প্রকৃত মুমিন বা উলামায়ে রাব্বানী বা সাদেকীন বা সালেহীন বা আল্লাহর অলিদের সাথে সম্পর্ক রাখা কেন জরুরী?
-শায়খ সাইফুল আজম আল আজহারি
——————————————————
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ ইহকালীন কোন হকের ব্যপারে তোমাদের কারো বিতর্ক এত কঠিন ও দৃঢ়তর হবেনা, যতটা কঠিন ও দৃঢ় প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির বিতর্ক তাদের রবের দরবারে তাদের ঐ সমস্ত গুনাহগার ভাইদের ব্যপারে হবে যাদের ইতোমধ্যে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয়েছে। তারা বলবেনঃ হে আমাদের রব! আমাদের এই ভাইয়েরা আমাদের সাথে নামাজ আদায় করতো, আমাদের সাথে রোজা রাখতো, আমাদের সাথে হজ্ব করতো। আপনি তাদেরকে জাহান্নামে দিয়ে দিয়েছেন। এটা শুনে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলবেনঃ আচ্ছা, তোমরা যাকে চেন তাকে নিজেরা গিয়ে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসো। বর্ণনাকারী বলেন: তারা তাদের কাছে আসবেন এবং তাদের চেহারা দেখে চিনতে পারবেন। তাদের মধ্যে কারো পায়ের তালুর অর্ধেক আর কারো পায়ের গ্রন্হি পর্যন্ত আগুনে পুড়ে গেছে। তারা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে আরজ করবেন: হে আমাদের রব! আপনি যাদেরকে বের করতে বলেছেন আমরা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করেছি। পরক্ষণেই আল্লাহ্ তায়ালা বলবেন: যাও, তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ঈমান আছে। অতঃপর বলবেনঃ তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ঈমান আছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত বলবেন: যাও, তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো যাদের অন্তরে তীল পরিমাণ ঈমান আছে। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ এখন যদি কারো বিশ্বাস না হয়, তবে সে যেনো পবিত্র কোরানের এই আয়াতটা পড়ে নেয়ঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা শিরক ক্ষমা করেননা। শিরক ব্যতিত যে গুনাই হোকনা কেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।” (নিসা ৪:৪৮)
⚛ তথ্যসূত্রঃ
১.সহীহ্ বুখারী শরীফ, তাওহীদ অধ্যায়, নং ৭৪৩৯
২.সুনান নাসাঈ, ঈমান অধ্যায়, নং৫০১০
৩.ইবনে মাজাহ, মুকাদ্দামা, ঈমান অধ্যায়, নং ৬০
৪.ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলঃ মুসনাদে আহমদ
৫.ইমাম হাকেমঃ আল মুস্তাদরাক





Users Today : 228
Users Yesterday : 767
This Month : 14650
This Year : 186521
Total Users : 302384
Views Today : 10279
Total views : 3587023