মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (৪র্থ পর্ব)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

হাদিস – ১২৩

আব্দুল্লাহ রা: এর কাছে এক লোক এসে জিজ্ঞাসা করলেন:

: আমরা কখন পথ ভ্রস্ট হবো?

: যখন তোমাদের এমন আমির হবে যাদের অনুসরন করলে তারা তোমাদের পথভ্রস্ট করবে। এবং তাদের আবাধ্যতা করলে তারা তোমাদের কতল করবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٣

حدثنا وكيع عن سفيان عن أبي حصين عن عبد الرحمن بن بشر قال : جاء

رجل إلى عبد الله فقال : متى أضل ؟ فقال : إذا كان عليك أمراء إن أطعتهم أضلوك ، وإن عصيتم قتلوك.

হাদিস – ১২৪

আবু হুরাইরা রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

: আল্লার কাছে আশ্রয় চাও, নেতৃত্বে সত্তর থেকে। আর অল্প বয়সী ছেলেদের আমির হওয়া থেকে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৪ ]

___________________________________

সত্তর: বছর বয়স্ক।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٤

حدثنا وكيع عن كامل أبي العلاء عن أبي صالح عن أبي هريرة قال : قال رسول الله (ص) : (تعوذوا بالله من رأس السبعين ومن إمرة الصبيان).

إمرة الصيبان : وراثة صغار السن الملك عن آبائهم.

হাদিস – ১২৫

আবু হুরাইরা রা: বলেছেন:

আরবদের ধ্বংস নিকটবর্তি এই খারাপ জিনিসটার কারনে — যুবক ছেলেদের আমির হওয়া।

যদি তাদের আনুগত্য করে তবে তাদের আগুনে প্রবেশ করিয়ে দেবে।

আর যদি তাদের বিরোধিতা করে তবে তাদের গলা কেটে ফেলবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٥

حدثنا غندر عن شعبة عن سماك عن أبي ربيع عن أبي هريرة قال ويل للعرب من شر قد اقترب : إمارة الصبيان ، إن أطاعوهم أدخلوهم النار ، وإن عصوهم ضربوا أعناقهم.

হাদিস – ১২৬

উবাদহ ইবনে সাবিত লোকদের বলেছেন:

: আমি যাকে ভালোবাসি তার জন্য আমি কামনা করি মালে স্বল্পতা আর দ্রুত মৃত্যু।

লোকেরা বললো,

: ভালোবাসার পাত্রের জন্য এটা কি ধরনের আকাংখা?

উনি বললেন,

: আমি ভয় পাই যে, যদি তোমাদের হায়াত দীর্ঘ হয় তবে, তোমরা এমন লোক পাবে, যাদের অনুসরন করলে তোমরা আগুনে প্রবেশ করবে, আর বিরোধিতা করলে তোমাদের কতল করা হবে।

: আমাদের বলুন তারা কে? তাদের চোখ আমরা কানা করে দেবো, অথবা তাদের মুখে মাটি মাখিয়ে দেবো।

: তুমি তাদের পেলে, তারাই তোমার চোখ কানা করে দেবে, আর তোমাদের মুখে মাটি লাগিয়ে দেবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٦

حدثنا غندر عن شعبة عن الحكم قال : سمعت ميمون بن أبي حبيب يحدث عن عبادة بن الصامت قال ، أتمني لحبيبي أن يقل ماله أو يعجل موته ، فقالوا : ما رأينا متمنيا محبا لحبيبه ، فقال : أخشي إن يدرككم أمراء ، إن أطعتموهم أدخلوكم النار ، وإن عصيتموهم قتلوكم ، فقال رجل : أخبرنا من هم حتى نفقأ أعينهم ، قال شعبة أو نحسو في وجوههم التراب ، فقال : عسى أن تدركوهم فيكونوا هم الذين يفقأون عينك ويحثون في وجهك التراب.

হাদিস – ১২৭

হুজাইফা রা: বলেছেন,

ফিতনার কাছে যে কেউ গেলে আমি তার ব্যপারে ভয় পাই।

শুধু মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা: ছাড়া।

আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ উনাকে বলেছেন: ফিতনা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٧

حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا هشام عن محمد قال : قال حذيفة : ما أحد تدركه الفتنة إلا وأنا أخافها عليه إلا محمد بن مسلمة ، فإني سمعت رسول الله (ص) يقول له : (لا تضرك الفتنة).

হাদিস – ১২৮

আলী রা: কিছু লোককে পাঠালেন মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা: কে উনার কাছে নিয়ে আসার জন্য।

তাদের বলে দিলেন, যদি সে না আসতে চায় তবে তাকে বহন করে নিয়ে আসবে।

উনি আসতে অস্বিকৃতি জানালেন।

আগন্তুকরা বললেন, আমাদের হুকুম করা হয়েছে যদি উনার কাছে আপনি না যেতে চান তবে, আপনাকে বহন করে উনার কাছে নিয়ে যেতে।

উনি জবাব দিলেন, তাহলে তোমরা ফিরে যাও এবং উনাকে বলবে:

আপনার চাচাতো ভাই আর আমার বন্ধু আমাকে জানিয়েছেন,

শিগ্রই ফিতনা, বিভক্তি ও বিতর্ক দেখা দিবে।

তখন তুমি বাসায় বসে থাকবে এবং তোমার তলোয়ার ভেঙ্গে ফেলবে।

যতক্ষন না তোমার উপর মৃত্যুর লিখনি চলে আসে, অথবা কোনো অপরাধীর হাত আসে।

তাই আল্লাহকে ভয় কর হে আলী। এবং তুমি সেই অপরাধীর হাত হয়ো না।

তারা ফিরে এসে আলী রা: কে এই কথা বললো।

তিনি বললেন: তার জন্য দোয়া করো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٨

حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا حماد بن سلمة عن علي بن زيد أن عليا أرسل إلى محمد بن مسلمة أن يأتيه ، فأرسل إليه وقال : إن هو لم يأتني فاحملوه ، فأتوه فأبى أن يأتيه ، فقالوا : إنا قد أمرنا إن لم تأته أن نحملك حتى نأتيه بك ، قال : ارجعوا إليه فقولوا له : إن ابن عمك وخليلي عهد إلي أنه ستكون فتنة وفرقة واختلاف ، فإذا كان ذلك فاجلس في بيتك واكسر سيفك حتي تأتيك منية قاضية أو يد خاطية ، فاتق الله يا علي ولا تكن تلك اليد الخاطية ، فأتوه فأخبروه فقال : دعوه.

হাদিস – ১২৯

হুজাইফা রা: বলেছেন,

: ফিতনা হবে। এর পর তৌবা ও একতাবদ্ধতা হবে। এর পর আবার ফিতনা হবে। এর পর আর তৌবা বা একতাবদ্ধতা হবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٩

حدثنا وكيع عن سفيان عن أبي عاصم عن أشياخ قالوا : قال حذيفة تكون فتنة ثم يكون بعدها توبة وجماعة ، ثم تكون فتنة لا تكون بعدها توبة ولا جماعة.

হাদিস – ১৩০

আলী রা: বলেছেন,

: যখন এক শত পয়তাল্লিশ বছর হবে তখন সমূদ্র তখন সমূদ্রের পাশের এলাকা নিষিদ্ধ করা হবে। আর যখন একশত পঞ্চাশ বছর হবে, তখন ডাঙ্গার পাশের এলাকা নিষিদ্ধ করা হবে। আর যখন একশত ষাট বছর হবে তখন ভুমিধ্বস, আকৃতি বিকৃতি আর কম্পন হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٠

حدثنا وكيع عن سوار بن ميمون قال حدثني شيخ لنا من عبد القيس يقال له بشير بن غوث قال : سمعت عليا يقول : إذا كانت سنة خمس وأربعين ومائة منع البحر جانبه ، وإذا كانت سنة خمسين ومائة منع البر جانبه ، وإذا كانت سنة ستين ومائة ظهر الخسف والمسخ والرجفة.

হাদিস – ১৩১

সাইদ বিন জুবাইর রা: বলেছেন:

ফিতনার সময় আমার সাথে এক সংসার ত্যগির দেখা হলো। উনি বললেন,

: হে সাঈদ বিন জুবাইর। কে আল্লাহর ইবাদত করে আর কে তাগুত্বের ইবাদত করে সেটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤١

حدثنا سفيان عن أبي سنان عن سعيد بن جبير قال : لقيني راهب في الفتنة فقال : يا سعيد بن جبير ! تبين من يعبد الله أو يعبد الطاغوت.

