সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই আল্লাহ ও তাঁর স্বীয় রাসূলের পূর্ণাঙ্গ অনুসারী ছিলেন। কিছু বিষয়ে ইজতিহাদি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। মিশকাত শরীফে বাবে ‘মানাক্বিবে সাহাবা’ অধ্যায়ে রয়েছে,
عن عمر بن الْخطاب قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:أَصْحَابِي كَالنُّجُومِ فَبِأَيِّهِمُ اقْتَدَيْتُمْ اهْتَدَيْتُمْ . رَوَاهُ رزين
-‘‘হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমার সাহাবারা হল তারকা সদৃশ। অতএব তোমরা তাদের যে কোন এক জনের হলেও অনুসরণ করবে, তাহলে হেদায়াত লাভ করবে।’’
➤ইমাম আবু রাজীন : তাজরীদ ফিল বাইনাস সিহহাহ : ১/২৮০ পৃষ্ঠা, খতিব তিবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ : কিতাবুল মানাকিব : হাদিস : ৬০১৮ এ হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৩৪-২৪১ পৃষ্ঠা, দেখুন।
তাই সাহাবিরাই যদি সুপথপ্রাপ্ত না হন, তাহলে তাদেরকে যারা অনুসরণ করবে তারা কিভাবে সুপথপ্রাপ্ত হবেন? কিতাবের শুরুতে আলোচনা হয়েছে যে উম্মতে মুহাম্মাদীর ৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামে যাবে শুধু সে দল ছাড়া যে দলের আদর্শ হবে রাসূল (ﷺ) এবং সাহাবীদের নমুনায়।
1 thought on “সমস্ত সাহাবিরা সত্যের মাপকাঠি বা ন্যায়পরায়ণ ছিলেন”