মিলাদুন্নবী পালনে কোনো ফায়দা আছে কি?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মিলাদুন্নবীর দিন। আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে তাশরিফ নিয়ে আসলেন। এই খবর আবু লাহাব পেল তার এক দাসীর মাধ্যমে। ভাতিজা দুনিয়াতে এসেছে— এই খবর শুনে আনন্দে হৃদয়টা ভরে ওঠল। সাথে সাথে আঙ্গুল ইশারা করে সেই দাসী কে আজাদ করে দিল।

জানা আছে নিশ্চয়ই, সে সময় দাস-দাসীদের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রচলন ছিল। সুতরাং গোলাম খুবই দামী সম্পদ। তাদেরকে আজাদ করে দেয়া মানে অনেক কিছু। আবু লাহাব খুশি উদযাপন করতে গিয়ে দাসীকে মুক্ত করে দিল। এখন বলুন— আবু লাহাব কি জান্নাতি? নিশ্চয়ই না। তাহলে রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে খুশি হয়ে এত দামী সম্পদ দিয়েও কিন্তু সে জান্নাত পেল না। আর আপনি তো জিলাপি বিতরণ করেন মিঞা! সুতরাং এসব পালনের কোনো মানে হয় না!’ —এতটুকু হয়তো এক শ্রেণির মানুষের যুক্তি।

আসুন আমি আপনাকে এর পরের গল্প শুনাই। আসুন এমন ঘটনা শুনাই যা আপনাকে অবাক করে দিবে। আবু লাহাব সেই ব্যক্তি যে দুশমনে রাসূল ছিল। যার দুই হাত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে, কোরআনে সূরা পর্যন্ত নাজিল হয়েছে। যাকে অভিশপ্ত করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিটার কবরে সোমবারে ঘটে এক আশ্চর্য ঘটনা।

অর্থাৎ হুযুরের আগমনের দিন, তার কবরের আজাবকে হালকা করে দেয়া হয়। শুধু তাই নয় তার সেই আঙ্গুল থেকে বের হয় এক প্রকার স্বাদযুক্ত তরল পদার্থ। কেন জানেন? কারণ— সে হুযুরের আগমনের খুশি উদযাপন করতে গিয়ে দাসী কে মুক্ত করে দিয়েছিল। [১]

তাহলে, সেই প্রেক্ষিতে আমার বিশ্বাস— হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনকে উদযাপন করে যদি এক কাফের, অভিশপ্ত সপ্তাহে একদিন কবরের আজাব থেকে কিছুটা রেহাই পায়, তবে হুযুরের ওপর যারা ঈমান এনেছে। হুযুরের সেই গোলামরা তাঁর আগমনে খুশি উদযাপন করলে কেন রব তার প্রতিদান দিবেন না?

Reference:

[১] ফাতহুল বারি, ৯ম খন্ড, ১১৮ পৃষ্ঠা। জুরকানী শরীফ, ১ম খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠা।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment