✌দলিল নং-০১
:
□ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)
হাদিস নম্বরঃ ৫২১৭
১৫৬. কারো সম্মানার্থে দাঁড়ানো
৫২১৭। উম্মুল মু‘মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র, (বর্ণনাকারী হাসানের মতে) আলাপচারিতা ও কথাবার্তায় ফাতিমাহ (রাঃ)-এর চাইতে এতখানি মিল আর কাউকে আমি দেখিনি। বর্ণনাকারী হাসান শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেননি। ফাতিমাহ (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসলেন, তিনি উঠে তাঁর দিকে এগিয়ে যেতেন, তার হাত ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে তাকে বসাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ফাতিমাহর নিকট যেতেন, তখন তিনিও তাঁর জন্য উঠে আসতেন, তাঁর হাত ধরে তাতে চুমু খেতেন এবং তার আসনে তাকে বসাতেন।[1]
সহীহ।
[1]. তিরমিযী, হাকিম। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
:
✌দলিল নং-০২
:
□ গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)
হাদিস নম্বরঃ ৩৭৮৫
৬৩/৫. আনসারদের লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তিঃ মানুষের মাঝে তোমরা আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয়।
৩৭৮৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আনসারের) কতিপয় বালক-বালিকা ও নারীকে রাবী (বর্ণনাকারী) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, কোন বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসতে দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ জানেন, তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (৫১৮০, মুসলিম ৪৪/৪৩, হাঃ নং ২৫০৭, আহমাদ ১২৭৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
:
✌দলিল নং-০৩
:
□ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৭৫
১. নবী (ﷺ)-এর সহনশীলতা ও চরিত্র সম্পর্কে
৪৭৭৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সঙ্গে মাসজিদে বসে কথাবার্তা বলতেন। অতঃপর তিনি উঠে গেলে আমরাও দাঁড়াতাম এবং তিনি তাঁর কোনো স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতাম। একদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং তিনি দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম। দেখলাম যে, জনৈক বেদুঈন তাকে নাগালে পেয়ে তাঁর চাদর ধরে এমন জোরে টান দিলো যে, তার ঘাড় লাল হয়ে গেলো। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, তাঁর চাদরটা ছিলো খসখসে। তিনি ফিরে তাকালেন। বেদুঈন তাঁকে বললো, এই দু’ উটের বোঝা পরিমাণ খাদ্য আমাকে দাও। কারণ তুমি তো তোমার নিজের সম্পদ থেকেও দিচ্ছ না আর তোমার বাবার সম্পদ থেকেও দিচ্ছ না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি আমাকে যে জোরে টান দিয়েছ তুমি তোমার উপর আমাকে তার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ না দেয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে কিছুই দিবো না। বেদুঈনও বারবার বলছিল, আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে তার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দিবো না। অতঃপর বর্ণনাকারী এ হাদীস বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি একটি লোককে ডেকে এনে বললেনঃ তার এ দু’ উটের একটিকে যব এবং অপরটিতে খেজুর বোঝাই করে দিয়ে দাও। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর কল্যাণ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করো।[1]
☆হিলাল এর পরিচয়ঃ-ইমাম যাহাবী তার আল কাশেফ গ্রন্থের ৬০০৯ নং রাবীর বর্ণনায় ছিকাহ বলেছেন।
ইবনে হাজার আসকালানী,ইবনে হিব্বানও তাকে সিকাহ বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।{তাহযীবুল কামালঃ৬৬৩৬/লিছানুল মিযানঃ৫১২৬}🐸
✌হাদিসের মানঃ সহিহ।
:
✌দলিল নং-০৪
:
□ গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার (كتاب الجهاد والسير)
হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৩
৫৬/১৬৮. মীমাংসা মান্য করতঃ শত্রুগণ দূর্গ ত্যাগ করলে।
৩০৪৩. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনী কুরায়যার ইয়াহূদীরা সা‘দ ইবনু মা‘আয (রাঃ)-এর ফায়সালা মুতাবিক দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসে, তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাঁকে ডেকে পাঠান। আর তিনি তখন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি কাছে আসলেন,
তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা ‘তোমাদের নেতার দিকে দন্ডায়মান হও।’
তিনি এসে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর নিকট বসলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘এগিয়ে যাও এরা তোমার ফায়সালায় রাজী হয়েছে। সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘আমি এই রায় ঘোষণা করছি যে, তাদের মধ্য হতে যারা যুদ্ধ করতে পারে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করা হবে।’ আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার ফয়সালার মত ফয়সালাই করেছ।’
(৩৮০৪, ৪১২১, ৬২৬২) (মুসলিম ৩২/২২ হাঃ ১৭৬৮, আহমাদ ১১১৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
:
✌দলিল নং-০৫
:
মসজিদে প্রবেশের সময় নবী করিম (ﷺ) কে সালাম জানানোঃ যারা কিয়াম বিরোধী তারা প্রবেশের সময় বসে যাবেন তারপর সালাম দেবেন যেহেতু আপনারা কিয়াম মানেননা ….
:
□ গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৪/ মাসজিদ ও জামাআত (كتاب المساجد والجماعات)
হাদিস নম্বরঃ ৭৭১
৪/১৩. মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ।
১/৭৭১। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্যা ফাতিমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশকালে বলতেনঃ আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ) এবং আল্লাহ্র রাসূলকে সালাম। হে আল্লাহ্! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন। তিনি (মাসজিদ থেকে) বের হওয়ার সময় বলতেনঃ আল্লাহ্র নামে (প্রস্থান) এবং সালাম আল্লাহ্র রাসূলকে। হে আল্লাহ্! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৩১৪, আহমাদ ২৫৮৭৭-৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
:
✌দলিল নং-০৬
:
□ গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৪/ মাসজিদ ও জামাআত (كتاب المساجد والجماعات)
হাদিস নম্বরঃ ৭৭২
৪/১৩. মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ।
২/৭৭২। আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর প্রতি সালাম পেশ করে, তারপর যেন বলেঃ হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন এবং বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৭১৩, নাসায়ী ৭২৯, আবূ দাঊদ ৪৬৫, আহমাদ ১৫৬২৭, ২৩০৯৬; দারিমী ১৩৯৪, ২৬৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৪। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল ওয়াহহাব বিন দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্য হাদিস শ্রবন করা যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিসে অনেক মিথ্যা পাওয়া যায়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
:
✌দলিল নং-০৭
:
□ গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪৫/ অনুমতি প্রার্থনা (كتاب الاستئذان والآداب عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ২৭৩২
মুআনাকা ও চুম্বন।
২৭৩২. মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ……. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, যায়দ ইবন হারিছা (কোন এক সফর থেকে) মদীনায় এলেন। (ﷺ) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তিনি এসে দরজার কড়া নাড়লেন। (ﷺ) গায়ের কাপড় টানতে টানতে খালি গায়েই তাঁর দিকে এগিয়ে গেলেন, আল্লাহর কসম, আমি এর আগে বা পরে কখনও আর তাঁকে খালি গায়ে দেখিনি। তিনি যায়দকে বুকে চেপে ধরলেন এবং তাকে চুমু দিলেন।
মিশকাত ৪৬৮২, রিয়াযুস সালিহিন এর মুকাদ্দামা (ওয়ও/৫), নাকদুল কাত্তানী ১৬,
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
:
✌দলিল নং-০৮
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)
হাদিস নম্বরঃ ৫১৪৫
১৩০. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা
৫১৪৫। উমার ইবনুস সাইব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি জানতে পেরেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর দুধ পিতা এলে তিনি তার জন্য তাঁর কাপড়ের একাংশ বিছিয়ে দিলেন এবং তিনি তার উপর বসলেন। অতঃপর তাঁর দুধ মাতা আসলে তিনি তাঁর জন্যও অন্য পাশে তাঁর টুকরো কাপড় বিছিয়ে দিলেন এবং তাতে তিনি বসলেন। তারপর আসলেন তাঁর দুধ ভাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য উঠে দাঁড়ান এবং তাকে তাঁর সামনে বসান।
:
✌দলিল নং-০৯
:
□ গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪৬/ কিতাবুল আদব (كتاب الأدب عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ২৮৪৬
কবিতা আবৃত্তি।
২৮৪৬. ইসমাঈল ইবন মূসা ফাযারী ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) …. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে নববীতে হাসসান-এর জন্য মিম্বর স্থাপন করতেন। এতে তিনি দাঁড়িয়ে (ﷺ) এর গৌরব গাঁথা পাঠ করতেন (বা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন) (ﷺ) এর পক্ষ থেকে (মুশরিকদের) প্রতিবাদ করতেন।
হাসান, সহীহাহ ১৬৫৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইসমাঈল ইবন মূসা ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) … আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও বারা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এটি হল ইবন আবুয যিনাদ (রহঃ) বরাতে বর্ণিত রিওয়ায়ত।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)