কেউ কেউ সমাজকে বিনা স্বার্থে মেধা দান করেন। কেউ কেউ মেধা বিকিয়ে দেন। এমন নজির সমাজে দেখা যায় অহরহ। এম এ রশীদ। নিভৃতচারী, প্রচার বিমুখ এ মানুষটির জন্ম ১৯৪০ সালে। শুদ্ধ ইংরেজি জানা এ মানুষটি নালুয়া চা বাগানে চাকরি করতেন। সময় পেলেই সাহিত্য চর্চা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। তিনি স্বীকৃতিহীন একজন কবি।
১৯৮৪ সালে কাব্যগ্রন্থ ‘কুসুমকলি’ (পান্ডুলিপি) রেখে গেছেন। এতে ২৮ টি কবিতা স্থান পেয়েছে। সাহিত্য ভান্ডার রেখে ২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর পরকালে পারি জমান তিনি।
»লিখেছেন আমাদের গ্রামেরই কৃতি সন্তান, কয়েকটি বইয়ের লেখক নুরুল আমিন আঙ্কেল।
.
এতক্ষণ কার কথা আলোচনা হচ্ছিল জানেন? আমার দাদাভাই। মরহুম এম এ রশীদ। যিনি ছোটবেলায়ই আমাদের একা করে রব তায়ালার সান্নিধ্যে চলে যান। আমার ছোটবেলাকার সময় ইসলাম শেখার প্রথম শিক্ষক আমার দাদাভাই। দোয়া দিতেন— আমার এই নাতিটা বড় হয়ে অনেক কিছু করতে পারবে। আল্লাহ যেন কবুল করেন।
এখনো মুরব্বিদের কাছে দাদাভাইয়ের জ্ঞান- বিচক্ষণতার প্রশংসা শুনি। ওপরে যতটুকুই লেখা আছে, তা আমার দৃষ্টিতে খুব কমই হবে আমার দাদাভাই’র জন্য। এক কথায় আমার জীবনে ওনার ভূমিকা অতুলনীয়। আর ‘কুসুমকলি’ কোনো যেমন-তেমন কাব্য নয় তার। আল্লাহ আর তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে কাসীদা বলা যায় এটাকে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী ছিলেন। সকাল বেলায় ঘুম ভাঙতো দাদাভাইয়ে’র পাঠ করা দূরুদে মোস্তফায়। ফজর পরবর্তী নিত্যদিনকার আমল ছিল এটি ওনার।
আল্লাহ যেন আমার দাদাভাইকে জান্নাতে আলা মাকাম দান করেন।