আমি আমার আন্মাজানের স্বপ্নে দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদসমুহকে আলোকিত করেছিল।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আমি আমার আন্মাজানের স্বপ্নে দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদসমুহকে আলোকিত করেছিল।
🖋কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি

আল্লাহ পাক বলেন,
قال عيسي ابن مريم يبني اسراءيا اني رسول الله اليكم مصدقا لما بين يدي من التورة و مبشرا برسول ياتي من بعدي اسمه احمد
অর্থ :হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে বনী ইসরাঈল ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ! আমার পূর্ববর্তী তাওরাত শরীফের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদ দানকারী। যিনি আমার পরে আগমন করবেন, উনার নাম মুবারক হচ্ছে আহমদ (ﷺ) !” (সূরা ছফ ৬)

সূরা ছাফ ৬  এর তফসীর :

উক্ত আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  নিজেই নিজের মীলদ শরীফ বর্ননা করেন।

🕋 ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম হাকিম, ইমাম আত-তাবারানী, ইমাম আল-বাজ্জার, ইমাম আল-বায়হাকী (رحمة الله) বর্ননা করেন,

হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,

“আমি আল্লাহর বান্দা ও শেষ নবী।আমি তখনো নবী ছিলাম যখন আদম (عليه السلام) মাটির অন্তর্গত ছিলেন। খুব শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে এসব বিষয়ে অবগত করব।

– আমি আমার পিতা হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) এর দোয়া,

– হযরত ঈসা (عليه السلام) এর [তার জাতিকে দেয়া ভবিষ্যৎবানী] সুসংবাদ এবং

– “আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।”

তথ্যসূত্রঃ

১.ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ খ ৪ : প ১২৭ : হাদিস ১৬৭০১।

২.আল-বায়হাকী, শু’য়াবুল ঈমান, খ. ২, পৃ. ৫১০, হাদীস: ১৩২২। 

৩.ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুন নবুওয়াত : খন্ড ১ : পৃ ৮৩, প ১১০।

৪.ইমাম বাজ্জার : আল বাহরুয যাখরার : খ ১০, পৃ ১৫৩, হাদিস ৪১৯৯ । 

৫.ইমাম ইবনে ইসহাক : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ২৮।

৬.ইমাম ইবনে হিশাম : সিরাতুন নবী : খ ১ : প ১৫৬।

৭.ইমাম ইবনে সা’দ : তাবাকাত আল কুবরা : খ ১ : প ১৫০।

৮.ইমাম তাবারী : তফসীরে তাবারী : খ ১ : প ৫৫৬।

৯.ইমাম তাবারী : তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক : খ ১ : প ৪৫৮।

১০.ইমাম ইবনে আসাকির : তারিখে মদিনাত দামিস্ক : ১ম খন্ড : ১৭০ পৃ & ৩য় খন্ড ৩৯৩ পৃ।

১১.ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : খ ২ : প ১৩১।

১২.ইমাম আবু লাইস সমরকানী : তফসীরে সমরকানী : খ ৩ : প ৪২১।

১৩.আত-তাবারানী, আল-মু’জামুল কবীর, খ. ১৮, পৃ. ২৫২, হাদীস: ২২৯ ও ২৩০।

১৪.ইমাম ইবনে হিব্বান : সহীহ ইবনে হিব্বান : খ ৯ : প ১০৬।

১৫.মুসনাদে আফযার : হাদিস ২৩৬৫।

১৬.খতিব তাবরিজী : মিশকাতুল মাসাবিহ : প ৫১৩।

১৭.ইমাম ইবনে জাওজী : আল ওয়াফা : প ৯১।

১৮.ইমাম হাকিম : মুস্তাদরেক আল হাকিম : খন্ড ২. পৃ. ৪৫৩, হাদীস: ৩৫৬৬ ও পৃ. ৬৫৬, হাদীস: ৪১৭৫।

১৯.ইমাম ইবনে কাসীর : তফসীরে ইবনে কাসীর : খ ৪ : প ৩৬০।

২০.ইমাম ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : খ ২ : প ৩২১।

২১.ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী : মাজমাউল যাওয়াইদ : (৮:২২১/৪০৯)

২২.ইমাম সূয়ূতী : তফসীরে দুররে মনসূর : খ ১ : প ৩৩৪।

২৩.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।

২৪.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।

২৫.মাওয়ারেদুল জামান : ১ম খন্ড : পৃ ৫১২।

২৬.ইমাম ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : খ ১১ : প ১৭৩।

২৭.ইমাম হালাভী : সিরাতে হালাভিয়্যাহ : খ ১ : প ৭৭।

২৮.সীরাত বিশ্বকোষঃ হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) : ৪খন্ডঃ পৃ ২১৮ : ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশনী।

এই হাদিসটির বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত সুত্রঃ

১. হযরত কা’ব আল আহবার (رضي الله عنه)

২. হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (رضي الله عنه) এর মাতা শিফা বিনতে আমর ইবনে আউফ (رضي الله عنه)

৩. হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (رضي الله عنه)

৪. হযরত মু’য়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه)

৫. হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه)

৬. হযরত উসমান ইবনে আবিল আস (رضي الله عنه)

৭. হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)

৮. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (رضي الله عنه) [ইমাম হাকিম : আল-মুস্তাদরাক : পৃ ৩৬৯, হাদিস ৫৪১৭; মুহাদ্দিসে দেহলভী : মা সাবাতা বিস সুন্নাহ : রবিউল আওয়াল অধ্যায় : ১১৪ পৃ]

৯. হযরত ইকরামা (رضي الله عنه)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment