আক্বিদা শুদ্ধ না হলে তার কোন ইবাদতই আল্লাহ কবুল করবেন না। হাশরে ময়দানে অসংখ্য ব্যক্তি এমন হবে যে তারা অনেক আমল করেছেন; কিন্তু আক্বিদা শুদ্ধ না থাকার কারণে তাদের আমল আল্লাহ বাতিল বলে ঘোষণা করবেন। যেমন মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন-
وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُورًا
-‘‘(আর) আমি (যখন) তাদের সে সব আমল (ইবাদতের) দিকে মনোনিবেশ করব, যা তারা (দুনিয়াতে) করে এসেছে, তখন আমি তা (তাদের সকল ইবাদত) উড়ন্ত ধুলিকণার মতই (ঈমান শূন্য হওয়ার কারণে) নিষ্ফল করে দিব।’’ (সূরা ফুরকান, আয়াত, ২৩)
তাই ঈমান-আক্বিদা যদি শুদ্ধ না থাকেন বান্দার আমল হাশরের ময়দানে ধুলার মতই উড়ে যাবে। তাই এক মাত্র সঠিক দল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী না হলে কোন ব্যক্তির আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-
لَا يَقْبَلُ اللَّهُ لِصَاحِبِ بِدْعَةٍ صَوْمًا، وَلَا صَلَاةً، وَلَا صَدَقَةً، وَلَا حَجًّا، وَلَا عُمْرَةً، وَلَا جِهَادًا، وَلَا صَرْفًا، وَلَا عَدْلًا، يَخْرُجُ مِنَ الْإِسْلَامِ كَمَا تَخْرُجُ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ
-‘‘আল্লাহ কোন বিদ‘আতীর (তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বিপরীত কুফুরী-শিরকী আক্বিদা বিশ্বাসে নতুন বিশ্বাসী ব্যক্তির) কোনো রোযা, নামায, সদকা (যাকাত), হজ্জ, ওমরা, জিহাদ, ফরয ইবাদত, নফল ইবাদত কবুল করবেন না। সে (কুফুরী-শিরকী আক্বিদা পোষণের কারণে) ইসলাম থেকে বাহির হয়ে যাবে, যে ভাবে চুল (সহজে) আটার খমীরা থেকে বাহির হয়ে যায়।’’(সুনানে ইবনে মাযাহ, ১/১৯পৃ. হা/৪৯, হাদিসটি ‘হাসান’।)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-
أَبَى اللَّهُ أَنْ يَقْبَلَ عَمَلَ صَاحِبِ بِدْعَةٍ حَتَّى يَدَعَ بِدْعَتَهُ
-‘‘আল্লাহ বিদ‘আতির (আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বিপরীত দলের অনুসারীর) কোনো ইবাদত কবুল করবেন না, যতক্ষ না সে তার বিদ‘আত পরিত্যাগ করে।’’ (সুনানে ইবনে মাযাহ, ১/১৯পৃ. হা/৫০, হাদিসটি ‘হাসান’ পর্যায়ের।)
1 thought on “আক্বিদা দুরস্ত করা কেন প্রয়োজন?”