অনেকে অধিক সংখ্যক কুরবানীর পশু জবাই নিয়ে আপত্তি করে থাকে। তারা সম্ভবত মুসলিম শরীফের এই হাদীস শরীফ পড়ে নাই। সকলের এ বিষয়টি জানার জন্য দলীলটা উল্লেখ করা হলো,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় ৬৩টি উট নিজ হাত মুবারক-এ জবাই করেছেন, এবং বাকি ৩৭ টা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জবাই করেন। । এ প্রসঙ্গে হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
ثُـمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بِيَدِهِ ثُـمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ وَأَشْرَكَهُ فِى هَدْيِهِ ثُـمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِى قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلاَ مِنْ لَـحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا
অর্থ : ‘অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরবানীর স্থানে এসে নিজ হাতে ৬৩টি উট জবাই করেন আর হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে বাকী (৩৭) উটগুলো নহর করার দায়িত্ব দেন এবং উনাকে কুরবানীর মধ্যে শরীক করে নেন। অতঃপর প্রত্যেকটি উট থেকে এক টুকরা করে গোশত পাতিলে একত্রিত করে রান্না করতে বলেন। অতঃপর উভয়েই উক্ত গোশত থেকে আহার করেন এবং সুরুয়া পান করেন।” (মুসলিম শরীফ ২৮৪০, তিরমিযী শরীফ ৮১৫, আবু দাউদ শরীফ ১৯০৫, ইবনে মাজাহ ৩০৭৪, মিশকাত ২৫৫৫, আবী শায়বা ১৪৯২৫, সুনানে দারেমী ১৮৫০, সিরাতুন নাবব্যিয়া ইবনে কাছির ৪/২৯৪, সুবহুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১১/৯৫)
এ বিষয়ে আরো বলা হয়েছে,
نَّ عَلِيًّا ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ قَالَ أَهْدَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِائَةَ بَدَنَةٍ، فَأَمَرَنِي بِلُحُومِهَا فَقَسَمْتُهَا، ثُمَّ أَمَرَنِي بِجِلاَلِهَا فَقَسَمْتُهَا، ثُمَّ بِجُلُودِهَا فَقَسَمْتُهَا
হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর একশ’ উট পাঠান এবং আমাকে গোশত সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন। আমি তা বন্টন করে দিলাম। এরপর তিনি তার পিঠের আবরণ সম্বন্ধে আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি তা বন্টন করে দিলাম। তারপর তিনি আমাকে চামড়া সম্বন্ধে নির্দেশ দেন, আমি তা বন্টন করে দিলাম। (বুখারী শরীফ – কিতাবুল হজ্জ ১৬১০)
সূতরাং অধিক সংখ্যক কুরবানী করা , মানুষকে খাওয়ানো, নিজে খাওয়া সবই সুন্নত। আর সুন্নতের বিরোধীতা করা ঈমানহানীর কারন।