সংকলকঃ হযরত মাওলানা সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমদ গীলানী (ভারত)
●অনুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান
●প্রকাশনাঃ আল-মদিনা প্রকাশনী, আন্দরকিল্লা
●দরূদে মুকাদ্দাসের ২৩খানা ফজিলত নেয়া হয়েছে
মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আবদুল হালিম সংকলিত কিতাব থেকে।
●প্রুফিংঃ দাওয়াতে ইসলামী প্রকাশিত দুরুদে মুকাদ্দাস বই।
●টেক্সট রেডীঃ মাসুম বিল্লাহ সানি, সিরাজুম মুনির তানভির।
ফযীলত সমূহ
(১)
রাসূলে কারীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এই ‘দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি চল্লিশজন বুজুর্গ ব্যক্তি, গাউস, কুতুব, আবদাল এবং আউলিয়ায়ে কেরামের মত সওয়াব পাবেন এবং তাঁর ছােট-বড় সমস্ত গুনাহ্ এই ‘দূরূদে মুকাদ্দাস’র উসীলায় ক্ষমা করে দেয়া হবে। তাঁর রূহ্ আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কুদরতের হাতে কবজ করবেন এবং তাঁর ছকরাত সহজ হবে। তার জানাজায় এত বেশী সংখ্যক ফেরেশতা শরীক হবেন, যাদের সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ নির্ণয় করতে পারবে না। তাঁর কবর। খুবই আলােকিত হবে এবং মুনকার-নকীর-এর প্রশ্নও সহজ হয়ে যাবে। তাঁকে বলা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি ঘুমিয়ে পড়াে।
তাঁর কবরের আজাব হবে না। যখন তিনি কবর হতে উঠবেন, তখন তাঁর চেহারা চৌদ্দ তারিখের পূর্ণ চন্দ্রের মতাে আলােকময় হবে। লােকেরা বলবে, হে আল্লাহ! এই ব্যক্তি কি কোন পয়গম্বর? না অন্য কেউ? আল্লাহ্ তা’আলা বলবেন- তিনি পয়গম্বর নন। বরং আমার একজন নবীর উম্মত। তিনি আমার হাবীবের নাম মােবারককে আন্তরিকভাবে তেলাওয়াত করতেন। এর বরকতেই তিনি এই মর্তবা পেয়েছেন।
(২)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন এবং তাবিজ করে সাথে রাখবেন, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে অকাল মৃত্যু, হঠাৎ মৃত্যু, দুর্ঘটনা, মাথাব্যথা, অর্ধ মাথাব্যথা, কপাল ব্যথা, চক্ষুরােগ, নখ ব্যথা, কান-ব্যথা, পেটব্যথা, মন-খারাবী, পা-ব্যথা, আংগুল ব্যথা, হাঁটু-ব্যথা, কনুই-ব্যথা, হাত-ব্যথা, পাঁজরের ব্যথা, পিঠ-ব্যথা, নাভী ব্যথা, রগ-ব্যথা, সকল আসমানি-জমিনী বালা-মুসিবত, ক্ষুধা-তৃষ্ণা এবং সকল প্রকার শারীরিক রােগ হতে এই দুরূদে মুকাদ্দাসের উসীলায় হেফাজত করবেন।
(৩)
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি। এই দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ পড়লেন, তিনি মূলত: রাসূলে খােদা (ﷺ)-এর মজলিসে মুক্বাদ্দাসে হাজির হলেন তার সারা দিনের গুনাহ্ এই দুরূদে মুকাদ্দাসের উসীলায় ক্ষমা করে দেয়া হবে। এক একটি নামের উসীলায় তার হাজার হাজার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, তার জন্য সব সময় আল্লাহর রহমতের দরজা খােলা থাকবে।
(৪)
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) থেকে আরাে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের যে কোন পুরুষ বা মহিলা জুমা’র রাতে দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ পড়ে দোয়া করলে, আল্লাহ্ তাঁর দোয়া কবুল বা যে কোন হাজত পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ! এটা বহুলােক কর্তৃক পরীক্ষিত।
(৫)
হযরত ওমর ফারুক (رضي الله عنه) বলেন, যে মহিলার সন্তান হয় না, সে মহিলাকে যদি দরূদে মুকাদ্দাস’ পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে পান করানাে হয় এবং সে পরক্ষণেই স্বামীর সাথে মিলন করে, আল্লাহর রহমতে সে মহিলা গর্ভবতী হবে। এক্ষেত্রে মেশক ও জাফরান দ্বারা লিখে পানির সাথে খেয়ে স্বামীর সাথে মিলন করবে। এতে আল্লাহর রহমতে সে গর্ভবতী হবে, ইনশাআল্লাহ্। এটাও পরীক্ষিত।
(৬)
হযরত ওসমান গণি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, কোন শত্রু যদি অত্যাধিক প্রভাবশালী হয় এবং কিছুতেই যদি তাকে বশে আনা না যায়, তাহলে আছরের নামাজের পর কেবলামুখী হয়ে এই ‘দুরূদে মুকাদ্দাস’ একবার পড়ে দুই হাতে ফুক দিয়ে মাথার দিক হতে শরীরে মালিশ করলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু অবদমিত হয়ে যাবে। এটাও পরীক্ষিত।
(৭)
যদি কোন ব্যক্তির ভাগ্য খারাপ হয়ে যায়, সে যদি এই ‘দুদে মুক্বাদ্দাস’ তেলাওয়াত করে অথবা তাবিজ লিখে গলায় বা হাতে পরে, ইনশাআল্লাহ্ তার বরকতে লােকটির ভাগ্য খুলে যাবে।
(৮)
হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; যে ব্যক্তি জুমার রাতে ঘুমানাের আগে এই দূরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে চারটি বস্তু দান করবেন। সেগুলাে হল:
(ক) আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি,
(খ) রাসূলে খােদার সন্তুষ্টি,
(গ) বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ,
(ঘ) উভয় জগতে রিজিকের অভাবহীনতা আর তিনি দুনিয়ার সকলের নিকট প্রিয় ভাজন হবেন এবং সবাই তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন। এটাও পরীক্ষিত।
(৯)
হযরত রাসূলে করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আমার কোন উম্মত যদি এই দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ তেলাওয়াত করে, কেয়ামতের ময়দানে সে নেক্কার এবং শহীদগণের সাথে থাকবে।
(১০)
হযরত রাসূলে করীম (ﷺ) আরাে এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তাঁর জীবনে অন্তত একবার এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বে, সে এক লক্ষ হজ্বের সাওয়াব পেল এবং সে যেন আল্লাহর রাস্তায় দুই লক্ষ গােলাম আজাদ করল।
(১১)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه), হযরত ওমর (رضي الله عنه), হযরত ওসমান গণী (رضي الله عنه), হযরত আলী (رضي الله عنه), হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হােসাইন (رضي الله عنه), হযরত ফাতেমা (رضي الله عنها), হযরত হামজা (رضي الله عنه), হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) এবং সমস্ত শােহাদায়ে কেরামের মত সওয়াব পাবেন।
(১২)
যে ব্যক্তি এই ‘দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ তেলাওয়াত করবেন, তিনি যেন আল্লাহর রাস্তায় দশ লক্ষ উট কোরবাণী করলেন ও দশ লক্ষ দিনার আল্লাহর রাস্তায় দান করলেন।
(১৩)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি দশ লক্ষ রােজার সওয়াব পাবেন, দশ লক্ষ লওহ এবং দশ লক্ষ কলমের মরতবা পাবেন।
(১৪)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি হযরত জিব্রাইল (عليه السلام), হযরত মিকাঈল (عليه السلام), হযরত ইসরাফীল (عليه السلام) ও হযরত আজরাঈল (عليه السلام)-এর ন্যায় সওয়াব পাবেন।
