ইইজি স্ক্যান চলাকালীন মারা যান পেশেন্ট।
পেশেন্টের বয়স ৮৭ বছর। মৃগী রোগে আক্রান্ত। চলছিল ইলেকট্রো-এন-সেফালোগ্রাফি বা ইইজি। স্ক্যান চলা অবস্থায়ই হার্ট-অ্যাটাক করেন পেশেন্ট। মৃত্যু হয় তার। ৯০০ সেকেন্ড ইইজি স্ক্যানিং চলে। তবে মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য আচরণ দেখা যায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে থেকে পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত।
দেখা যায়, মৃত্যুর ঠিক আগে ও পড়ে মস্তিষ্কে গামা তরঙ্গ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যখন স্বপ্ন দেখি, পুরনো স্মৃতি মনে করি কিংবা গভীর মনযোগ দিয়ে কিছু পড়ি বা নামাজ পড়ি, সে সময় মস্তিষ্কে ৩০-১০০ হার্জের বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। এই তরঙ্গকে গামা তরঙ্গ বলে।
এটিকে আবার ফিজিক্সের গামা রশ্মি ভাববেন না। ইইজি পরীক্ষায় গামা তরঙ্গ ধরা পড়ে।
পরীক্ষাটির নেতৃত্বে ছিলেন লুইভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জন ড. আজমাল জিমার। গবেষণাপত্রটি ফ্রন্টায়ার্স ইন এজিং নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।
তথ্য: বিজ্ঞানপ্রিয়।
বিজ্ঞান বলছে মৃত্যুর ঠিক আগে ও পরে (হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার ±৩০ সেকেন্ডের মধ্যে) মস্তিষ্কে গামা তরঙ্গ বৃদ্ধি পায়।গামা তরঙ্গ মূলত গভীর মনোযোগ, স্মৃতি রিভিউ, স্বপ্নদ্রষ্টা অবস্থার সময় সক্রিয় হয়।
অন্যদিক ইসলাম বলে,
ইমাম ইবনু কাসীর (রহ.) বলেন:
“মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষের সমস্ত কাজের চিত্র তার সামনে আসে, এবং সে বুঝতে পারে তার অবস্থান কী হতে যাচ্ছে।”
(তাফসীর ইবনু কাসীর, সূরা ক্বাফের ব্যাখ্যা)
ইমাম গাযালী (রহ.) বলেন:
“মৃত্যুর সময় মানুষ তার পাপ ও সৎকর্মের স্পষ্ট চিত্র দেখতে পায়। তার মস্তিষ্ক ও মন অতিমাত্রায় সচেতন ও জাগ্রত হয়।”
©️ (ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন)






Users Today : 418
Users Yesterday : 759
This Month : 5452
This Year : 177323
Total Users : 293186
Views Today : 9990
Total views : 3465101