লা-মাযহাবীদের শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী স্বরুপ উন্মোচনঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

♦ উক্ত ভাইদের মূলত “বুখারী শরীফ মানি” এই দাবিতেই সোচ্চার দেখা যায় বেশি।
(যদিও কতটুুুকু মানেন তা গোড়ায় হাত দিলেই বুঝায় যায়) তাই শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেব ইমাম বুখারী সম্পর্কে কি বলেছেন তা দিয়েই শুরু করছিঃ

★ ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করা-

•• শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করেছেন। ইমাম বোখারী (রহঃ) বোখারী শরীফের “কিতাবুত তাফসীর” এ সূরা কাসাস এর ৮৮ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছেন, সে সম্পর্কে নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) লিখেছেন,


♣ ﺍﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺘﺄﻭﻳﻞ ﻻ ﻳﻘﻮﻝ ﺑﻪ ﻣﺆﻣﻦ ﻣﺴﻠﻢ ﻭﻗﺎﻝ ﺇﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺘﺄﻭﻳﻞ ﻫﻮ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﺘﻌﻄﻴﻞ .

•• “এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন-মুসলমান দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলতঃ কুফরী মতবাদ “তা’তীলের” অন্তর্ভূক্ত।

★ ইমাম বোখারী (রহঃ) সূরা কাসাসের ৮৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন,

♣ ﻛُﻞُّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻫَﺎﻟِﻚٌ ﺇِﻻَّ ﻭَﺟْﻬَﻪُ ﺇﻻ ﻣﻠﻜﻪ , ﻭﻳﻘﺎﻝ : ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃُﺭﻳﺪ ﺑﻪ ﻭﺟﻪ ﺍﻟﻠﻪ-

•• “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে”

• এখানে তিনি “ওয়াজ্হুন” শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন “মুলকুন” তথা আল্লাহর রাজত্ব। তখন অর্থ হবে, সবকিছু ধ্বংস হবে, তাঁর রাজত্ব ব্যতীত। অথবা “ওয়াজহুন” দ্বারা যা উদ্দেশ্য হবে, তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

★[ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ইং]

★★ আর ইমাম বোখারী যদি সালাফীদের নিকট অমুসলিমই হয়ে থাকে, তবে আহলে হাদীস বা সালাফীরা কিভাবে ইমাম বোখারী বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করে?

♦হানাফী মাযহাবকে খ্রিস্টধর্মের সাথে তুলনাঃ

•• শায়াখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) হানাফী মাযহাবকে খ্রিস্টধর্মের সাথে তুলনা করে লিখেছেন,

♣ﻫﺬﺍ ﺻﺮﻳﺢ ﻓﻲ ﺃﻥ ﻋﻴﺴﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻳﺤﻜﻢ ﺑﺸﺮﻋﻨﺎ ﻭﻳﻘﻀﻲ ﺑﺎﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ﻻ ﺑﻐﻴﺮﻫﻤﺎ ﻣﻦ ﺍﻻﻧﺠﻴﻞ ﺃﻭ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ ﻭ ﻧﺤﻮﻩ-

•• “এ থেকে স্পষ্ট যে, হযরত ঈসা (আঃ) আমাদের শরীয়ত অনুযায়ী ফয়সালা দিবেন এবং কিতাব ও সুন্নাহের মাধ্যমে বিচার করবেন। তিনি ইঞ্জিল, হানাফী ফিকহ কিংবা এজাতীয় অন্য কিছু দ্বারা বিচার করবেন না”

★ [আল্লামা মুনযীরি (রহঃ) কৃত “মুখতাসারু সহিহীল মুসলিম” এর উপর শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর টিকা সংযোজন, তৃতীয় সংস্করণ, ১৯৭৭, আল-মাকতাবুল ইসলামি, পৃষ্ঠা-৫৪৮]

★এ খানে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী খুব সহজে হানাফী মাযহাবকে খ্রিস্টধর্মের বিকৃত ইঞ্জিলের সাথে তুলনা করেছেন; অথচ তিনি এতটুকু চিন্তা করেননি যে, তাঁর নিজের পিতা একজন সুদৃঢ় হানাফী আলেম। আমরা সকলেই জানি, কেউ যদি ইঞ্জিল অনুযায়ী বিবাহ-শাদী করে, তবে ইসলামে তার বিবাহ বিশুদ্ধ হবে না।

শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর নিজের বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর পিতা এমন একটি মতবাদের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যা বিকৃত ইঞ্জিলের সমগোত্রীয়। এখন তিনি যদি হানাফী মাযহাবকে বিকৃত ইঞ্জিলের সাথে তুলনা করেন, তবে আমাদের কারও আপত্তি করার পূর্বে তাঁর নিজেরই সতর্ক হওয়া উচিৎ। কেননা একথা বলার দ্বারা তার নিজের পিতা-মাতারই বিবাহ বিশুদ্ধ হয় না।

♦ এছাড়া তিনি তার জীবনে দীর্ঘ একটি সময় নিজেও হানাফী ছিলেন। তাঁর জীবনীতে লেখা হয়েছে,

ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ ( ﻗﺪﻳﻤﺎً ) ، ﺛﻢ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺍﻟﻤﺠﺘﻬﺪ ﺑﻌﺪ-

[সাবাতু মুয়াল্লাফাতিল আলবানী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আশ্-শামরানী, পৃষ্ঠা-২, ১৬]তাব

লিগ 

জামাত  

এর 

সাথে   চুলাচুলি লড়াইঃ

ﻭﻳﻘﻮﻝ ﻋﻨﻪ : ﺇﻧﻪ ﻏﺪﺓ ﻛﻐﺪﺓ ﺍﻟﺒﻌﻴﺮ
ﺛﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻣﺴﺘﻬﺰﺋﺎ ﺿﺎﺣﻜﺎ : ﺃﺗﻌﺮﻓﻮﻥ ﻏﺪﺓ-

•• “আল্লাহ তায়ালা তোমার হাত অবশ করে দিক এবং তোমার জিহ্ক্ষাকে কর্তন করুক ।

[কাশফুন নিকাব, পৃষ্ঠা-৫২]

★• তিনি আরও বলেন , সে হল উটের প্লেগ রোগের মত একটা মহামারী (গুদ্দাতুল বায়ীর)। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে উপহাস করে বললেন, তোমরা কি জানো, উটের প্লেগ কী?

★ ড. ইউসুফ আল-কারযাবী সম্পর্কে শায়েখের উক্তিঃ 

তিনি ড. ইউসুফ আল-কারযাবী সম্পর্কে বলেছেন,

♣ ﺍﺻﺮﻑ ﻧﻈﺮﻙ ﻋﻦ ﺍﻟﻘﺮﺿﺎﻭﻱ ﻭﺍﻗﺮﺿﻪ ﻗﺮﺿﺎ-

•• “তুমি ইউসুফ কারযাবী থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখো এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করো”

তার সম্পর্কে আরও বলেছেন,

♣ ﺇﻥ ﻳﻮﺳﻒ ﺍﻟﻘﺮﺿﺎﻭﻱ ﻳﻔﺘﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﻔﺘﺎﻭﻯ ﻣﺨﺎﻟﻔﺔ ﻟﻠﺸﺮﻳﻌﺔ ﻭ ﻟﻪُ ﻓﻠﺴﻔﺔ ﺧﻄﻴﺮﺓ-

•• “ইউসুফ আল-কারযাবী শরীয়ত বিরোধী ফতোয়া প্রদান করে, তার কাছে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব দর্শন”

♦শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া 

••হাদীসুল গদীর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) আল্লামা ইবনে তাইমিয়া সম্পর্কে লিখেছেন,

♣ﺇﻧﻨﻲ ﺭﺃﻳﺖ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ، ﻗﺪ ﺿﻌﻒ ﺍﻟﺸﻄﺮ ﺍﻷﻭﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﺸﻄﺮ ﺍﻵﺧﺮ ، ﻓﺰﻋﻢ ﺃﻧﻪ ﻛﺬﺏ ! ﻭﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﻣﺒﺎﻟﻐﺎﺗﻪ ﺍﻟﻨﺎﺗﺠﺔ ﻓﻲ ﺗﻘﺪﻳﺮﻱ ﻣﻦ ﺗﺴﺮﻋﻪ ﻓﻲ ﺗﻀﻌﻴﻒ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺠﻤﻊ ﻃﺮﻗﻬﺎ ﻭﻳﺪﻗﻖ ﺍﻟﻨﻈﺮ ﻓﻴﻬﺎ . ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﺴﺘﻌﺎﻥ-

••আমি শায়খ ইবনে তাইমিয়াকে দেখেছি, তিনি হাদীসের প্রথম অংশকে দুর্বল বলেছেন এবং হাদীসের শেষ অংশকে তিনি মিথ্যা মনে করেছেন। আমার ধারণামতে “হাদীসকে যয়ীফ বলার ক্ষেত্রে এটি ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর বাড়াবাড়ি, যা তাঁকে হাদীসটি যয়ীফ বলতে উদ্বুদ্ধ করেছে; অথচ তিনি হাদীস বর্ণনার বিভিন্ন পরম্পরা খতিয়ে দেখেননি। এবং এ ব্যাপারে গভীর দৃষ্টিপাত করেননি।”

♠ [সিলসিলাতুস সহীহা, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-৩৪৩-৩৪৪, হাদীস নং ১৭৫০

★ ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) “কালিমুত তাইয়্যিব” নামক বিখ্যাত একটি কিতাব রচনা করেছেন। শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) সে কিতাবের হাদীসগুলো বিশ্লেষণ করে একটি কিতাব লিখেছেন, সহীহুল কালিমিত তাইয়্যিব। এ কিতাবে নাসীরুদ্দিন আলবানী লিখেছেন-

♣ ﺃﻧﺼﺢ ﻟﻜﻞ ﻣﻦ ﻭﻗﻒ ﻋﻠﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ( ﺍﻟﻜﻠﻢ ﺍﻟﻄﻴﺐ ﻹﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ) ﻭ ﻏﻴﺮﻩ : ﺃﻥ ﻻ ﻳﺒﺎﺩﺭ ﺇﻟﻲ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ، ﺇﻻ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺘﺄﻛﻴﺪ ﻣﻦ ﺛﺒﻮﺗﻬﺎ، ﻭ ﻗﺪ ﺳﻬﻠﻨﺎ ﻟﻪ ﺍﻟﺴﺒﻴﻞ ﺇﻟﻲ ﺫﻟﻚ ﺑﻤﺎ ﻋﻠﻘﻨﺎ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻓﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺛﺎﺑﺘﺎ ﻣﻨﻬﺎ ﻋﻤﻞ ﺑﻪ … ﻭﺇﻻ ﺗﺮﻛﻪ، ( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﻜﻠﻢ ﺍﻟﻄﻴﺐ – ﺹ -৪)-

 “যারা আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর এ কিতাবটি সম্পর্কে অবগত রয়েছে, তাদেরকে নসীহত করব, এ কিতাবে যে সমস্ত হাদীস রয়েছে, সেগুলোর প্রতি তারা যেন আমল করতে অগ্রসর না হয়, যতক্ষণ না হাদীসগুলো শক্তিশালীভাবে প্রমাণিত হয়। আমি এর উপর যে টিকা সংযোজন করেছি, এর মাধ্যমে প্রত্যেকের জন্য বিষয়টি সহজ করে দিয়েছি। সুতরাং যে সমস্ত হাদীস প্রমাণিত হবে, সেগুলোর উপর আমল করা হবে, নতুবা সেটি পরিত্যাগ করা হবে”

♠ [সহীহুল কালিমিত তাইয়্যিব, পৃষ্ঠা-৪]

শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানীর এ কথা উল্লেখ করে আল্লামা হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ) লিখেছেন,

♣ ﻭ ﻟﻴﺲ ﻳﻌﻨﻲ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺑﺬﻟﻚ ﺇﻻ ﺃﻧﻪ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺃﻥ ﻳﺘﺨﺬﻭﻩ ﺇﻣﺎﻣﺎ ﻭ ﻳﻘﻠﺪﻭﻩ ﺗﻘﻠﻴﺪﺍ ﺃﻋﻤﻲ، ﻭﻻ ﻳﻌﺘﻤﺪﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﺇﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ﻭ ﻻ ﻋﻠﻲ ﻏﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﺜﻘﺎﺕ ﺍﻷﺛﺒﺎﺕ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ، ﻓﻲ ﺛﺒﻮﺕ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺣﺘﻲ ﻳﺴﺄﻟﻮﺍ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻭ ﻳﺮﺟﻌﻮﺍ ﺇﻟﻲ ﺗﺤﻘﻴﻘﺎﺗﻪ !-

•• “অর্থাৎ নাসীরুদ্দিন আলবানীর একথা বলার দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন আবশ্যকভাবে তাঁকে ইমাম বানায় এবং তাঁর অন্ধ অনুকরণ করে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আলবানীকে জিজ্ঞেস না করবে এবং তার বিশ্লেষণকে গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লামা ইবনে তাইমিয়াসহ অন্য কোন বিশ্বস্ত ও গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী মুহাদ্দিসের হাদীসের উপরও নির্ভর করবে না।

জালালুদ্দীন সূয়ূতী (রহঃ) সম্পর্কে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী লিখেছেন,

♣ ﻓﻴﺎ ﻋﺠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻴﻮﻃﻲ ﻛﻴﻒ ﻟﻢ ﻳﺨﺠﻞ ﻣﻦ ﺗﺴﻮﻳﺪ ﻛﺘﺎﺑﻪِ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ-

“কী আণ্ডর্য! জালালুদ্দিন সূয়ূতী তাঁর জামে সগীরে কিভাবে এ হাদীস উল্লেখ করতে একটু লজ্জাবোধ করলেন না!

তিনি জালালুদ্দিন সূয়ূতী (রহঃ) সম্পর্কে আরও লিখেছেন-

♣ ﻭﺟﻌﺠﻊ ﺣﻮﻟﻪُ ﺍﻟﺴﻴﻮﻃﻲ-

অর্থাৎ- জালালু্িদ্দন সূয়ূতী (রহঃ) হাঁক-ডাক ছেড়ে থাকেন।

•√• [সিল-সিলাতুজ জয়িফা, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৮৯]

★ইমাম হাকেম, ইমাম যাহাবী এবং আল্লামা মুনযিরি (রহঃ) সম্পর্কে শায়েখের উক্তিঃ

শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর দৃষ্টিতে একটা হাদিস সহীহ নয়, অথচ অন্যান্য মুহাদ্দিস তাকে সহীহ বলায় তিনি হাদীসের বিখ্যাত তিন মুহাদ্দিস ইমাম হাকেম, ইমাম যাহাবী, ইমাম মুনযিরি (রহঃ) সম্পর্কে বলেছেন,

♣ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ : ” ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻻﺳﻨﺎﺩ ” ! ﻭﻭﺍﻓﻘﻪ ﺍﻟﺬﻫﺒﻲ ! ﻭﺃﻗﺮﻩ ﺍﻟﻤﻨﺬﺭﻱ ﻓﻲ ” ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ” ( ৩ / ১৬৬ ) ! ﻭﻛﻞ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺇﻫﻤﺎﻝ ﺍﻟﺘﺤﻘﻴﻖ ، ﻭﺍﻻﺳﺘﺴﻼﻡ ﻟﻠﺘﻘﻠﻴﺪ ، ﻭﺇﻻ ﻓﻜﻴﻒ ﻳﻤﻜﻦ ﻟﻠﻤﺤﻘﻖ ﺃﻥ ﻳﺼﺤﺢ ﻣﺜﻞ ﻫﺬﺍ ﺍ ﻻﺳﻨﺎﺩ-

→ “হাকেম বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। 

→ ইমাম যাহাবী তাঁর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

→ ইমাম মুনযিরি (রহঃ) “তারগীব ও তারহীব” নামক কিতাবে তার স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর এটি হয়েছে, তত্ত্ব-বিশ্লেষণের প্রতি উদাসীনতা, তাকলীদের প্রতি আত্মসমর্পণ (অন্ধানুকরণ), নতুবা একজন বিশ্লেষণধর্মী আলেম কিভাবে একে সহীহ বলতে পারেন।”

হাফেয তাজুদ্দিন সুবকী (রহঃ) সম্পর্কে শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী মন্তব্য করেছেন-

♣ﻭﻟﻜﻨﻪ ﺩﺍﻓﻊ ﻋﻨﻪ ﺑﻮﺍﺯﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻌﺼﺐ ﺍﻟﻤﺬﻫﺒﻲ ، ﻻ ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻛﺒﺮﻯ ﻣﻦ ﻧﻘﻞ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﺑﻴﺎﻥ ﻣﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻌﺼﺐ 

♠মাযহাব অনুসরণের গোঁড়ামি তাঁকে প্ররোচিত করেছে। তাঁর কথা উল্লেখ করে এবং তাঁর গোঁড়ামির কথা আলোচনা করে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উপকারিতা নেই।

♠ [সিল-সিলাতুজ যয়িফা, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৮৫]

★শায়েখ হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ) তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন,

♣ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻧﺎﺻﺮ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﻻﻟﺒﺎﻧﻲ ﺷﺪﻳﺪ ﺍﻟﻮﻟﻮﻉ ﺑﺘﺨﻄﺌﺔ ﺍﻟﺤﺬﺍﻕ ﻣﻦ ﻛﺒﺎﺭ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﻭﻻ ﻳﺤﺎﺑﻰ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺃﺣﺪﺍ ﻛﺎﺋﻨﺎ ﻣﻦ ﻛﺎﻥ ، ﻓﺘﺮﺍﻩ ﻳﻮﻫﻢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻤﺎ ، ﻭﻣﻦ ﺩﻭﻧﻬﻤﺎ ، ﻭﻳﻐﻠﻂ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺒﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺰﻡ ﻭﺍﻟﺬﻫﺒﻲ ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﻭﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻰ ، ﻭﻳﻜﺜﺮ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﺣﺘﻰ ﻳﻈﻦ ﺍﻟﺠﻬﻠﺔ ﻭﺍﻟﺴﺬﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺍﻥ ﺍﻻﻟﺒﺎﻧﻲ ﻧﺒﻎ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻌﺼﺮﻧﺒﻮﻏﺎ ﻳﻨﺪﺭ ﻣﺜﻠﻪ-

♦“শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী পৃথিবী বিখ্যাত গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী আলেমদের ভুল ধরার ব্যাপারে চরম বেপরোয়া। এ পথে তিনি কাউকেই মুক্তি দেননি। আপনি দেখবেন! সে ইমাম বোখারী (রহঃ), ইমাম মুসলিমসহ অপরাপর ইমামদের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ আলেম ইবনে আব্দুল বার (রহঃ), ইবনে হাযাম (রহঃ), ইমাম যাহাবী (রহঃ) ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ), ইমাম সানআনী (রহঃ) সহ আরও অনেককে ভুল সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। অথচ অনেক অজ্ঞ এবং সাধারণ আলেম তাঁকে বর্তমান যুগের বিরল ব্যক্তিত্ব মনে করে থাকেন।”

♦ বিশ্বের যে সমস্ত আলেম শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর এসমস্ত ভ্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন এবং এ সম্পর্কে কিতাব লিখেছেন তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল-

★১. শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী। তাঁর রচিত কিতাবের নাম-

♣ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺷﺬﻭﺫﻩ ﻭﺃﺧﻄﺎﺅﻩ-

★২. উত্তর আফ্রিকার বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-গুমারী। তাঁর কিতাবের নাম হল-

♣” ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻤﻘﻨﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ “_

.

★৩. শায়েখ আব্দুল আযীয গুমারী-

♣ ” ﺑﻴﺎﻥ ﻧﻜﺚ ﺍﻟﻨﺎﻛﺚ ﺍﻟﻤﻘﻌﺪﻱ ﺑﺘﻀﻌﻴﻒ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ “-

★৪. শায়েখ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-খাজরাযী

♣ ” ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺗﻄﺮﻓﺎﺗﻪ “-

★৫. উস্তাদ বদরুদ্দিন হাসান দিয়াব দামেশকী-

♣ ” ﺃﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﺼﺎﺑﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﻇﻠﻤﺎﺕ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ “-

★৬. শামের বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-হারারী,

♣ﺍﻟﺘﻌﻘﺐ ﺍﻟﺤﺜﻴﺚ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻃﻌﻦ ﻓﻴﻤﺎ ﺻﺢ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ-

★৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায 

♣” ﺃﻳﻦَ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﻳﺪﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺮﻓﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ”

★৮. শায়েখ ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ আনসারী 

♣” ﺗﺼﺤﻴﺢُ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﺍﻟﺮﺩّ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺗﻀﻌﻴﻔﻪ “_

★৯. শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ 

♣ ” ﻛﻠﻤﺎﺕٌ ﻓﻲ ﻛﺸﻒ ﺃﺑﺎﻃﻴﻞ ﻭﺍﻓﺘﺮﺍﺀﺍﺕ “-

★১০. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ

♣ ﻗﺎﻣﻮﺱ ﺷﺘﺎﺋﻢ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻭﺃﻟﻔﺎﻇﻪ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮﺓ ﻓﻲ ﺣﻖ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻷﻣﺔ ﻭﻓﻀﻼﺋﻬﺎ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ-

★১১. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ,

♣ ” ﺍﻟﺒﺸﺎﺭﺓُ ﻭﺍﻹﺗﺤﺎﻑ ﻓﻴﻤﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ﻭﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﻣﻦ ﺍﻻﺧﺘﻼﻑ “-

★★★আমরা এখানে সামান্য কয়েকটি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছি। শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্ত বিষয়গুলির সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ঠ অধিকাংশ আলেম স্বতন্ত্র কিতাব লিখেছেন।

• “সাবাতু মুয়াল্লাফাতিল আলবানী”

♦ এর গ্রন্থকার এ ধরণের ৫৭ টি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। এ সমস্ত গ্রন্থে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্তিগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

♦বিখ্যাত সালাফী আলেমদের মধ্যে যারা শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর এ সমস্ত ভ্রান্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তাদের কয়েকজনের নাম নিচে উল্লেখ করা হল-

★১. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায 


★৩. শায়েখ হামুদ বিন আব্দুল্লাহ 


★৩. ড. বকর বিন আব্দুল্লাহ আবু যায়েদ।


★৪. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আদ-দাবীশ 


★৫. সফর বিন আব্দুর রহমান।


★৬. মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান সা’আদ।


★৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মা’নে আল-উতাইবি।


★৮. শায়েখ ফাহাদ বিন আব্দুল্লাহ আস-সুনাইদ।


★৯. আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা আল-আদাবী।

♦জামেয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ এর দাওয়া বিভাগের প্রধান ড.আব্দুল আযীয আল-আসকার শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সম্পর্কে লিখেছেন,

♣ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻭﺍﺗﺒﺎﻋﻪ ﻟﻴﺴﻮﺍ ﺳﻠﻔﻴﺔ—

♠ “আলবানী এবং তার অনুসারীরা মূলতঃ সালাফী নয়”

অর্থাৎ এরা সালাফী (পূর্ববর্তীদের অনুসারী) হওয়ার দাবী করে কিন্তু বাস্তবে এরা সালাফী নয়।


★★সউদী আরবের প্রধান মুফতী আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন বায এর নাছির উদ্দীন আলবানী সম্পর্কে অভিমত ঃ


★ (ক) ﺧﻄﺄ ﻇﺎﻫﺮ ، ﻟﻢ ﻳﺴﺒﻘﻪ ﺇﻟﻴﻪ ﺃﺣﺪ ﻓﻴﻤﺎ ﻧﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ، ﻭﻫﻮ ﻣﺨﺎﻟﻒ ﻟﻸﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ—
••. নাছির উদ্দীন আলবানী এমন প্রকাশ্য ভুল করেছেন যাহা আমাদের জানা মতে পূর্বের কোন আলেম এমনটি করেননি। তিনি আরো বলেন- আলবানী সাহেব ছহীহ হাদীস সমূহের বিরোধিতাকারী।


♠ (সূত্র: সালাসু রাসায়েল ফিসসালাত : ইবনে বাজ ১/২৮)

★ (খ) ﻗﺪ ﻳﺼﺤِّﺢ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﻭﻳﺨﻄﺊ، ﻭﻗﺪ ﻳﻀﻌِّﻒ ﻭﻳﺨﻄﺊ؛-
•• কখনো তিনি ছহীহ হাদীসকে জয়ীফ/দূর্বল বলে ভুল করেন,

•• আবার কখনো দূর্বল হাদীসকে তিনি ছহীহ বলে ভুল করেন।


♠ (সূত্র : দরুস ইবনে বাজ : ১১/২৬, ২. মাজমুআয়ে ফতুয়া ইবনে বাজ : ২৫/৭১)
.
.
.
.
.
★আলবানী সাহেবের তাহকীকের প্রকৃত অবস্থা:
.
.
★১. উদা বিন হাসান উদা ৫০০ হাদীসের একটি সঙ্কলন বের করেছেন। এই কিতাবে যে ৫০০ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, এগুলো মুলত:

‘ আলবানী সাহেবের তারাজু বা পূর্বের মতামত থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে আালোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ আলবানী সাহেব পূর্বে একটা হাদীসকে সহীহ বলেছেন, পরে মত পরিবর্তন করে সেটাকে যয়ীফ বলেছেন। এধরনের রুজু দু’একটি হাদীসে ঘটেনি। এখানে মোট পাচ শ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে।
.
.
★★★ এই কিতাবটি আলবানী সাহেব এর নিজস্ব ওযেস সাইট আলবানী ডট নেটে পাওয়া যায়। নিচের লিংক দেকে ডাউন লোড করুন।

#http://www.alalbany.net/?p=5282

★২. আবুল হাসান মুহাম্মাদ হাসান আশ-শাযখ্র আলবানী সাহেব এর রুজু বা পূর্বের মতামত থেকে প্রত্যাবর্তনের উপর একটি সঙ্কলন বের করেছন। এখানেও ৩০০ এর বেশি হাদীসের উপর আলোচনা করা হয়েছে।

★ এ কিতাবটি আলবানী ডট কমে পাওয়া যাবে।

নিচের লিংক থেকে ডাউন লোড করুন।

#http://www.alalbany.net/?p=5262

.

.

.

.

★৩. আলবানী সাহেবের তারাজু নিয়ে লেখা আরেকটি কিতাব হলো, আত-তাম্বিহাতুল মালিহা আলা মা তারাজায়া আনহুল আল্লামা আল-আলবানী।

• এটি নিচের লিংক থেকে ডাউন লোড করুন। এ কিতাবেও আলবানী সাহেব এর সহীহ ও যয়ীফ বলার ক্ষেত্রে পূর্বের মত থেকে প্রত্যাবতর্ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আলবানী সাহেবের রুজু করা হাদীস সঙ্কলন করা হযেছে।

• ডাউনলোড লিংক,

#http://www.alalbany.net/?p=5043

.

.

★৫. আলবানী সাহেব পূর্বের অবস্থান থেকে ফেরার পাশাপাশি প্রচুর স্ববিরোধীতায় লিপ্ত হযেছেন। একই রাবীকে কোথাও যয়ীফ, কোথাও সহীহ বলা, একই হাদীসকে কোথাও সহীহ এবং কোথাও সহীহ বলাকে তানাকুয বা স্ববিরোধীতা বলে। আলবানী সাহেব এতো বেশি পরিমাণ স্ববিরোধীতা করেছেন যে, এ বিষয়ে তিনি অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একজন সুস্থ ধারার মুহাদ্দিস দু’একটি হাদীসের ক্ষেত্রে এমন করতে পারেন, কিন্তু তিনি শত শত হাদীসের ক্ষেত্রে এধরণের স্ববিরোধতিা করেছেন। শায়খ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ আলবানী সাহেবের এ ধরণের স্ববিরোধীতার উপর কিতাব লিখেছেন। কিতাবের নাম, তানাকুযাতুল আলবানিল ওয়াজিহাত। এটি তিন খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তিন খন্ডে আলবানী সাহেবের মোট ১৩০০ স্ববিারোধী বক্তব্য উল্লেখ করা হযেছে। লেখক দাবী করেছেন, আমি আলবানী সাহেবের মোট সাত হাজার স্ববিরোধী বক্তব্য পেযেছি। এই তিন খন্ডে আমি ১৩০০ বক্তব্য প্রকাশ করেছি। বাকীগুলো তিনি আস্তে আস্তে প্রকাশ করবেন।

.

.

.

.

★৫. শায়খ সাইদ আল মামদুহ আলবানী সাহেব এর সহীহ ও যয়ীফ এর উপর তুলনামূলক আলোচনা করে ইলমুল হাদীসের আঙ্গিকে আট শ হাদীসের ব্যাপারে আলবানী সাহেবের ভুল ধরেছেন। অথাৎ একটা হাদীস আলবানী সাহেব এর নিকট যয়ীফ, কিন্তু সেটি বাস্তবে সহীহ আবার একটি হাদীসকে তিনি সহীহ বলেছেন, বাস্তবে সেটি যয়ীফ, এজাতীয় আট শ হাদীসের উপর আলোচনা করেছেন। তিনি এর উপর, আত-তা’রীফ বিআওহামি মান কাস সামাস সুনান ইলা সহীহ ও যয়ীফ নামে ছয় খন্ডের কিতাব লিখেছেন। প্রত্যেক খণ্ডই প্রায় ৫০০ পৃ. এর উপরে।

.

.

.

.

★৬. শায়খ হাম্মাদ বিন হাসান আল-মিসরী ৩০০ শ এর বেশি রাবীর জীবনী আলোচনা করেছেন, যাদের ব্যাপারে আলবানী সাহেব বলেছেন, তাদের কোন জীবনী কোন কিতাবে পাইনি অথবা তারা অপরিচিত, অথচ তাদের জীবনী তিনি যে কিতাব দেখেছেন তাতে বিদ্যমান রয়েছে এবং তারা পরিচিত রাবী। তিনি নাম্বার সহ প্রত্যেক রাবীর নাম ও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছেন।

• নিচের সাইটে তার আলোচনা গুলো পাওয়া যাবে।

.

.

.

★★★

আলবানি সাহেব ভুল-ভ্রান্তি বিশ্লেষণ করে বাজারে নিয়মিত নতুন নতুন বই আসছে। এর অধিকাংশ বইয়ের লেখক আলবানী সাহব এর ছাত্র ও সালাফী ঘরানার আলেম। সুতরা এসমস্ত ভুলের ব্যাপারে অবগত না হয়ে যেসমস্ত সালাফী বন্ধুরা অন্ধভাবে, যাচাই-বাছাই ছাড়া আলবানী সাহেবের অনুসরণ করছেন, তাদেরকে অন্ধ অনুসারী ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে?

♦অতএব, সর্বশেষ কথা হল, তাবেয়ী ইবনে সিরিন (রহঃ) বলেছেন,

# ﺇﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺩﻳﻦ ؛ ﻓﺎﻧﻈﺮﻭﺍ ﻋﻤَّﻦ ﺗﺄﺧﺬﻭﻥ ﺩﻳﻨﻜﻢ-

•• “নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো”

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment