সহিহ হাদিসের আলোকে হায়াতুন্নবী (ﷺ)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে 
“রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله وسلم) বলেন,
“আমি মে’রাজের রাতে হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম এর নিকট আসলাম (হাদ্দার এর এক বর্ণনা মতে) লাল টিলার পাশ দিয়ে আমার গমন হলো (তখন আমি দেখলাম যে) হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম নিজ কবরে দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত ছিলেন।”
তথ্যসূত্রঃ 

  • ১. সহিহ মুসলিমঃ হাদিস নং 2375, 5858, 5859, 
  • ২. সুনানে নাসাঈঃ জিকিরস সালাত নবীআল্লাহ মূসা (আঃ) বিল লাইল, হাদিস নং 1330, কিতাবু কিয়ামিল লাইয়লি ওয়া তাত্বাওউয়িন নাহারি, হাদিস নংঃ 1630, 1631, 1632, 1633, 1634, 1635, 1636, 1637, 1638.
  • ৩. মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বলঃ 3/148 : 12234, 3/248 : 12532
  • ৪. সহিহ ইবনে হিব্বানঃ ৪৯

➖➖➖➖➖➖➖➖➖

হযরত আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত আছে যে, 

হুজুর নবী আকরাম (ﷺ) এর মোবারক ফরমানঃ

“মি’রাজের রাত্রে হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। হাদিস বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন যে, হযরত (ﷺ) হযরত মূসা (আলায়হিস্ সালাম) এর গুণ এরুপে বর্ণনা করলেন যে, তিঁনি হালকা-পাতলা, দীর্ঘকায় এলোমেলো চুলবিশিষ্ট। তিঁনি শানুয়াহ গোত্রের লোক সাদৃশ্য।

হযরত (ﷺ) বলেন, হযরত ঈসা (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথেও আমার সাক্ষাৎ হলো, তখন হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) তাঁর ভূষণের বর্ণনা দিলেন যে, তিঁনি মধ্যম কায়বিশিষ্ট লাল বর্ণওয়ালা যেমন এখনই হাম্মাম থেকে (গোসল সেরে) বের হয়েছেন।

এবং আমি হযরত ইব্রাহিম (আলায়হিস্ সালাম) এর সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং আমি তাঁর সকল আওলাদের মধ্যে সবচেয়ে অধিক তাঁর সাদৃশ্যপূর্ণ হই।

—— এ হাদিস মুত্তাফাকুন আলায়হি।

[সূত্রঃ

ক) বুখারীঃ আস্ সহীহ, কিতাবুল আম্বিয়া, খন্ড-৩, পৃ. ১২৬৯, হাদিস: ৩২৫৪;

খ) মুসলিমঃ আস্ সহীহ, কিতাবুল ঈমান, খন্ড-১, পৃ. ১৫৪, হাদিস: ১৬৮]

➖➖➖➖➖➖➖➖➖

হযরত আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত আছে যে, হুজুর নবী আকরাম (ﷺ) এর মোবারক ফরমানঃ

“আমি ‘হাজরে আসওয়াদ’- এর নিকট দাড়ানো ছিলাম, এই সময় কুরাইশগণ আমাকে আমার মে’রাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুরু করিল। তারা আমাকে বায়তুল মুকাদ্দাসের এমন সব বস্তুর কথা জিজ্ঞেস করতে লাগিল, যা আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য করে দেখি নাই। যার ফলে খুবই চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিলাম।

হুযূর (ﷺ) বলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে বায়তুল মুকাদ্দাসকে উঠিয়ে নিয়ে প্রকৃত দৃশ্যটি তুলিয়া ধরিলেন। আমি তাহা দেখে দেখে কুরাইশদের প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগিলাম।

এরপর আমি নবীদের এক জামাতেও নিজেকে উপস্থিত দেখিলাম। 

আমি দেখলাম হযরত মূসা (আলায়হিস সালাম) দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত ছিলেন। তিনি শানুয়াহ গোত্রের লোকদের ন্যায় দীর্ঘাকৃতি বিশিষ্ট। তার কেশরাজি ছিল কুঞ্চিত।

ঈসা ইবনে মরিয়ম (আলায়হিস সালাম) -কেও দন্ডায়মান অবস্থায় নামাযরত দেখিলাম। উ’রওয়া ইবনে মাসউদ ছাক্বাফী তাঁর সাদৃশ্য ছিলেন।

হযরত ইবরাহীম (আলায়হিস সালাম) -কেও নামাযে দাড়ানো দেখিলাম। তাঁর চেহারা তোমাদের সঙ্গীরই (অর্থাৎ- হুযূর মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সাথেই অধিক) সাদৃশ্যপূর্ণ।

অতঃপর নামাযের সময় হল। আমি সকল নবী আলায়হিমুস সালামগণের ইমামতী করলাম।

যখন নামায থেকে অবসর হলাম একজন প্রবক্তা আমাকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইনি মালিক, জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক, তাঁকে সালাম দিন, আমি তাঁর অভিমুখী হলাম তখন তিঁনি (আমার) পূর্বেই আমাকে সালাম করলেন।”

______ ইহাকে ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।

[সূত্রঃ 

ক) মুসলিম: আস্ সহীহ, কিতাবুল ঈমান , ১/১৫৬ হাদিস: ১৭৮; এবং

খ) নাসাঈ: আস্ সুনানুল কুবরা, ৬/৪৫৫; হাদীসঃ ১১৪৮০]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment