১. ভুলে স্ত্রীসম্ভোগ করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে আবার স্ত্রীসহবাস করা । (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৭৫)
২. কাঁচা চাল, আটার খামির বা একত্রে অনেক লবণ খাওয়া। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১৯৯)
৩. এমন কোনো বস্তু খাওয়া, যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যেমন—কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথর, মাটি, কয়লা ইত্যাদি। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০২. জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ. ১, পৃ. ৩৭৮)
৪. পাথর, কাদামাটি, কঙ্কর, তুলা-সুতা, তৃণলতা, খড়কুটা ও কাগজ গিলে ফেলা। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০৩)
৫. নিজের থুতু হাতে নিয়ে গিলে ফেলা। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০২)
৫. নিজের থুতু হাতে নিয়ে আবার গিলে ফেলা। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০২)
৬. বিড়ি, সিগারেট বা হুঁকো সেবন করা। (জাওয়াহিরুল ফিকহ্ : খ. ১, পৃ. ৩৭৮)
৭. কানে বা নাকের ছিদ্রে তরল ওষুধ দেওয়া। (এমদাদুল ফাতাওয়া : খ. ২, পৃ. ১২৭)
৮. দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে যদি তা থুতুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালিতে চলে যায়। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৬৭)
৯. পান মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া এবং এই অবস্থায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। (এমদাদুল ফাতাওয়া : খ. ২, পৃ. ১৭২)
১০. হস্তমৈথুন করা।
১১. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি কিংবা নাকে পানি দেওয়ার সময় কণ্ঠনালিতে পানি চলে যাওয়া। (আহসানুল ফাতাওয়া : খ. ৪, পৃ. ৪৩৩)
১২. নাকের রক্ত পেটে চলে যাওয়া। (আহসানুল ফাতাওয়া : খ. ৪, পৃ. ৪২৯)
১৩. কাউকে জোরজবরদস্তি করে পানাহার করানো। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০২)
১৪. রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর সেহরি খাওয়া। (জাওয়াহিরুল ফিকহ্ : খ. ১, পৃ. ৩৭৮)
১৫.একজন মানুষ তার মলদ্বারে পানি বা তৈলাক্ত হাত প্রবেশ করানো।
১৬. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি আসার পর তা গিলে ফেলা। (ফাতহুল কাদির : খ. ২, পৃ. ৩৩৭)
১৭. সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে ভুলে দিনে ইফতার করা। (বুখারি : হা. ১৯৫৯)
১৮. যদি কেউ রাত ধারণা করে স্ত্রীসহবাসে লিপ্ত হয়ে যায়, অতঃপর সুবহে সাদিকের কথা জানতে পেরে তত্ক্ষণাৎ সহবাস থেকে বিরত হয়ে যায়। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৭৪)
১৯. বৃষ্টি বা বরফের টুকরো খাদ্যনালির ভেতরে চলে গেলে। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০৩)
২০. ভুলে খাওয়া বা পান করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করা। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৭৫)
যদি এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে রোজা রাখার শক্তি নেই বা রোজা রাখার দ্বারা অসুস্থতা বেড়ে যাবে, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে হ্যাঁ, যখনই সুস্থ হয়ে যাবে, তখনই তার ওপর রোজা কাজা করে নেওয়া ওয়াজিব। (আপকে মাসায়েল : খ. ৩, পৃ. ২০২)
১. যে ব্যক্তি এমন দুর্বল হয়ে যায় যে রোজা রাখার শক্তি নেই। (আপকে মাসায়েল : খ. ৩, পৃ. ২০৩)
২. এমন ক্ষুধা বা পিপাসা লাগে যে প্রাণ চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০৭)
৩. গর্ভধারিণী বা স্তন্যদানকারিণী মহিলা যদি নিজের অথবা নিজের বাচ্চার প্রাণপাতের আশঙ্কা করেন, তাহলে তাঁর জন্য রোজা ভেঙে ফেলা জায়েজ আছে। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০৭)
৪. রোজা থাকার কারণে যদি জীবনযাপনের সামগ্রী উপার্জন করতে দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে তার জন্য রোজা ভেঙে ফেলার অনুমতি রয়েছে। তবে তা পরে কাজা করে নিতে হবে। তা-ও সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে এবং প্রতি রোজার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ দান করে ফিদিয়া আদায় করবে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)
৫. অনুরূপভাবে ফসল কর্তন করার ক্ষেত্রে। যদি রোজা থাকা অবস্থায় ফসল কর্তন করা সম্ভব না হয়। অন্যদিকে দেরি হলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে রোজা না রাখার অনুমতি আছে এবং অন্য সময় কাজা করে নেবে। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)
যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়
১.নাকে বা কানে ওষুধ ইনজেকশন করা।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।
৩. কুলির সময় গলা ব্যাথা।
৪. নারী স্পর্শ বা সংশ্লিষ্ট কারণে বীর্যপাত।
৫. খাদ্য বা খাদ্য হিসাবে বিবেচিত নয় এমন কিছু গিলে ফেলা।
৬. ইচ্ছাকৃতভাবে ধূপের ধোঁয়া নিঃশ্বাস নেওয়া।
৭. বিড়ি-সিগারেট খাওয়া।
৮. খেতে ভুলে গেলে আবার খেতে ইচ্ছে করে।
৯. সুবেহ সাদিকের পর খাওয়া।
১০. বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা সংযোগ নেই, সূর্যাস্তের আগে রোজা ভাঙছে।
১১. ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা।