Sufuri Shafi’i]
Imam Al-Haramain (Imam of the both Harams) Allama Ismail Haqqi Hanfi mentioned that,
وكان الاسراء ليلة السابع والعشرين من رجب علي ما عليه الاكثر في السنة الثانية عشرة من النبوة قبل الهجرة،
translation:The Mi’raj Sharif of the Prophet took place on the 27th of Rajab in the twelfth year of the Prophethood. On which the majority has an opinion.
(Tafsir Al-Ruuh Al-Bayan,4/654)
➤➤Fazail of 27th Rajab:
Hujjatul Islam Imam Gazali mentioned 15 holy nights, on the chapter of ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ, in his famous ‘Ihiya Ulum Ad-Din’.He mentioned here,27th Rajab is the holy night when Al-Isra Wal-Mi’raj took place.
Some form of Nafl-Prayer proven by ‘Hasan’ graded Hadith:—
Hadith #1:
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻟﻴﻠﺔ ﻛُﺘﺐ ﻟﻠﻌﺎﻣﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺣﺴﻨﺎﺕُ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﺜﻼﺙ ﺑﻘﻴﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ، ﻓﻤﻦ ﺻﻠَّﻰ ﻓﻴﻪ ﺍﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ، ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺔ ﻓﺎﺗﺤﺔ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ، ﻭﺳﻮﺭﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻳﺘﺸﻬﺪ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺘﻴﻨﻦ ﻭﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻫﻦ، ﻭﻳﻘﻮﻝ ﺑﻌﺪ ﺻﻼﺗﻪ : ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ، ﻭﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺴﺘﻐﻔﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ ، ﻭﻳﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺪﻋﻮ ﻟﻨﻔﺴﻪ ﻣﺎ ﺷﺎﺀ ﻣِﻦ ﺍﻣﺮ ﺩﻧﻴﺎﻩ ﻭﺁﺧﺮﺗﻪ، ﻭﻳﺼﺒﺢ ﺻﺎﺋﻤﺎً؛ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺴﺘﺠﻴﺐ ﺩﻋﺎﺀﻩُ ﻛﻠَّﻪ؛ ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ
Narrated Anas bin Malik R.A narrated that, The Prophet (ﷺ) said: “There is a night in Rajab that has the reward of “Good deeds of 100 years” for those who do good deeds.And that is the night of the 27th of Rajab. On this night, “12 rak’at” prayers will be offered, Surah Fatiha and another Surah in each rak’at and Attahiyatu will be recited after every two rak’ats.After completing Salat, “Subhallahi wal Hamdu lillahi wal ilaha illallahu Allahu Akbar” will be read for 100 times. Istigfar, that is, “Astagfirullah Rabbi Min Kulli Yambi Wa Atubu Ilahi La Hawla Wala Qawwata Illa Billahil Aliyil Azeem” will be recited 100 times. Durood Sharif will be recited 100 times. And he will make du’a for whatever he wants in this world and in the hereafter and will fast during the day, but Allah will accept all his du’a, except for those du’a which are done for sin.
[★Shu’aab Al Iman,3/374,#3812,Imam Baihaqi
★Fazailul Awqat,Hadith #12,Imam Baihaqi
★Al-Jami Al-Ahadith,14/496,#14812, Imam Sayuti
★Al-Durr Al -Manthur,4/139,Sura Bara’at verse 36,Imam Suyuti
★Kanzul U’mmal,12/312,Hadith #35170,Imam Hindi
★Tanziatus Shariah, 2/89,Imam A’raaqi
★Majmuah al-Rasail, Al-Adabu Fi Shahriar Rajab page 48,Imam Ali Qari]
Hadith #2:
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﻴﻠﺔ؛ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ، ﻭﻗﺎﻡ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ؛ ﻛﺎﻥ ﻛﻤﻦ ﺻﺎﻡ ﺍﻟﺪﻫﺮ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻗﺎﻡ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻫﻮ ﻟﺜﻼﺙٍ ﺑﻘﻴﻦَ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ
translation:Narrated from Hazrat Salman Farsi R.A he said: The Prophet ﷺ said: There is a day and a night in Rajab, whoever fasts on this day and pray salat at night, he will be rewarded as he fasted for “100 years” and prayed “100 years”. And that is 27th date of Rajab.
