হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রসুল করীম (ﷺ) আমাকে আহলে সুফফাগণকে ডেকে আনতে বললেন। আমি তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে এলাম। রসুলেপাক (ﷺ) এর সামনে তখন এক পেয়ালা খানা ছিলো। সেই খানাটুকু আমরা সকলে মিলে খুব তৃপ্তি সহকারে ভক্ষণ করলাম। খাওয়া শেষে দেখা গেলো, পেয়ালা পূর্বের মতোই ভর্তি। তবে তাতে আঙুল লাগানোর দাগ শুধু দেখা যাচ্ছিলো। অন্য এক হাদীছে হজরত আবু হুরায়রা বলেন, এক সময় আমি খুবই ক্ষুধার্ত ছিলাম। রসুলেপাক (ﷺ) এর সামনে তখন দুধভর্তি একটি পেয়ালা ছিলো। তিনি আসহাবে সুফ্ফাগণকে ডেকে আনতে বললেন। একথা শুনে আমি মনে মনে বললাম, দুধতো নিতান্তই অল্প। রসুলেপাক (ﷺ) যদি এটুকু আমাকেই দান করে দিতেন, তাহলে আমি পরিতৃপ্ত হতে পারতাম। কিন্তু নবী করীম (ﷺ) এর আদেশ বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর ছিলো না। সুতরাং আমি রসুলেপাক (ﷺ) এর হুকুম মতো আসহাবে সুফফাগণকে ডেকে আনলাম। সকলেই পান করলেন। কেবল আমি আর রসুলেপাক (ﷺ) বাকী ছিলাম। রসুলেপাক (ﷺ) আমাকে পেয়ালা দিলেন। সকলের শেষে তিনি পান করলেন এবং বললেন, কাওমের সাকী সর্বশেষেই পান করে থাকে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]