রোজার কিছু মৌলিক আচার আছে। যা ফরজ বলে চিহ্নিত। সুস্থ-সবল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। কিন্তু শারীরিক অসমর্থতার কারণে সে এ দায়িত্ব থেকে আপাতভাবে মুক্তি পেতে পারে। এর প্রতিবিধানে রয়েছে কাজা ও কাফফারার বিধান। নিচে রোজার ফরজ ও শর্তগুলো দেওয়া হলোঃ-
রোজার ৩ ফরজ :
➖➖➖➖➖➖
১) নিয়ত করা
২) সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
৩) যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।
রোজা রাখার শর্ত :
➖➖➖➖➖➖
বান্দার প্রতি রোজা ফরজ হওয়ার জন্য যে শর্তগুলো থাকা আবশ্যক তা হলো-
১) মুসলিম হওয়া। অমুসলিমের ওপর রোজার বিধান প্রযোজ্য নয়;;
২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর রোজা ফরজ নয়;
৩) জ্ঞানবান হওয়া। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বিকৃত (পাগল) লোকের ওপর রোজা ফরজ নয়;
৪) নারীদের হায়েয তথা ঋতুস্রাব এবং নিফাস (সন্তান জন্মদান পরবর্তী সময়) থেকে পবিত্র থাকা। কারণ নারীরা হাফেজ ও নিফাস চলাকালীন সময়ে অপবিত্র থাকে। আর অপবিত্র থাকা অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। নারীদের হায়েজ ও নিফাসের কারণে যে কয়টা রোজা ভঙ্গ হবে; ওই রোজাগুলো পরবর্তী সময়ে আদায় করে নিতে হবে। উত্তম হলো পরবর্তী বছর রমজান আসার আগেই তা আদায় করা।
৫) রোজা পালনে সামর্থবান হওয়া।
মুসাফির না হওয়া। কারণ মুসাফিরের জন্য রোজা ফরজ নয়।





Users Today : 30
Users Yesterday : 357
This Month : 30
This Year : 171901
Total Users : 287764
Views Today : 4730
Total views : 3412293