আয়াতে কুতুব আরবি বাংলা অর্থ ও ফজিলত সহ
আয়াতে কুতুব আরবি
আয়াতে কুতুব বাংলা
ছুম্মা আনঝালা আলাইকুম মিম বাদিল গামমি আমানাতান নু’আ ছাই ইয়াগশাতাইফাতাম মিনকুম ওয়া তাইফাতুন কাদ আহাম্মাতহুম আনফছুহুম ইয়াজুন্নুনা বিল্লা-হি গাইরাল হাক্কিজান্নাল জা-হিলিইইয়াতি ইয়াকূলূনা হাল্লানা-মিনাল আমরি মিন শাইইন কুল ইন্নাল আমরা কুল্লাহুলিল্লা-হি ইউখকূনা ফীআনফুছিহিম মা-লাইউবদূ না লাকা ইয়াকূলুনা লাও কা-না লানা-মিনাল আমরি শাইউম মা-কুতিলনা-হাহুনা-কুল্লাও কুনতুম ফী বুয়ূতিকুম লাবারাঝাল্লাযীনা কুতিবা আলাইহিমুল কাতলুইলামাদা-জি’ইহিম ওয়া লিইয়াবতালিইয়াল্লা-হু মা-ফী সুদূ রিকুম ওয়ালিইউমাহহিসা মাফী কুলুবিকুম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুম বিয়া-তিসসুদূর।( সূরা ইমরান আয়াত নম্বরঃ ১৫৪)
আয়াতে কুতুব এর অর্থ
অর্থ : অতঃপর দুঃখের পর তিনি তোমাদেরকে প্রদান করিলেন প্রশান্তি তন্দ্রা রূপে, যাহা তোমাদের এক দলকে আচ্ছন্ন করিয়াছিল। এবং একদল জাহিলী যুগের অজ্ঞের ন্যায় আল্লাহ্ সম্বন্ধে অবাস্তব ধারণা করিয়া নিজেরাই নিজেদেরকে উদ্বিগ্ন করিয়াছিল এই বলিয়া যে, আমাদের কি কোন অধিকার আছে? বল, সমস্ত বিষয় আল্লাহ্ই ইখতিয়ার। যাহা তাহারা তোমার নিকট প্রকাশ করে না, তাহারা তাহাদের অন্তরে উহা গোপন রাখে, আর বলে, এই ব্যাপারে আমাদের কোন অধিকার থাকিলে আমরা এই স্থানে নিহত হইতাম না।’ বল, যদি তোমরা তোমাদের গৃহে অবস্থান করিতে তবুও নিহত হওয়া যাহাদের জন্য অবধারিত ছিল তাহারা নিজেদের মৃত্যুস্থানে বাহির হইত। ইহা এই জন্য যে, আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা পরীক্ষা করেন এবং তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা পরিশোধন করেন। অন্তরে যাহা আছে আল্লাহ্ সে সম্পর্কে বিশেষ ভাবে অবহিত।
আয়াতে কুতুব এর ফজিলত
পবিত্র কোরআন শরীফের এ আয়াতটি আয়াতে কুতুব নামে প্রসিদ্ধ। এ আয়াত পাঠের অসংখ্য ফযীলত রয়েছে। নিম্নে এর কয়েকটি ফযীলত উল্লেখ করা হল ।
(১) এ আয়াতের নিয়মিত আমলকারী মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে সমর্থ হয় এবং এর দ্বারা সংসারে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
(২) ফজর ও মাগরিবের পর নিয়মিতভাবে পাঠকারীর পরিবারস্থ সকলে ইনশাআল্লাহ নিরাপদে বাস করতে পারবে।
(৩) কোন কঠিন উদ্দেশ্য সফল হবার জন্য ৪০ দিন পর্যন্ত ৪০০ বার করে পাঠ করলে উদ্দেশ্য সফল হবে।
(৪) শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য ৯ দিন পর্যন্ত ২৯ বার করে পাঠ করলে শত্রু ধ্বংস হবে।
(৫) হিংসুকের হিংসা হতে রক্ষা পাবার জন্য ২৯ দিন পর্যন্ত ২৯ বার করে পাঠ করলে রক্ষা পাওয়া যায়।
(৬) চাকুরি লাভের জন্য ১০ দিন পর্যন্ত ১০ বার করে পাঠ করতে হয়।
(৭) ধন-সম্পত্তি, ছেলেমেয়ে ও শরীর সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ৫ বার করে পাঠ করবে।
(৮) কোন শত্রুর সাথে দেখা করতে যাবার সময় এবং সকল প্রকার উদ্দেশ্য সফল হবার জন্য দিনে তিনবার পাঠ করতে হয়।