রাসুলে করীম (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) -এর চাচা হযরত আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) -এর নিকট ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আসলাম। কারণ আমি হুযুর করীম (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) -এর বংশ বুনিয়াদ সম্পর্কে বিরুপ কিছু মন্তব্য শুনেছি। [তা নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে অবহিত করি] তখন হুযুর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) মিম্বরে আরোহণ করেন (বরকতময় ভাষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে) অতঃপর তিনি সাহাবা কেরামগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি কে?” উত্তরে তাঁরা বলেন, “আপনি আল্লাহর রাসুল” তখন হুযুর আকরাম (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এরশাদ করেন, “আমি আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মানব-দানব সবই সৃষ্টি করেন। এতে আমাকে উত্তম পক্ষের (অর্থাৎ মানবজাতি) মধ্যে সৃষ্টিক করেন। অতঃপর তাদের (মানবজাতি)-কে দু’সম্প্রদায়ে বিভক্ত করেন (অর্থাৎ আরবী ও অনারবী)এতেও আমাকে উত্তম সম্প্রদায়ে (আরবীয়) সৃষ্টি করেন। অতঃপর আরব জাতিকে অনেক গোত্রে বিভক্ত করেন আর আমাকে গোত্রের দিক দিয়ে উত্তম গোত্রে (কোরাইশ) সৃষ্টি করেন। তারপর তাদেরকে (কোরাইশ) বিভিন্ন উপগোত্রে ভাগ করেন। আর আমাকে উপগোত্রের দিক দিয়ে উত্তম উপগোত্রে (বনী হাশেম) সৃষ্টি করেন। সুতরাং আমি তাদের মধ্যে সত্তাগত, বংশগত ও গোত্রগত দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ।”
[তিরমিযী, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা নং-২০১; মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং-৫১৩]
[অন্য সূত্রে বর্ণীত এই সম্পর্কিত আরও হাদীসের জন্য দেখুন জামে তীরমিযী ২য় খন্ড ২০১ পৃঃ, মুসনাদে ইমাম আহমদ ১ম খন্ড ৯ পৃঃ, দালায়েলুল নবুওত বায়হাকী ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ, কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ] রাসুলের জীবদ্দশায় ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করেছেন।