ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】
৫৬ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন
📌পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন
৩১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : ” مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَمَثَّلُ بِي ” .
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।[১]
[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৯০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১৯৩; দারেমী, হা/২১৮৫; জামেউস সগীর, হা/১১২০২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
শয়তান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রূপ ধারণ করতে পারে না
৩১৪
دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالا : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ أَبِي حُصَينٍ ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي , فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَصَوَّرُ ” أَوْ قَالَ : ” لا يَتَشَبَّهُ بِي ” .
আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার স্বরূপ ধারণ করতে পারে না।[১]
[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩০৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ , يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي , فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَمَثَّلُنِي ” ، قَالَ أَبِي : فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ ، فَقُلْتُ : قَدْ رَأَيْتُهُ ، فَذَكَرْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ , فَقُلْتُ : شَبَّهْتُهُ بِهِ ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : ” إِنَّهُ كَانَ يُشْبِهُهُ ” .
আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।
(আসিম বর্ণনা করেন) আমার পিতা কুলায়ব বলেন, আমি এ হাদীস ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-এর নিকট বর্ণনা করলাম এবং বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখেছি। তখন হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) এর কথা আমার স্মরণ হলে আমি বললাম, স্বপ্নের আকৃতিকে হাসানের আকৃতির সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ পেলাম। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাদৃশই ছিলেন।[১]
[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৮৯; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮১৮৬; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/২৬১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالا : حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ وَكَانَ يَكْتُبُ الْمَصَاحِفَ ، قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ زَمَنَ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : فَقُلْتُ لابْنِ عَبَّاسٍ : إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ , يَقُولُ : ” إِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَتَشَبَّهَ بِي ، فَمَنْ رَآنِي فِي النَّوْمِ فَقَدْ رَآنِي ” ، هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَنْعَتَ هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّوْمِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، أَنْعَتُ لَكَ رَجُلا بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ ، جِسْمُهُ وَلَحْمُهُ أَسْمَرُ إِلَى الْبَيَاضِ ، أَكْحَلُ الْعَيْنَيْنِ ، حَسَنُ الضَّحِكِ ، جَمِيلُ دَوَائِرِ الْوَجْهِ ، مَلأَتْ لِحْيَتُهُ مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ ، قَدْ مَلأَتْ نَحْرَهُ ، قَالَ عَوْفٌ : وَلا أَدْرِي مَا كَانَ مَعَ هَذَا النَّعْتِ , فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : لَوْ رَأَيْتَهُ فِي الْيَقَظَةِ مَا اسْتَطَعْتَ أَنْ تَنْعَتَهُ فَوْقَ هَذَا
ইয়াযীদ আল ফারিসী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখলাম। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) তখনও জীবিত ছিলেন। আমি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-কে বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখেছি। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেন, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। যে আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে প্রকৃতপক্ষেই আমাকেই দেখে। [ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন], তুমি যাকে স্বপ্নে দেখছ তাঁর কিছু বিবরণ দিতে পার ? আমি বললা, হ্যাঁ। তাঁর দেহাকৃতি মধ্যম আকারের, গায়ের রং গৌর, তাতে সাদা অংশ বেশী। সুরমা মাখা চোখ, প্রফুল্ল মুখ, হাস্যোজ্জল চেহারা, মুখভর্তি দাড়ি যা বুক পর্যন্ত পরিপূর্ণ ছিল। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন, তুমি যদি জাগ্রত অবস্থায় তাঁকে দেখতে, তাহলেও এর চেয়ে বেশী বলতে সক্ষম হতে না।[১]
[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪১০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩২৪৬৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ ، عَنْ عَمِّهِ ، قَالَ : قَالَ أَبُو سَلَمَةَ : قَالَ أَبُو قَتَادَةَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَنْ رَآنِي , يَعْنِي فِي النَّوْمِ , فَقَدْ رَأَى الْحَقَّ ” .
আবু কাতাদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে আমাকে দেখল, সে সত্যকেই দেখল। অর্থ্যাৎ সে আমাকেই দেখল।[১]
[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৪৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬০৫১; দারেমী, হা/২১৪০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩২৮৭; জামেউস সগীর, হা/১১১৯৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
মুমিনের সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতের ৪৬ ভাগের ১ ভাগ
৩১৮
عَنْ أَنَسٍ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : ” مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَخَيَّلُ بِي ” .
وَقَالَ : ” وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ” .
আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ঘুমের অবস্থায় আমাকে দেখল, সে আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, মুমিনের সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতে ৪৬ ভাগের এক ভাগ।[১]
[১] মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১৩; সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৪৬; আবু দাউদ, হা/৫০২০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৭৪; জামেউস সগীর হা/৫৮৩৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبِي ، يَقُولُ : قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ : ” إِذَا ابْتُلِيتَ بِالْقَضَاءِ فَعَلَيْكَ بِالأَثَرِ ” .
মুহাম্মদ ইবনে আলী থেকে বর্ণিতঃ
আমার আব্বাকে বলতে শুনেছি, তোমাকে যখন বিচারকের পদে অভিষিক্ত করা হয়, তখন রিওয়ায়াতের অনুসরণ করার চেষ্টা করো।[১]
[১] আল মাজালিসাতু ওয়া জাওয়াহিরুল ইলম, হা/৩২৬
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ ، قَالَ : ” هَذَا الْحَدِيثُ دِينٌ ، فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأَخُذُونَ دِينَكُمْ ” .
ইবনে সীরীন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাদীস শিক্ষা করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তা শিক্ষার আগে একটি বিচার্য বিষয় হলো, তুমি দেখে নাও যে, কার কাছ থেকে এ দ্বীন শিক্ষা করছ।[১]
[১] সহীহ মুসলিম, হা/২৬; দারেমী, হা/৪২৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস