হক্কানী আলেম ও আল্লাহর অলীগণের শানঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

 “এক যামানা সোহবতে বা আউলিয়া,

বেহ্তের আযসাদ সালাহ তায়াতে বেরীয়া। 

✍ [মাওলানা রূমী রহঃ]

▪ আল্লাহর অলীদের কিভাবে চেনা যায়?

“প্রশ্নোত্তরে রসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

“যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরনে এসে যায় তারাই আল্লাহর অলী (মুমিন বান্দা)।”📌[1]

▪ কোন এক বুজুর্গ ব্যক্তি ব্যক্তি বলেছিলেন,

[আমি আল্লাহর দরবারে তাঁর নারাজীতে নিকৃষ্ট হয়ে যাওয়া ও লোকারণ্যে বড় মনে করা থেকে পানাহ চাই]

▪ কারণ, রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ভবিষ্যৎবাণী চিরসত্যঃ

আমার পরে তোমরা শিরকে লিপ্ত হবে আমি এ আশংকা করি না। তবে তোমাদের ব্যপারে আমার আশংকা এটা যে, তোমরা দুনিয়ার ধন-সম্পদের (লালসায়) আকৃষ্ট হয়ে পড়বে।

📌[2]

▪ পরিশেষে বলতে চাই,

“যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য আছে, সে ইমানের স্বাদ পাবে, আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যই কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।”📌[3]

এজন্যই আমি তাঁকে ভালবাসি। একদিকে,

 ▪”হক্কানী আলিমগণ নবীগণের উত্তরাধিকারী।”📌[4]

▪ আর অপরদিকে, “পথভ্রষ্ট আলিমগণ দাজ্জাল অপেক্ষা ভয়ংকর।”📌[5]

▪”তারা ইলম ছাড়া ফাতওয়া দিয়ে নিজেও পথভ্রষ্ট হবে, অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করবে।”📌[6]

আল্লাহ পাক এমন রত্ন বাংলার ঘরে ঘরে দান করুন।

⛔ তথ্যসূত্রঃ

➖➖➖➖

📌[1]

হাদিসটি ভিন্ন সনদে ভিন্ন ভিন্ন মতনে বর্ণিত রয়েছে।

a.হযরত সাঈদ (রাঃ) হতে।

b.হযরত আবু দোহা (রাঃ) হতে।

c.হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে।

d.হযরত আবু মালিক আশআরী (রাঃ) হতে।

e.হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 

হযরত সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত সূত্রের রেফারেন্সঃ

১. মাজুমুল কাবীর, হাদীস নং ১২৩২৫

২. মাজমাউজ যাওয়াইদ, হাদীস নং-১৬৭৭৯

৩. মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং ৫০৫০,হজরতে আবু দোহা (রাঃ) হতে বর্নিত।

৪. তাফসীর  ইবনে কাসীর, পৃষ্ঠা-২৭৮,ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্নিত।

৫. তাফসীরে কুরতুবী, পৃষ্ঠা-২৬৭

৬. তাফসীরে তাবরী, হাদীস নং -১৭৭০৩

৭. তাফসীরে বাগভী, আবু মালিক আশআরী (রাঃ) হতে বর্নিত,  সুরা ইউনুসের আয়াত -৬২ তাফসীরে 

৮. তাফসীরে কাবীর, সুরা -ইউনুস,  আয়াত-৬২

৯. তাফসীরে দুররে মান্সুর,পৃষ্ঠা-৬৭৪, সুরা-ইউনুস,আয়াত-৬২

১০. তাফসীরে ইবনে হাতিম,হাদীস নং-১০৪৫৪, হজরতে ইবনে আব্বাস (রাঃ)  হতে বর্নিত।

📌[2]

হযরত ওকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

১. সহিহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা, হাদিস নম্বরঃ ১২৬৩

২. সহিহ বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মাগাযী,  ১৭, হাঃ ৪০৪২; 

৩. সহিহ বুখারী, অনুচ্ছেদঃ মানাকিব, অধ্যায়: ইসলামে নবুয়্যতের আলামত, ৩/১৩১ হাঃ ৩৪০১ 

৪. সহিহ বুখারী, অধ্যায়ঃ “কিতাবুল জানায়েজ” পরিচ্ছদঃ “আসসালাতু আলা শহীদে”, হাদিস নং-১২৭৯, 

৫. ইমাম বুখারী (রহঃ) ও ইমাম মুসলিম (রহঃ) : আল-লুলু ওয়াল মারজান, অধ্যায়ঃ ফাযায়েল,পরিচ্ছদঃ নবীজী (ﷺ)-এর জন্য ‘হাওজ’ এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য। হাদিসঃ ১৪৮০, 

৬. সহিহ মুসলিম, অনুচ্ছেদঃ ফাযায়েল, অধ্যায়ঃ নবী এর হাউজের প্রমাণ ও বৈশিষ্ট্য, ৪/১৭৯৫ হাঃ ২২৯৬

৭. মিশকাত শরীফ ১১ খন্ড, হাদীস নং- ৫৫৮০

৮. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানীঃ ফতহুল বারী শরহে বুখারীঃ ৩/২১১

📌[3] 

হাদিসের মানঃ হাসান

জারির ইবন আব্দুল হামিদ এর সনদে। 

১.ইমাম বাইহাকীঃ শুয়াবুল ঈমানঃ হাদিস নং ১৪

অন্যান্য সূত্রেঃ

২.আবু দাউদ, হাদিস: ৪৫৯৯

৩.তিরমিযি, হাদিস: ২৫২১ 

📌[4]

১.সুনানে আবী দাউদ, হা: নং ৩৬৪১।

২.তিরমিজি শরিফ, ২৬৮২ নং হা।

৩.সুনানে ইবনে মাজাহ, হা: নং ২২৩।

৪.মুসনাদে আহমদ, ৫ম খন্ড, ১৯৬ পৃ:।

৫.ইমাম তাহাবী: শরহে মুশকিলুল আছার, হাদিস নং ৯৮২।

৬.মুজামে ইবনে আরাবী, হাদিস নং ১৬০৯।

৭.ছহীহ্ ইবনে হিব্বান, ১ম খন্ড, ২৮৯ পৃ:।

৮.ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১২৩১।

৯.মুসনাদে শিহাব, হাদিস নং ৯৭৫।

১০.ইমাম বায়হাক্বী: আল আদাব, হাদিস নং ৮৬২।

১১.ইমাম বায়হাকী: মাদখাল, হাদিস নং ৩৪৭।

১২.তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৬ তম খন্ড, ৬২৭ পৃ:।

১৩.তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৫৮৫ পৃ।

১৪.ইমাম গাজ্জালী: মুকাশাফাতুর কুলুব, ১ম খন্ড।

📌[5]

আবূ যর (রাঃ) সূত্রে, রাসূল (ﷺ) থেকে।

[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩৩৫]

📌[6]

১.সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৪৫৭১, 

২.বুখারী শরীফ, হাদিস নং-১০০, 

৩.সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৯৭১, 

৪.মুসনাদুস শিহাব, হাদিস নং-৫৮১

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment