আজানের পরে হাত তুলে দোয়া করা জায়েজ, কেননা হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রাসূল (ﷺ ) ইরশাদ করেছেন, আজান শোনার পর যে ব্যক্তি বলবে,,
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪَﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤْﻤُﻮﺩَﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ
ওই ব্যক্তির জন্য কিয়ামত দিবসে আমার জন্য শাফায়াত করা ওয়াজিব’। এ হাদীস দ্বারা বোঝা যায়, দোয়া করা যাবে। – (বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৫৮৭)
আর দোয়া করার আদব ও পদ্ধতি অন্য হাদীস দ্বারা জানা যায়, যা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘দোয়া করার পদ্ধতি হচ্ছে তোমার দু’খানা হাত তোমার কাঁধ বরাবর বা কাছাকাছি ওঠাবে এবং যখন দোয়া শেষ করবে হাতের তালু মুখে মাসাহ করবে’। (আবু দাউদ : ১ম খন্ড – : ২০৯ পৃষ্টা।)
মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রচিত ইমদাদুল ফাতওয়ার ১ম খন্ডে ১৬২ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে আজানের দোয়ায় হাত উত্তোলন করা সুন্নত হবে।
দেওবন্দের মুফতি আজীজুর রহমান বলেন, আজানের পর হাত তুলে দোয়া করা জায়েজ । (ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ৮ম খন্ড – : ৪৪পৃষ্টা।)
কিফায়াতুল মুফতির ৩য় খন্ডের ৮ম পৃষ্ঠায় লিখিত আছে আজানের পরে হাত ওঠানো দোয়ার আদবের অন্তর্ভুক্ত ।
অতএব, যে সকল দেওবন্দী আর আহলে হাদিসরা বলে আজানের পরে দোয়া কিংবা হাত তুলা বিদ’আত মূলত তাদের এই ফাতাওয়া’ই বিদ’আত।