আলা হযরতের ফতোয়া এবং একজন কওমী কোণা ব্যাঙের সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ; যে সব দেওবন্দি আকাবির কাফির হয়েছে তাদেরকে মুসলমান বানাতে চাইলে

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী

………………………………………

আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহ.) তাঁর ঐতিহাসিক কিতাব হুসামুল হারামাইনে দেওবন্দের চারজন শীর্ষ আলেমের একাধিক কুফরি বক্তব্যের কারণে তাদেরকে কাফের ফতোয়া দিয়েছিলেন। ওলামায়ে হেরমাইনসহ ভারতবর্ষের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামও এ ফতোয়ার স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেই এ পর্যন্ত প্রায় শত বছর অতীত হয়েছে কোন দেওবন্দি তা খণ্ডন করতে পারে নি। পাক ভারত উপমহাদেশ ও বাংলাদেশের কোন আলেমের সাথেও দেওবন্দিরা কখনো কোথাও কোন মোনাজারা ও বহসে সুন্নী ওলামায়ে কেরামের সাথে বসেন নি। কোথাও কোথাও বসার কথা থাকলেও তারা এমনভাবে পালিয়েছিলেন যে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। এর মানে তারাও সে ফতোয়া মেনে নিয়েছিলেন। যেখানে তাদের বড় বড় মহারথীরা পালিয়ে কবরে পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে কোন এক কোণা ব্যাঙের সাথে এ বিষেয়ে বসার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে হাঁ, কেউ যদি আবার তাদের আকাবিরদের নতুন করে মুসলমান বানাতে চায় তাহলে এ দেশে তাদের যত শীর্ষ নেতা আছে তারা আহলে সুন্নাতের শীর্ষ আলেমদের সাথে বসতে পারে। তবে সে সাহস তাদের নেই তারা কখনো বসবে না। তাই কোণা ব্যাঙের ঘোঙানিতে কান না দেওয়ার অনুরোধ রইলো সুন্নী জনতার প্রতি। কারণ তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে তাদের কথিত আকাবিররা কাফির নয়।

কথাগুলো বলতাম না। দেওবন্দী ছানাটি খুব লাফালাফি করছে। অথচ সে বহসের ঘোষণা দিয়ে এখনও নাকি টালবাহানা করছে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আবার বিভিন্ন জায়গা থেকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ছে!! একটা বিষয়ে সে যাদের সাথে বসার কথা সেখানে তাদের সাথে না বসে আবার বিভ্রান্ত ছড়ানো এটা তাদের আকাবিরদের পুরানা অভ্যাস। তাই এ সব চাপাবাজ ও প্রতারকদের থেকে দূরে থাকা চাই।

[তাদের আকাবিরদের প্রতারণা সম্পর্কে বিস্তারিত আসবে আগামী সংখ্যায় ইনশাআল্লাহ।]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment