মুজতাহিদের প্রয়োজন কেন ? হাদিসের জ্ঞান না রেখে হাদিস বর্ননা করা বিপদজনকঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন –

“তোমরা যদি না জেনে থাক তবে আহলে যিকিরদেরকে জিজ্ঞাসা কর ।” (সূরা নাহল : আয়াত ৪৩ )


মুফাসসিরীনে কেরাম বলেন উক্ত আয়াতে আহলে যিকির দ্বারা উদ্দেশ্য হল ওলামায়ে কেরাম ।আর উক্ত হুকুমটি হল সাধারণ মানুষের জন্য ।




নিম্নের আয়াতটিতে এদিকেই ইশারা করা হয়েছে –

“অচিরেই আমি আপনার উপর কিছু ভারী কথা অবতীর্ণ করব ।”(সূরা মুজ্জাম্মিলঃ আয়াত – ৫)


অনুরূপভাবে হাদীস থেকে হুকুম আহকাম বের করাও অত্যন্ত কঠিন কাজ ।সাধারণ মানুষের জন্য তা একেবারেই অসম্ভব ।কেননা মুহাদ্দিসীনদের দায়িত্ব হল শুধুমাত্র হাদীস জমা করে দেয়া ।তাঁরা আমলযোগ্য হাদীস ও আমালবিহীন হাদীসের মধ্যে কোন পার্থক্য করেন না ।তাই হাদীসের কিতাবসমূহে সর্বপ্রকার হাদীস বিদ্যমান থাকে । যেমনঃ


(১)রহিত হাদীসঃ


হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন কুকুর তোমাদের কারো পাত্রে পানি পান করে সে যেন উক্ত পাত্রকে সাতবার ধুয়ে নেয় ।(বুখারী ,হাদীস নং -১৭২)


(২)মারজূহ হাদীসঃ


হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে ঐ পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যা মরু ভূমিতে নিচু জায়গায় জমে থাকে এবং যেখানে চতুস্পদ জন্ত ও হিংস্র প্রাণী আসা যাওয়া করে ।তিনি বললেন পানি যখন দুই মটকা পরিমাণ হয় তখন তা আর নাপাক হয় না ।(আবু দাউদঃ হাদীস নং ৬৩)


(৩) নির্দিষ্ট স্থানের জন্য খাস হাদীসঃ


আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে আমরা কি বুজাআহ নামক কুয়া থেকে ওজু করব ?আর তা এমন একটি কুয়া যেখানে মহিলাদের হায়েজের নেকড়া ,মৃত কুকুরসমূহ এবং নাপাক বস্তসমূহ ফেলা হয় ।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন পানি পবিত্র ।তাকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না । (নাসাঈ শরীফঃ হাদীস নং ৩২৬)


(৪) নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য খাছঃ


হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যখন তোমাদের কেউ মসজিদে থাকে আর সে তার পায়ুপথে বায়ু অনুভব করে সে ততক্ষণ পর্যন্ত (ওজুর নিয়তে) বাইরে বের হবে না যতক্ষণ না সে শব্দ শুনে বা গন্ধ পায় । (তিরমিজী শরীফঃ হাদীস নং – ৭৫ )


হাদীস থেকে বুঝা যায় কারো বায়ু নির্গমন হওয়া সত্ত্বেও যদি সে শব্দ বা গন্ধ না পায় তবে তার ওজু ভঙ্গ হবে না ।হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ ।কিন্তু এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না ।খাস কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।শুধু হাদীস পড়ে এটা বোঝা যায় না ।


(৫) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাছঃ


ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কুকুরকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন ।(মুসলিম শরীফঃ হাদীস নং – ৩৯৮৮ )

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment