চারদিকে ফিতনা আর অশ্লীলতার জোয়ার বইছে যখন। ঘর থেকে বের হওয়াই যেন ঈমান-আমলের নিরাপত্তাহীনতা। যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, গুণাহের ছড়াছড়ি। বিদেশি কালচারের রোগ এসে যেন, মুসলমান তরুণ-তরুণীদের মাথায় বাসা বেঁধেছে। তাদের হায়া/লজ্জা হারিয়ে গেছে। ইসলামি শরীয়াহ তাদেরকে কাছে প্রায় অচেনা হয়ে পরছে প্রতিনিয়ত। এখন আর গুণাহ গোপন রাখা হয় না, প্রকাশ করতেও নেই কোনো সংকোচবোধ।
এ অবস্থায় হৃদয় অশান্ত হয়। আমি বাঁচব কিভাবে? বাঁচার উপায় কি? এসব প্রশ্ন হৃদয়গহীনে উঁকি দেয় বারবার। ঠিক এই সময় কয়েকটি হৃদয়স্পর্শী কথা অশান্ত অন্তরে প্রশান্তির সবুজ কুঁড়ির জন্ম দেয়।
সায়্যিদুনা ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু জিজ্ঞেস করলে হযরত কাআব রাদ্বিআল্লাহু আনহু’কে, হে কাআব! খোদাভীরুতা কি? কাআব রাদ্বিআল্লাহু আনহু বললেন– হে ওমর! আপনি কখনো এমন রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করেছেন- যেখানে অনেক কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় আছে? হ্যা, এমন রাস্তা দিয়েও আমার যাতায়াত হয়েছে – উত্তর দিলেন ফারুকে আজম। কাআব রাদ্বিআল্লাহু আনহু জিজ্ঞেস করলেন– এমন রাস্তা দিয়ে কিভাবে অতিক্রম করেছেন? বললেন- নিজের কাপড়কে গুটিয়ে, কাঁটা থেকে বেঁচে অতিক্রম করেছি। তখন কাআব রাদ্বিআল্লাহু আনহু বললেন– হে ফারুকে আজম ব্যস! এটাই তাকওয়া। [১]
দুনিয়াতে রব আমাদেরকে সুন্দর আকৃতি, পরিচ্ছন্ন অন্তর এবং ঈমানদার বানিয়ে পাঠিয়েছেন। দুনিয়া একটা রাস্তা সদৃশ। এতে রয়েছে নফস, শয়তান এবং হাজারো গুণাহের কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড়। এগুলো থেকে বেঁচে, নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারা ব্যক্তিটাই এখানে সফল। তাই এই তাকওয়া কে অন্তরে জীবিত করতে হবে। আর এর জন্য গুণাহ সম্পর্কে জানতে হবে। মানসিকতা বানাতে হবে গুণাহকে ঘৃণা করার।
Reference:
[১] তাফসীরে বাগভী, ১ম পারা, সূরা বাকারা, ২য় আয়াতের পাদটীকা।