হিজড়াদের ব্যপারে শরীয়তের বিধান:
👉যেসব হিজড়ার মধ্যে নারী বা পুরুষের আলামত সুস্পষ্ট, যে বুঝতে পারে সে নারী নাকি পুরুষ, এমন শ্রেণির হিজড়া নারী হলে নারীদের বিধান এবং পুরুষ হলে পুরুষের বিধান প্রযোজ্য হবে।
💚আর যাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় না তারা দু’ধরনের:
এক. নারী-পুরুষ উভয় আলামত বিদ্যমান। তবে কোনোটাকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না।
দুই. আরেক শ্রেণি যাদের কোনো আলামত নেই।
👉এ ক্ষেত্রে মূলণীতি হলো, তাদের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে হবে। এমন কোনো বিধান আরোপ করা যাবে না যার ভিত্তি রচিত হয় সন্দেহের ওপর।
এই মূলনীতিগুলো সামনে রেখে এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক।
📒পৃথিবীতে সচরাচর চার ধরনের হিজড়া দেখা যায়।
ক. পুরুষ (তবে নারীর বেশে চলে) তাদের আকুয়া বলা হয়। এরা মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে।
খ. নারী (বেশভূষায়ও তাই, তবে দাড়ি-মোঁচ আছে) ইসলামের পরিভাষায় এই শ্রেণিকে জেনানা বলা হয়। তারা চাইলে পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারে।
গ. লিঙ্গহীন (বেশে যাই হোক)। শরিয়তের দৃষ্টিতে তাদের ‘খুনসায়ে মুশকিলা’ বলা হয়। তবে এই শ্রেণির হিজড়া আসলে কারা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বিজ্ঞ আদালত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।
ঘ. কৃত্তিমভাবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে বানানো হিজড়া। এদের বলা হয় খোঁজা। যৌন অক্ষমতার ফলে তারা বিয়ে করতে পারে না বা বসতেও পারে না।
💙হিজড়া কারা কিংবা কীভাবে নির্ধারিত হবে তার একটা তালিকা দেওয়া আছে হাদিসে। হজরত আলি রা. রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কি-তা জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সা. জবাব দিলেন, ‘সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে।’
(সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস ১২৯৪; কানজুল উম্মাল, হাদিস ৩০৪০৩; মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস ১৯২০৪)
আরেকটি কথা যখন ফিকহের সাধারণ গ্রন্থাবলীতে খুনসা তথা হিজড়া শব্দ প্রয়োগ করা হয় তখন বুঝতে হবে এর দ্বারা খুনসায়ে মুশকিলকেই বোঝানো হচ্ছে।
👉সাধারণভাবে হিজড়ারা ঘরে নামাজ পড়বে। যদি মসজিদে পড়তেই হয় তাহলে পুরুষ ও শিশুদের পেছন কাতার করে দাঁড়াবে। সামনের কাতারে দাঁড়াবে না।
ফতোয়া এ আলমগীরি
👉হিজড়া ইমাম হতে পারবে না। এমনকি হিজড়াদের জামাতেও তারা ইমামতি করতে পারবে না। ইমাম হবেন পুরুষ।
ফতোয়ায়ে আলমগীরি