মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে’।
ছেলেটা বললো, ‘কি কাজ?’
– ‘এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও’।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?’
ছেলেটা বললো, ‘একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই’।
বাবা বললেন, ‘এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও’।
ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, ‘কি বললো ওরা?’
– ‘ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?’
বাবা হাসলেন। বললেন, ‘এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই’শতো বছর আগের’।
ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘কি বললো ওরা?’
– ‘ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায় ! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে’।
ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘আমার সন্তান! আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুমি তাদের কাছেই যাবে যারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে…’।
সবার সাথে শেয়ার করুন। #সংগ্রহীত