অভিশপ্ত এজিদ কর্তৃক আইয়ামে হাররা বা মদিনা শরীফে আক্রমণ ও প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) এঁর রওজা মুবারক থেকে আজানের আওয়াজ।
আইয়ামে হাররা এর সময় মসজিদে নববীতে তিন দিনের জন্য আজান দেয়া হয়নি। একামত ও দেয়া হয়নি। সায়ীদ বিন মুসাইয়াব (সাইয়্যিদুত তাবিয়ীন) মসজিদে নববী থেকে বের হতে পারেননি। (ঐ তিন দিন তিনি মসজিদে নববীতে অবস্থান করছিলেন)। তিনি (এ সময়) মসজিদে নববী থেকে এক ধরণের আওয়াজ শুনে নামাজের সময় অনুধাবন করতেন।
(অন্যত্র বলা হয়েছে, ঐ আওয়াজ ছিল আজানের ধ্বনি)।
রেফারেন্সঃ
১/ তাখরীজু আহাদীসিল মাসাবীহঃ ৫/২৩৬১।
মুহাদ্দিসঃ মুহাম্মাদ আল মানাওয়ী
হাদীসটি সহীহ।
২/ সুনানে দারিমী
খন্ড-১, পেইজ নাম্বার-২২৮
হাদীস সহীহ।
আইয়ামে হাররা কী?
আইয়ামে হাররা ঐ দিন গুলোকে বলা হয়, যখন অভিশপ্ত ইয়াযীদের নির্দেশে মদীনা মুনাওওয়ারা আক্রমণ করা হয়েছিল। এ সময় তার নির্দেশে মদীনাতে হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ সব কিছু সংঘটিত করেছিল অভিশপ্ত ইয়াযিদের অভিশপ্ত বাহিনী। অনেক সাহাবীদেরকে এ সময় শহীদ করা হয়েছিল।
রেফারেন্সঃ
১/ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ
ষষ্ট খন্ড
অধ্যায়ঃ আল ইখবারু আন ওয়াকআতিল হাররাহ।
২/
আত তাবারীঃ ৫/৪৮৪
৩/ আল কামিলঃ ৪/১১২
৪/ আল বিদায়াহঃ ৮/২১৮
এ ঘটনাকালে মুসলমানের রক্তে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল মদীনার রাস্তাগুলো।
মুসলমানের রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওযা মোবারক পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
মসজিদে নববী রক্তে ভরে গিয়েছিল। ১০০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল।
ধর্ষণের ফলে ১০০০ জারজ সন্তান জন্ম নিয়েছিল।
সুত্রঃ
আত তাযকিরাহ
ইমাম ইবনুল জাওযী
পেইজঃ ৬৩,১৬৩
হাররার দিন গুলোতে সায়ীদ বিন মুসাইয়্যাব (রাঃ) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাওযা মুবারক থেকে নামাজের সময়গুলোতে আজানের আওয়াজ শুনতেন। এ সময় তিনি ছাড়া আর কেউ মসজিদে ছিলনা।
রেফারেন্সঃ
কিতাবুল ফারকি বাইনা আউলিয়া ইর রাহমানি ওয়া আউলিয়া ইশ শাইতানি
ইবনু তাইমিয়াহ
অধ্যায়ঃ কারামাতুস সাহাবাতি ওয়াত তাবিয়ীন।
– সায়ীদ বিন মুসাইয়াব কে ছিলেন?
সায়ীদ বিন মুসাইয়াব ছিলেন মদীনা মুনাওওয়ারার ফকীহদের মধ্য থেকে একজন। তিনি হাদীস, তাফসীর এবং ফিকহ সম্পর্কে অনেক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।
রেফারেন্সঃ
কিতাবু শাযারাতিয যাহাবি ফী আখবারিম মিন যাহাবি
ইবনু ইমাদ হাম্বালী
তালহা বিন মুহাম্মাদ বলেন, হাররার দিন গুলোতে সায়ীদ বিন মুসাইয়াব মসজিদে নববীতে ছিলেন। কোথাও বের হন নাই। তিনি বলেছেন, যখন নামাজের সময় হত, আমি রাসুলের রাওযা হতে আজানের আওয়াজ বের হতে শুনতাম।
রেফারেন্সঃ
সিয়ারু আ’লামিন নুবালা
ইমাম যাহাবী।
আরো দেখুন,
১/দালাইলুন নুবুওওয়াহঃ৫০৯/৫১০
আবু নাঈম।
২/আত তাবাকাতুল কুবরা
ইবনু সা’দ (৫৮১৯)-৫:৬।
__________
এজিদের উপর, তার সহযোগীদের উপর, তার কর্মে সমর্থনকারীদের উপর অভিশাপ নিপতিত।