রবের দেয়া ঈদের তোহফা!

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সুনানে ইবন মাজাহ’র বর্ণনা। আক্বা কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান– ‘যে ঈদ-উল-ফিতর এর রাত অর্থাৎ ঈদের আগে রমাদ্বান এর শেষ রাতে, সাওয়াব লাভের আশায় কিয়াম করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন মাক্বাম দান করবেন, তার অন্তর ওই জীবিত থাকবে যেদিন মানুষের অন্তরসমূহ মরে যাবে।’ আল্লাহু আকবার!

এই তো সুযোগ মৃত অন্তরকে জীবিত করার। আল্লাহ তায়ালা রমাদ্বানকে পাঠিয়েছেন আমাদেরকে পবিত্র করতে। কিন্তু কেটে গেল রমাদ্বান অলসতায়। আল্লাহর মেহমানকে গুরুত্ব দিতে পারলাম না। গুণাহ থেকে ফিরে আসা হলো না। আল্লাহ তায়ালার করুণার দ্বার তারপরও বন্ধ হয় নি। দান করলেন লাইলাতুল ক্বদর। কিন্তু আফসোস! একেও কাটালাম উদাসীনতায়।

হাদীসে মোবারাকার সারমর্ম অনুযায়ী রয়ে গেলাম হতভাগ্যদের দলে। কিন্তু আমার রব এতই দয়াবান, তিনি এখনো সুযোগকে ছিনিয়ে নেন নি। চাঁদ রাত দিয়েছেন। যাকে লাইলাতুল জাইযাও বলা হয়। অর্থাৎ উপহার এর রাত। ধরে নিন, আপনার রবের পক্ষ থেকে ঈদের তোহফা। সে ব্যক্তি কতোই না হতভাগা, যে রবের দেয়া তোহফাকেও হাতছাড়া করে ফেলে।

বাচ্চারা যখন জানে অমুক আসলে ঈদের সালামি পাব আমরা, তখন সে ব্যক্তি আসার আগেই বাচ্চারা উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। যে আসে না তখনও, সে সেই সুযোগটা থেকে মেহরুম রয়ে যায়। এর চেয়ে বড় সুযোগ আমাদের জন্য কি? আল্লাহ তায়ালা’র পক্ষ থেকে ঈদের তোহফা আসছে। দুনিয়া-আখিরাতে অন্তর জীবিত করার সুযোগ আসছে।

এই সময়টাকে আমরা বন্ধুদের সাথে অনর্থক আড্ডা, শপিং মলে ঘুরে, রাত-বিরেতে চৌরাস্তায় আড্ডা দিয়ে, হাসি-তামাশা করে– নষ্ট করে না দেই। চাঁদ রাত কাটুক ইবাদতের মাধ্যমে। নেকীর বাহার ছড়িয়ে যাক আমাদের অন্তরে। হয়তো এটাই সুযোগ আমাদের হতভাগাদের তালিকা হতে, নেককার’দের তালিকাভুক্ত হওয়ার।

‘রবের দেয়া ঈদের তোহফা’

_স্বাধীন আহমেদ আত্তারী

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment