❏ মুজাহিদ (رحمة الله) থেকে তাফসীরে খাযেন ও তাফসীরে রূহুল বয়ান’র উদ্ধৃতি দিয়ে মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (رحمة الله) বলেন- হযরত ঈসা (عليه السلام) জন্মের পর লােকের সাথে স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলেন। তবে তিনি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে তাওরাত শরীফ পাঠ করতেন যা তাঁর মা হযরত মরয়ম (عليه السلام) শুনতেন।” ৪০১
_____________________________
৪০১.[ তাফসীরে নঈমী, উর্দু, পৃ:৪৯৯]
❏ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন,
অর্থ: তিনি (ঈসা) মানুষের সাথে কথা বলবেন শৈশবে মায়ের কোলে থাকাকালীন এবং পূর্ণ বয়স্ক তিনি সকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
[সূরা আলে ইমরান, পারা:৩য়, আয়াত নং ৪৬]
কথা বলার কারণ
❏ হযরত ঈসা (عليه السلام) যখন হযরত মরিয়ম (عليه السلام) থেকে পিতৃহীন জন্মগ্রহণ করলেন এবং মরিয়ম (عليه السلام) তাঁকে নিয়ে লােকালয়ে আগমণ করেন। তখন লােকেরা হযরত মরিয়ম (عليه السلام) কে ভৎর্সনা করতে শুরু করে। তখন ঈসা (عليه السلام) মায়ের কোলে দুধ পান করছিলেন। তিনি তাদের ভৎর্সনা শুনে দুধপান ছেড়ে দেন এবং বামদিকে পাশ ফিরে তাদের দিকে মনােযােগ দেন। অতঃপর তর্জনী খাড়া করে বলেন- আমি আল্লাহর বান্দা।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
অতঃপর তিনি (মরিয়ম) সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলে তারা বলল, হে মরিয়ম! তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ। হে হারুনের ভাগিনী! তােমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তােমার মাতাও ব্যভিচারিনী ছিলেন না। তারপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বলল, কোলের শিশুর সাথে আমরা কিভাবে কথা বলবাে? সন্তান বলল, আমি আল্লাহ বান্দা, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। [সূরা মরয়ম, পারা:১৬, আয়াত নং ২৭-৩০]




Users Today : 74
Users Yesterday : 357
This Month : 74
This Year : 171945
Total Users : 287808
Views Today : 8561
Total views : 3416124