(১৫)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি আরশ-কুরছি, লওহ-কলম, সাত আসমান-জমিন, আট বেহেশত এবং আউয়াল আখের সমস্ত ফেরেশতার সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন।
(১৬)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি ৩০ পারা কোরআন শরীফ, জবুর, ইঞ্জিল, তাওরাত, তেলাওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন।
(১৭)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, তিনি সমস্ত সাহাবা এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল রূহ্ জগতের সমপরিমাণ সওয়াব। এ পাবেন।
(১৮)
এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ তেলাওয়াতকারীকে ফেরেশতাগণ তাঁর আমল নামা তার ডান হাতে দেবেন। তাঁর নেকীর পাল্লা ভারী হবে এবং তিনি অতি সহজে পুলসিরাত অতিক্রম করবেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন। কেয়ামতের দিন যখন কোথাও কোন ছায়া পাওয়া যাবেনা, সেদিন তাঁকে আল্লাহর আরশের নীচে বসানাে হবে।
(১৯)
যে ব্যক্তি এই ‘দুরূদে মুক্বাদ্দাস’ তেলাওয়াত করবেন, তিনি কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করার সওয়াব পাবেন।
(২০)
যে ব্যক্তি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়বেন, আল্লাহ্ তা’আলা কেয়ামতের দিন বিনা হিসাবে তাঁকে বেহেশত দান করবেন। ফেরেশতারা বলবেন, হে আল্লাহ! ইনি কে? যাকে আপনি বিনা হিসাবে জান্নাত দান করলেন? আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর আসবে, হে ফেরেশতারা! এই ব্যক্তি দুনিয়ায় দুরূদে মুকাদ্দাস’ পড়তাে। এর উসীলায় তাঁর গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হল। তাঁর সকল ফরিয়াদ কবুল করে নেয়া হল এবং রাসূলে পাক (ﷺ)-এর সুপারিশ দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করানাে হল।
(২১)
হযরত ইমাম মালেক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলে খােদা (ﷺ) ফরমায়েছেন, যে ব্যক্তি দুরূদে মুকাদ্দাস’ তেলাওয়াত করে হাতে ফুক দিয়ে শরীরে মালিশ করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে সমস্ত বালা মুসীবত এবং সকল রােগ হলে হেফাজত করবেন। যদি সে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এমতাবস্থায়। প্রতিদিন যদি এটা পড়তে থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ তার জীবনে উন্নতি হবে। এটাও পরীক্ষিত।
(২২)
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) বলেছেন, যদি সমুদ্রের সমস্ত পানিকে কালি করা হয়, সাত আসমান-জমিন, আরশ ও কুরছিকে কাগজ করা হয়, পৃথিবীর পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত সমস্ত বৃক্ষরাজিকে কলম করা হয় এবং মানব জাতি, জ্বিন জাতি, চতুষ্পদ জন্তু, স্থল প্রাণী, আঠার হাজার মখলুকাত, সকল ফিরিশতা, আরশ, কুরছি, লওহ এবং কলম-এর লেখকগণ একত্রিত হয়ে লিখতে চায়, তথাপি এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ এর ফযীলত ও সওয়াব লিখে শেষ করতে পারবেনা।
(২৩)
এই দুরূদে মুকাদ্দাস’র ফযীলত অনেক-অনেক। এখানে সামান্য মাত্র উল্লেখ করা হলাে। এই দুরূদে মুকাদ্দাস’ সম্পর্কে যদি কেউ সন্দেহ পােষণ করে, তাহলে সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ্ তা’আলা সমস্ত মুসলমান এবং আশেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গণকে প্রতিদিন দুরূদে মুকাদ্দাস’ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন। আমীন!
درود مقدس
بسم الله الرحمن الرحيم
দুরূদে মুকাদ্দাস আরবি-বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
١(1)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ اَقْوَالِ سَيِّدِنَا مُحَمَّد ٍ وَاَفْعَالِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَاَحْوَالِ سَيِّدِنَا مُحَمِّد ٍ وَاَصْحٰبِ سَيِّدِنَا مُحَمِّدً ﷺ –
(১)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি আক্বওয়ালে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া আফআ’লি আ’লি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া আহ্ওয়ালি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া আসহাবি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর বাণী, কর্ম, অবস্থা এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামের সম্মানের উসীলায়।
۲(2)⬅ يَا اِلٰهِىْ بِحُرْمَةِ بَدَنِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَبَطْنِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَبَرَكَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَبَيْعَة ِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَبَرَاق ِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি বাদানি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া বাত্বনি সায়্যিদিনা মুহাম্মদিন’ ওয়া বারাকাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া বাইয়া’তি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া বুরাক্বি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর শরীর মুবারক, উদর মুবারক, বরকত, বাই’আত এবং বোরাক্বের মর্যাদার উসীলায়।
۳(3)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ تَوَلُّدِ سَيِّدِنَا مُحَمَّد ٍ وَتَعبدُ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَتَهَجُّدِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً ﷺ –
(৩)
🕋 উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি তাওয়াল্লুদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া তা’আব্বুদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া তাহাজ্জুদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’(ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর ভুমিষ্ট হওয়া, ইবাদত-বন্দেগী এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সম্মানের উসীলায়।
۶ (4)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ ثَنَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَثَوَابِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَثَمَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(৪)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি সানা-য়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সাওয়াবি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া সামাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ (ﷺ) ।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর প্রশংসা, সওয়াব ও সংস্করণের সম্মানের উসীলায়।
۵(5)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ جَلاَلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَجَمَالِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَجَلَّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَجْهَة ِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَجَعَدِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً ﷺ-
(৫)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি জালালি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া জামা-লি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া জাল্লি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া জাহাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া জা’য়াদি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর মহত্ব, সৌন্দর্য্য, মহত্বপূর্ণ চেহারা মুবারক, কোকড়ানাে চুল-এর সম্মানের উসীলায়।
۴(6)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ حُسْنِ سَيِّدِنَا مُحَمَّد ٍ وَحَسَنَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً وَحُْرمَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَحَالِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً وَحُلِيَّةِ سَيِّدِنَا مُحَّمَدً ﷺ –
(৬)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বেহুরমাত হুসনি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হাসানা-তি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হুরমাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হা-লি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হুলিয়্যাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ)-এর সৌন্দৰ্য্য, সুন্দর আমলসমূহ, ইজ্জত, অবস্থা ও গড়ন মুবারকের সম্মানের উসীলায়।
۷(7)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ خِلْقَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَخُلُقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَخُطْبَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَخَيْرَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(৭)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি খিলক্বাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া খুলুক্বি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া খুতবাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মদিন’ ওয়া খায়রা-তি সায়্যিদিনা মুহাম্মদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর সৃষ্টি, চরিত্র, খুতবা ও দান সমূহের সম্মানের উসীলায়।
٨ (8)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ دِيْن ِ سَيِّدِنَا مُحَمَّد ٍ وَدِيَانَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَدَوْلَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً وَدَرَجَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَدُعَاءِ سِيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ-
(৮)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি দ্বীনি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দিয়া-নাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দাওলাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দারাজা-তি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দু’য়ায়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর দ্বীন, আমানতদারী, সম্পদ, মর্যাদা এবং দো’আর সম্মানের উসীলায়।
۹ (9)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ ذَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَذِكْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَذوْكِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(৯)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি যা-তি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া যিক্বরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া যাওক্বি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর সত্ত্বা মুবারক, জিকির মুবারক ও যাওক্ব (স্বাদ) মুবারকের সম্মানের উসীলায়।
١٠ (10)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ رُوحِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَرَأْسِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَرِزْقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَرَفِيقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَرضَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১০)
🕋উচ্চারণঃ এয়া ইলাহি! বিহুরমাতি রূহে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া রা’সি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া রিজক্বি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া রফীক্বি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া রাদ্বায়ি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন ! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর রূহ মুবারক, শির মুবারক, রিযিক্ব, বন্ধু এবং সন্তুষ্টির সম্মানের উসীলায়।
١١ (11)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ زُهْدِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَزِهَادَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَزَارِى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَزِيْنَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً ﷺ –
(১১)
🕋উচ্চারণঃ এয়া ইলাহি ! বিহুরমাতি যুহদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া যাহাদাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া যা-রী সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ ওয়া জীনাতি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন ! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর দুনিয়ার মোহ বর্জন , তাক্বওয়া , ক্রন্দন এবং সাজ-সজ্জার সম্মানের উসীলায় ।
١٢ (12)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ سِيَادَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَسَعَادَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَسُنَّةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَسِرِّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَسَلاَمِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১২)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি সিয়া-দাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সা’আদাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সুন্নাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সিররি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সালামি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর কর্তৃত্ব, সৌভাগ্য, সুন্নত, রহস্য এবং সালাত সালামের সম্মানের উসীলায়।
١٣ۢ (13)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ شَرْعِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَشَرْفِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَشُوْقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَشَادِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৩)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি শরয়ে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া শরফে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া শওক্বে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া শা’দে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর শরীয়ত, আভিজাত্য, উৎসাহ এবং ইচ্ছার সম্মানের উসীলায়।
١٤ (14)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ صِدْقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَصَوْمِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَصَلَوٰةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَصِفَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً وَصَبْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৪)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি সিদক্বি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সাওমি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সাফা-য়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া সাবরি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর সত্যবাদিতা, রােযা, নামায, পরিচ্ছন্নতা এবং ধৈর্য্যের সম্মানের উসীলায়।
١٥ (15)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ ضِيَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَضَمِيرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَضَحَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَضِعْفِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৫)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি দ্বিয়ায়ে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দ্বামীরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দ্বাহায়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া দ্বি’ফি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর আলাে, অন্তর, চাশতের সময় এবং প্রবৃদ্ধির মহত্বের উসীলায়।
١٦ (16)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ طَلْعَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَطَهَارَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَطُهُرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَطَرِيقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَطَوَافِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৬)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি ত্বাল’আতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ত্বাহা-রাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ত্বুহূরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ত্বরীকি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ত্বাওয়াফি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর শুভাগমন, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা, পথ এবং তাওয়াফের মাহাত্ম্যের উসীলায়।
١٧ (17)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ ظَاهِرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَظُهْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَظِلِّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَظُهُورِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَظُفْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৭)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি জা’হিরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া জুহরে সায়্যিদিনা মুহাম্মদিন’ ওয়া যিল্লি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া জুহুরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া জুফরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর বাহ্যিক রূপ, জোহরের নামাজ, ছায়া, আত্মপ্রকাশ এবং সফলতার সম্মানের উসীলায়।
١٨ (18)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ عِشْقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَرَفَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعِلْمِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعُلُوِّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلِيمِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৮)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি ইশক্বে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া আরাফাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ইলমি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া উলুওয়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া আ’লীমি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর ইশক পরিচিতি, ইলম, উচ্চ মর্তবা এবং তাঁর অভিজ্ঞতার সম্মানের উসীলায়।
١٩ (19)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ غُرْبَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَغَارِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَغُرِّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَغَيْرَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَغَنِيْمَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(১৯)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি গুরবাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া গা-রি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া গুররি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া গাইরাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া গণীমাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর মুসাফিরী, গুহা মুবারক, চমক, তাঁর স্বকীয়তা এবং গণীমতের সম্মানের উসীলায়।
٢٠ (20)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ فَيْضِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً وَفَقْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَدٍ وَفِرَاقِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَفَضْلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَفَضِيلَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২০)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি ফায়দ্বি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ফাক্বরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ফিরা-ক্বি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ফাদ্বলি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ফযীলাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর গর্ব, দারিদ্রকে পছন্দ করা, বিচ্ছেদ, অনুগ্রহ এবং ফযীলতের মহত্বের উসীলায়।
٢١ (21)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ قُلِّ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَقَدْرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَقِنَاعَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَقُوَّةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২১)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি কুল্লি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ক্বাদরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ক্বানা’আতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া কুওয়্যাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর “কুল” বলা, মর্যাদা, অল্পেতুষ্টি এবং শক্তির সম্মানের উসীলায়।
٢٢ (22)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ كَلاَمِ سَيِّدِنا مُحَمَّدٍ وَكَشْفِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَكَوْشِشِ سَيَِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَكِتَابَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَكُنِيَّةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২২)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি কালামি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া কাশফি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া কাওশিশে সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া কুনিয়্যাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর উচ্চারিত বাক্য, অন্তর্দর্শন, বাহ্যিক প্রচেষ্টা, হাতের লিখা এবং তাঁর উপনামের সম্মানের উসীলায়।
٢٣ (23)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ لَيْلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَلِقَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَلِيَاقَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২৩)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি লাইলি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া লিক্বায়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া লিয়া-ক্বাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর রাত, সাক্ষাত এবং অনন্য যোগ্যতার মহত্ত্বের উসীলায়।
٢٤ (24)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ مُجَاهِدَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَمُشَاهَدَاتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَمُلاَحِظِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَمَسَاحَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২৪)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি মুজাহাদা’তি
সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া মুশাহাদাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া মুলা-হাযি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া মাসা-হাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর চেষ্টা, অবলােকন, প্রত্যক্ষকরণ এবং আঙ্গিনার সম্মানের উসীলায়।
٢٥ (25)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ نَازِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَنَمَازِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَنَصِيرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَنَقْبِرِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً ﷺ –
(২৫)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি না’যি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া নামাজি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া নাসীরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া নাক্ববিরি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর প্রতিপত্তি, নামাজ, সাহায্য এবং আওয়াজের সম্মানের উসীলায়।
٢٦ (26)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ وَرُودِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَوَقَاءِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَوُجُودِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَدِيعَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدً ﷺ –
(২৬)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি ওয়া রূদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ওয়াক্বায়ি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ওয়াজুদি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ওয়াদিয়া’তি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা মুস্তফা (ﷺ)’র শুভাগমন, রক্ষাকরণ, অস্তিত্ব এবং আমানতের মর্যাদার উসীলায়।
٢٧ (27)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ هِمَّةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَهِدَايَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَهَدْيَةِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ ﷺ –
(২৭)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি হিম্মাতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হিদায়াতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া হাদইয়াতি সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর সাহস, হেদায়ত এবং হাদিয়ার সম্মানের উসীলায়।
٢٨(28)⬅ يَا اِلٰهِى بِحُرْمَةِ يَارىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَيَغَانْغِي سَيِّدِنَا ﷺ-
(২৮)
🕋উচ্চারণঃ ইয়া ইলাহি! বিহুরমাতি ইয়ারি- সায়্যিদিনা ‘মুহাম্মাদিন’ ওয়া ইয়া’গান’গীয়ে সায়্যিদিনা ‘‘মুহাম্মাদিন’ (ﷺ)।
অর্থঃ ইয়া রাব্বাল আলামীন! হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)-এর সাহায্য এবং তাঁর আত্মীয়তার সম্মানের উসীলায়।
আমার সমস্ত দু’আ কবুল করুন। (আল্লাহুম্মাহ আমিন)
🕋 দোয়াঃ
لاَ اِلٰهَ اَلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَعَلٰى اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ وَسَلَّمَ بِعَدَدِ مَا هُوَ الْمَكْتُوبُ فِى الْلَوْحِ وَالْقَلَمِ فِى كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ وَسَاعَةٍ وَنَفْسٍ وَلَمْحَةٍ اَلْفَ اَلْفَ مِائَةِ اَلْفَ مَرَّةِ اَلٰى يَوْمِ الْعلمِ –
اَلاَ اِنَّ اَوْلِيَاءَ اللهِ لاَخَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَهُمْ يَحْزَنُونَ-
بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرّٰحِمِينَ-
🕋উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া সাল্লামা’ বিআ’দাদি মা হুয়াল মাকতুবু ফীল লাওহি ওয়াল কালামি ফী কুল্লি ইয়াওমিন ওয়া লায়লাতিন্ ওয়া সা’আতিন ওয়া নাফাসিন্ ওয়া লামহাতিন আলফি আলফি মিয়াতি আলফি মাররাতিন’ ইলা ইয়াওমিল ই’লমি।
আলা-! ইন্না আউলিয়া-’আল্লাহি লা-খাওফুন আ’লাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহযানূন। বিরাহমাতিকা ইয়া আর-হামার-রাহিমীন।
অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়াসাল্লামা আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ পাক তাঁর উপর এবং তাঁর বংশধর, সাহাবায়ে কেরামের উপর লওহ-কলমে লিখিত সংখ্যানুসারে প্রতিদিন, প্রতি রাতে, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি মুহুর্তে, প্রতি নিঃশ্বাসে লক্ষ-কোটিবার, কিয়ামত পর্যন্ত দুরূদ সালাম নাযিল করুন।
“সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর ওলীদের জন্য কোন প্রকারের ভয় ও দুঃখ নেই। হে পরম করুণাময়! আপনার করুণার বদৌলতে।