[★Shu’ab Al Iman, 3/374,3811
★Fazailul Awqat,Hadith #11
★Al-Guniah,p 240,Shykh Abdil Qadir Geelani
★Tafsir Durr Al Manthur,4/139,Imam Suyuti
★Kanzul U’mmal,#35169
★Al Muntakhabu Kanzul U’mmal, 2/362
★Mausuatu Tareekh Islam,1/381, Muhammad Hadi Yusufi
★Al-Jamiul Jawami,Vol 1,Baab Haraf Faa
Hadith 3:
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﻳﻮﻡ ﺳﺒﻊ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ ﻛﺘﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﺻﻴﺎﻡ ﺳﺘﻴﻦ ﺷﻬﺮﺍً ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺬﻱ ﺃﻫﺒﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻪ ﺟﺒﺮﺍﺋﻴﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﺎﻟﺮﺳﺎﻟﺔ
translation:
Narrated Abu Huraira R.A narrated that the Prophet ﷺ said: Whoever fasts on the 27th of Rajab, Allah will record the reward of fasting for 60 months, that is, five years.
[★Ihiya Ulumid Din,Chapter ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ , Imam Gazali
★Al-Guniah,page 240,Shykh Abdil Qadir Geelani. Shykh Abdil Qadir Geelani narrated from his teacher Shykh Hubbatullah.Full Asanid is
[أخبرنا الشيخ أبو البركات هبة الله السقطي، قال أخبرنا الشيخ الحافظ أبو بكر أحمد بن على ثابت بن الخطيب، قال أخبرنا عبد الله ابن علي بن محمد بشير، قال أخبرنا علي بن عمر الحافظ، أخبرنا أبو بكر نصر بن جوشن ابن موسي الخلال، أخبرنا علي بن سعيد الديلمي، أخبرنا ضمرة بن ربيعة القرشي عن ابن شوذب عن مطر الوراق، عن شهر بن حوشب، عن أبي هريرة رضي الله عنه….الى اخر الحديث
★Al-Ithaf, 5/208
★Al-Ma’ani Alaala ‘Amalia Isfaar,1/367
★Seerat Halabiya,1/384,Imam Burhanuddin Halabi
★Mausuatu Tareekh Islam,1/381, Muhammad Hadi Yusufi.
➤An objection and its answer:
Imam Abul Hasan Ali,in his Tanzihus Sharia 20/161, commented on the hadith of Hazrat Salman R.A that,
قال الحافظ ابن الحجر العسقلاني في تبعين العجب “هو ابن بسطام النميمي الهروري” رؤي عن جماعة من التابعين و ضعفه ابن معين،
translation:Hafizul Hadith Ibn Hajar Asqalani in his book “Tabeinul Ajab” says about Ibn Bustam An Namimi Al-Hajrami: He narrated this hadith from a group of Tabi’is and Ibn Mu’in called him Da’if.
✪✪✪Reply:
➤We have narrated the hadith from another chain that compiled in Al-Guniah,which has no Al-Hajrami in its chain.
➤Imam Baihaqi reported in his Shu’ab,about the hadith that,
و رؤي ذلك باسناد اخر اضعف
means,there is a another narration that contains a Da’if Rawi.
That means,this chain is more effective than unprescribed one.
In Usulul Hadith,whenever two or more than two acceptable chains get connected through the matn of the hadith, then the hadith would be graded as ‘Hasan’.
Hence,Nafl is proved.
Again, even if we take it for a while, it is weak,then the rule of weak hadith is:-
Imam Dhahabi reported that,
قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ: جَمِيعُ الْحَنَفِيَّةِ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّ مَذْهَبِ أَبِي حَنِيفَةَ أَنَّ ضَعِيفَ الْحَدِيثِ أَوْلَى عِنْدَهُ مِنَ الْقِيَاسِ وَالرَّأْيِ.
translation:I mam Abu Muhammad ibn Hazm said, “All Hanafi scholars agree that it is better for a scholar to follow the hadith of Dwaif Sanad than to have his own Qiyas and judgment.”
(Tarikhul Islam,3/990,SI:445,Hafiz Dhahabi)
Imam Nawawi said that,
قد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف فى فضائل الاعمال:مقدمة المؤلف
The scholars have all agreed on this point that Da’if Hadith is acceptable for Fayyil Amal.
(★Arba’in,1/20;Imam Nawawi
★Sharhe Arba’in,1/20,Imam Ibn Daqiq Al-I’id)
Where Da’if Hadith is so important, we have proved ‘Hasan’. After that, I do not understand how the deviant people call it bid’at.