হাদিস – ১৩২

আবু হুরাইরা রা: বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

যে আনুগত্য পরিহার করলো

আর জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো

এর পর মারা গেলো

সে যেন জাহেলিয়াতের উপর মরলো।

আর যে অন্ধ পতাকার নিচে বের হলো

নিজের গোত্রের পক্ষে রাগাহ্নিত অবস্থায়

বা নিজ গোত্রেকে সাহায্য করলো

বা নিজ গোত্রের দিকে আহ্বান করলো

এবং সে নিহত হলো, সে জাহেলিয়াতের উপর মরলো।

আর যে আমার উম্মতের বিরুদ্ধে বের হলো

ভাল মন্দ লোকদেরকে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য

এবং মু’মিনদেরকে সে পৃথক করলো না

এবং কোনো চুক্তিকে সে সম্মান করলো না

সে আমার কেউ না, আর আমিও তার কেউ না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٢

حدثنا يحيى بن آدم قال حدثنا جرير بن حازم قال حدثنا غيلان بن جرير عن أبي قيس بن رباح القيسي قال : سمعت أبا هريرة يحدث عن رسول الله (ص) أنه قال : (من ترك الطاعة وفارق الجماعة فمات فميتة جاهلية ، ومن خرج تحت راية عمية يغضب لعصبته أو ينصر عصبته أو يدعو إلى عصبته فقتل فقتلة جاهلية ، ومن خرج على أمتي يضرب برها وفاجرها لا يتحاشى من مؤمنها ولا يفي لذي عهد فليس مني ولست منه).

হাদিস – ১৩৩

আবু হুরাইরা রা: আবু কাতাদা রা: কে বলছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

এক লোক রুকন আর মাকামের মাঝে বায়াত নিবে।

এবই এই ঘর তারা বংশ ছাড়া অন্য কারো জন্য হালাল করা হবে না।

এবং যখন সেটা হালাল করা হবে, তখন অমাকে আরবদের ধ্বংশের কথা আর জিজ্ঞাসা করবেন না।

এর পর হাবশিরা আসবে এবং এটা ধ্বংশস্তুবে পরিনত করবে।

এর পর এই শহর আর কখনোই আবাদ হবে না

হাবশিরাই এই ঘরের ধ্বন-সম্পদকে বাহির করেব।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٣

حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا ابن أبي ذئب عن سعيد بن سمعان قال : سمعت أبا هريرة يخبر أبا قتادة عن النبي (ص) قال : (يبايع لرجل بين الركن والمقام ، ولن يستحل البيت إلا أهله ، فإذا استحلوه فلا تسأل عن هلكة العرب ثم تأتي الحبشة فيخربون خرابا لا يعمر بعده ابدا وهم الذين يستخرجون كنزه).

والذي بويع له بين الركن والمقام هو عبد الله بن الزبير.

হাদিস – ১৩৫

আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা: বলেছেন,

মূর্তির চারদিকে মহিলাদের নিতম্ভ ঘুরার পুর্ব পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٥

حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان عن الاعمش عن خيثمة عن عبد الله بن عمرو قال : لا تقوم الساعة حتى تظطرب أليات النساء حول الاصنام.

أليات : ج ألية وهى العجيزة ، والمقصود أن تعود الوثنية وتطوف النساء باالاصنام وقد تكون

الصنام ما نراه في أيامنا من تعلق النساء بنجوم السينما والغناء وأهل الغواية والضلالة وأشباههم.

হাদিস – ১৩৭

হুজাইফা বিন ইয়ামান রা: বলেছেন,

ফিতনা হবে,

মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।

এর পর আরেকটা ফিতনা হবে

মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।

এর পর আরেকটা ফিতনা হবে

মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।

এর পর পঞ্চম ফিতনা হবে, এর আঘাত হবে প্রচন্ড। পৃথিবীতে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়বে যেভাবে পানি ছড়িয়ে পড়ে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٧

حدثنا عفان قال حدثنا حمادبن سلمة قال أخبرنا عاصم عن ذر عن حذيفة ابن اليمان قال : تكون فتنة فيقوم لها رجال فيضربون خيشومها حتى تذهب ، ثم تكون أخرى فيقوم لها رجال فيضربون خيشومها حتى تذهب ، ثم تكون أخرى فيقوم لها رجال فيضربون خيشومها حتى تذهب ، ثم تكون أخرى فيقوم لها رجال فيضربون خيشومها حتى تذهب ، ثم تكون الخامسة دهماء مجللة تنبثق في الارض كما ينبثق الماء.

الخيشوم : هو الانف والمقصود بخيشوم الفتنة رأسها وهنا استعمال الجزء وهو الخيشوم كناية عن الكل كتسمية الاسبوع جمعة والجمعة أحد الايام.

হাদিস – ১৩৮

আবি মিজলাজ বলেছেন, এক লোক বলছে,

হে বনু তামিমের বংশধর! উমর বিন খাত্তাব রা: তাদের এক বছর দান করা নিষেধ করে দিয়েছিলেন, এর পরের বছর থেকে উনি নিজের থেকে দান করা আরম্ভ করেন।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٨

حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان عن عاصم عن أبي مجلز قال : قال رجل : يا آل بني تميم ، فحرمهم عمر بن الخطاب عطاء هم سنة ثم أعطاهم إياه من العام المقبل.

لان هذا النداء فيه شبهة دعوى الجاهلية والعصبية القبلية.

وأعطاهم إياه : أي أن منعه إنما كان تأديبا له ووعظا لكي لا يعودوا لمثلها.

হাদিস – ১৩৯

আলী ইবনে আবি তালিব রা: বলেছেন,

তোমাদের মাঝে যে সেই জামানা পাবে সে যেন বর্শা দিয়ে আঘাত না করে।

বা তলোয়ার দিয়ে আঘাত না করে।

বা পাথর ছুড়ে না মারে।

বরং সবর করবে, কারন শেষ পুরষ্কার মুত্তাকিদের।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৪৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٤٩

حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان عن سلمة بن كهيل عن أبي إدريس عن المسيب بن بجينة عن علي بن أبي طالب قال : من أدرك ذلك الزمان فلا يطعن برمح ولا يضرب بسيف ولا يرم بحجر ، واصبروا فإن العاقبة للمتقين.

হাদিস – ২৫৬

সাল্লাম বিন শুরাহবিল বলেছেন,

আবি হারথামা বলেছেন,

উনার ভেড়াটা মল ত্যাগ করছিলো। এটা দেখে উনি উনার দাসীকে বললেন,

হে জারদা, এই গোবর গুলো আমাকে একটা হাদিসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যেটা আমি আমিরুল মু’মিনিনের কাছ থেকে শুনেছিলাম। আমি তখন উনার সাথে কারবালায় ছিলাম। আমরা একটা গাছের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম যার নিচে হরিনের গোবর ছিলো। উনি সেখান থেকে এক মুঠ তুলে নিয়ে এর গন্ধ শুকলেন এবং বললেন,

এর পিঠ থেকে সত্তর হাজার লোক হাশরের ময়দানে উঠে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৬৬৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٦٦٦

حدثنا معاوية قال حدثنا الاعمش عن سلام أبي شرحبيل عن أبي هرثمة قال : بعرت شاة له فقال لجارية له : يا جرداء ، لقد أذكرني هذا البعر حديثا سمعته من أمير المؤمنين وكنت معه بكربلاء فمر بشجرة تحتها بعر غزلان ، فأخذه منه قبضة فشمها ، ثم قال : يحشر من هذا الظهر سبعون ألفا يدخلون الجنة بغير حساب.

হাদিস – ৫১২

আতা বিন সায়িব উনার পিতা থেকে বলছেন,

আব্দুল্লাহ বিন আমর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছে?”

বললাম, “কুফা থেকে।”

উনি বললেন, “যার হাতে আমার প্রান! তোমরা ঐ জায়গা থেকে আরব ভুমিকে চালাবে। কাফিজ বা দিরহামের মালিক হতে পারবে না। এর পর তোমাদের সাহায্য করা হবে না।”

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৯১৭ ]

___________________________________

কাফিজ খাদ্যশস্যের মাপ। কাফিজ দিরহাম পাবে না ব্যখ্যা করা হয়েছে: খাদ্য ও অর্থ পাবে না। অন্য হাদিসে কি কারনে এবং কখন পাবে না সে বর্ননা আছে।

এর বিভিন্ন ব্যখ্যার মাঝে আছে, ওমর রা: এর যুগে কাফিজ দিরহাম বন্ধ করে নতুন মাপ চালু করা করা থেকে আরম্ভ করে সম্প্রতি ইরাকের উপর জাতিসংঘের অবরোধ।

এই অবরোধ যদি বুঝিয়ে থাকে তবে ধরে নিতে পারি এখন থেকে ইরাকিরা আর কোনো সাহায্য পাবে না।

আল্লাহ ভাল জানেন।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٩١٧

عفان قال حدثنا حماد بن سلمة عن عطاء بن السائب عن أبيه قال : قال لي

عبد الله بن عمرو : ممن أنت ؟ قلت : من أهل الكوفة ، قال : والذي نفسي في يده ! لتساقن منها إلى أرض العرب لا تملكون قفيزا ولا درهما ثم لا ينجيكم.

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment