হযরত আলি كَـرَّم اَلـلَّـهُ تَبَـارَكْ وَتـَعٰالى وَجْهَـهُ الْكَـرِيْـمُ এর পবিত্র নামের পূর্বে ‘মাওলা’ ব্যবহার করা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম’আহর একটা অন্যতম নিদর্শন। আহলে বায়তের অন্যতম প্রধান সদস্যকে ‘মাওলাইয়ত’ প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ ﷻ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং এর সত্যায়ন করেছেন সাহাবীরা ।
Mazar Of Imam Hussain عليه السلام
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন, যারা এ উপাধীটি ব্যবহারের বেলায় বিরোধিতা করেন তাদের নামের পূর্বে তারা নিজেই ‘মাওলানা’ বা ‘আমাদের মাওলা’ লিখে রেখেছেন। দেওবন্দিদের আলেমরা খুব ঘটা করেই নিজেদের আকাবিরের সাথে ‘মাওলানা’ লাগান অথচ অনেকে হযরত আলি رضي الله عنه এর বেলায় আপত্তি তোলেন। তখন উনাদের মনে প্রশ্নের অবতারণা হয়না। তখন বলেন এখানে আমরা ‘মাওলানা’ দিয়ে বন্ধু,নেতা এসব বুঝিয়েছি! শিয়াদের মতো শিরক বুঝাইনি। এখন সেটাই আমাদের জবাব যে হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে আহ্লুস সুন্নাহর অনুসারীরা ‘নেতা’, ‘অভিভাবক’ এবং ‘সাহায্যকারী’ হিসেবেই ‘মাওলা’ নামে আখ্যায়িত করে।
ক্বুরআনুল কারীম স্বয়ং হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে ‘সাহায্যকারী’ অর্থে মাওলা ঘোষণা করেছে। সুরা তাহরিমের চতুর্থ আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেন,
فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ ۖ…
অর্থ: অবশ্যই আল্লাহ হলেন তাঁর (ﷺ) সাহায্যকারি/মাওলা , এবং জিবরিল عليه السلام ও নেক ইমানওয়ালারাও তার মাওলা/সাহায্যকারি।[
তরজমা: কানযুল ইমান। আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রিদ্বা আলি খান মুহাদ্দিসে বেরেলভি রহ.]
বিখ্যাত তাফসিরে জালালাইন গ্রন্থে উল্লেখ আছে,{
مولاه – ناصره
— মাওলাহু অর্থাৎ তাঁর ﷺ সাহায্যকারী!
‘শরহুশ শিফা’ গ্রন্থে হাফিয মোল্লা আলি ক্বারি লিখেছেন,
{فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ}
الآية {مَوْلَاهُ} أي وليه يعني ناصره ومتوليه فيما أولاه
— [নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মাওলা] আয়াতের (ব্যাখ্যায় কাযি আয়ায বলেন) মাওলা মানে বন্ধু/ওয়ালি । অর্থাৎ (মোল্লা আলি ক্বারি বলেন), মাওলা মানে সাহায্যকারি এবং আল্লাহ উনার ﷺ সাহায্য করবেন যেরূপ আগেও করে এসেছেন।
ইমাম শিহাবউদ্দিন সাইয়্যেদ মাহমুদ আলুসিও ‘তফসিরে রূহুল মাআনি’ গ্রন্থে ‘মাওলা’ এর অর্থ ‘নাসির’ বা সাহায্যকারি নিয়েছেন।
সুতরাং বলা চলে আল্লাহ ﷻ খুলাফায়ে রাশেদুনকে ‘মাওলা’ ঘোষণা করেছেন কেননা,এই আয়াতে ‘নেক ইমানদার’ বলতে খুলাফায়ে রাশিদুনকে বুঝানো হয়েছে। পাশাপাশি হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর বিশেষ অন্তর্ভুক্তি কয়েকটা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়।
তাফসিরে ইবনে কাসীরে উল্লেখ আছে,(৮/১৮৭ DK)
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلّم في قوله تعالى: وَصالِحُ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ: «هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ
হাফিয ইবনু হাজার বলেন,
وَأَخْرَجَهُ الطَّبَرِيُّ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ هُوَ عَلي وَأخرجه بن مَرْدَوَيْهِ بِسَنَدَيْنِ ضَعِيفَيْنِ مِنْ حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ مَرْفُوعًا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ صَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَمَنْ طَرِيقِ أَبِي مَالِكٍ عَن بن عَبَّاسٍ مِثْلَهُ مَوْقُوفًا وَفِي سَنَدِهِ رَاوٍ ضَعِيفٌ وَذكره النقاش عَن بن عَبَّاسٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْبَاقِرِ وَابْنِهِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الصَّادِقِ
এই আয়াতে ‘নেক ইমানদার’ দ্বারা উদ্দেশ্য হযরত আলি রা. এরকম হাদিস বর্ণণা করেছেন
১. ইবনু আবি হাতিম, দূর্বল সনদে হযরত আলি রা. হতে
২.ইমাম তাবারি, দূর্বল সনদে মুজাহিদ হতে
৩.ইমাম ইবনু মারদাওয়াইয়াহ দুইটি দুর্বল সূত্রে হযরত আসমা বিনতে উমাইস হতে
৪.আবু মালিকের সূত্রে হযরত ইবনু আব্বাস রা. হতে
৫. নাক্কাশ বর্ণনা করেছেন স্বীয় সনদে ইবনু আব্বাস রা. হতে
৬. এবং নাক্কাশ হযরত ইমাম বাকির রা. ও ইমাম জা’ফর সাদিক্ব রা. হতে বর্ণনা করেছেন।
(ফতহুল বারী, ১০/৪২২ দারুল মা’আরিফাহ)
হাফেয ইবনু কাসির ‘১’ নং বর্ণনাটি উল্লেখ করে অত্যন্ত দ্বইফ এবং মুনকার ঘোষণা করেছেন বটে কিন্তু উনার বক্তব্য বাকি সাত-সাতটি সনদ দ্বারা নাকচ হয়। হাফিয ইবনু হাজারও এর বিরোধিতা করেন নি।
এই গেলো ক্বুরআন হতে সত্যায়ন। এরপর নবিজি ﷺ গাদীরে খুমে হযরত আলি রা. এর মুবারক হাত উঁচু করে তুলে ঘোষণা করেছেন। মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদিসে এসেছে নবি ﷺ বলেছেন ❝আমি যার মাওলা,আলি তার মাওলা।❞
এর যেসব অর্থ আহলুস সুন্নাহ গ্রহণ করে তা হলো
১।❝আমি যার বন্ধু,আলি তার বন্ধু।❞
২।❝আমি যার অভিভাবক,আলি তার অভিভাবক।❞
৩।❝আমি যার নেতা,আলি তার নেতা।❞
৪।❝আমি যার সাহায্যকারি,আলি তার সাহায্যকারি।❞
৫।❝আমি যার অতিনিকটভাজন,আলি তার অতিনিকটভাজন।❞
এর মধ্যে ৪ নম্বর টা নিয়ে অনেক দেওবন্দি বা বাতিলের সমস্যা থাকতে পারে। এসব ব্যাপারে বহু আগে আলোচনা করা হয়েছে। টীকা ১ দেখে নেওয়া যেতে পারে।
টীকা ১।সাহায্য প্রার্থনার বিধান
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে:—
১। হযরত ইবনে আব্বাস হতে, ইমাম হাকিম নিশাপুরীর ‘মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে, ৩/১৩৪, ৪৬৫২নং হা.
২। হযরত জাবির হতে, ইমাম ইবনে আবি শায়বাহর ‘আল-মুসান্নাফ’ গ্রন্থে, ১২/৫৯
৩। হযরত আবু আইয়ুব আনসারি হতে, ইমাম তাবারানির ‘মুজামুল কাবির’ এর ৪/১৭৩ পৃ.
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ غَنَّامٍ، ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ التُّسْتَرِيُّ، ثنا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ حَنَشِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: بَيْنَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَالِسٌ فِي الرَّحَبَةِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ وَعَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَايَ، فَقِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ، فَقَالَ: أَبُو أَيُّوبَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ
৪। হযরত বোরাইদাহ হতে, ইমাম আব্দির রাযযাক সান’আনি, ১১/২২৫ পৃ.
৫। হযরত হুবসা বিন জুনাদাহ, ইমাম ইবনু আসেম ‘আস-সুন্নাহ’ ৬০২পৃ.
৬। হযরত সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস হতে, তারিখে দামেষ্ক গ্রন্থে, ২০/১১৪ পৃ.
৭। বারা ইবনু আযিব রা. হতে ইমাম আহমদ সংকলন করেছেন, ‘ফাযাইলুস সাহাবা’ ১০১৬ নং হাদিস
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، نا عَفَّانُ قال: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: أنا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَنَزَلْنَا بِغَدِيرِ خُمٍّ، فَنُودِيَ فِينَا: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ، وَكُسِحَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ شَجَرَتَيْنِ، فَصَلَّى الظُّهْرَ وَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: فَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالِاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ»، قَالَ: فَلَقِيَهُ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ: هَنِيئًا لَكَ يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ وَأَمْسَيْتَ مَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ ”.(رقم الحديث: ١٠١٦، فضائل علي رضي الله عنه ، ٢/ ٥٩٦،ط: مؤسسة الرسالة بيروت
৯। মাওলা উসামা ইবনু যায়দ হতে বর্ণিত,
شرح أصول اعتقاد أهل السنة و الجماعة”میں ہے:
” أنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أنا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: نا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ، قَالَ: نا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: نا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: نا هِلَالُ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّمْلِيُّ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي بِسْطَامٍ مَوْلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ: أَرَأَيْتَ قَوْلَ النَّاسِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَقَعَ بَيْنَ أُسَامَةَ وَبَيْنَ عَلِيٍّ تَنَازُعٌ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «يَا عَلِيُّ، يَقُولُ هَذَا لِأُسَامَةَ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّهُ» . وَقَالَ لِأُسَامَةَ: «يَا أُسَامَةُ، يَقُولُ هَذَا لِعَلِيٍّ، فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ»”. (رقم الحديث: ٢٦٤٠، ٨/ ١٤٥٩، ط: دار طيبة)
সহ আরো অগণিত গ্রন্থের মধ্যে আলাদা আলাদা সনদে।
হযরত আলি كَـرَّم اَلـلَّـهُ تَبَـارَكْ وَتـَعٰالى وَجْهَـهُ الْكَـرِيْـمُ এর ‘মাওলাইয়ত’ প্রাপ্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাইয়্যিদুনা আমিরুল মু’মিনিন উমর ফারুক্ব عليه السلام. হাদিসে এসেছে, উনি বলেন
أصبحت مولاي ومولى كل مؤمن ومؤمنة
—❝আজ থেকে আপনি আমারও মাওলা হয়ে গেলেন। আপনি প্রত্যেক মু’মিন নর-নারীর মাওলা!❞
এটি বর্ণিত হয়েছে
১।হযরত আবু হুরাইরা হতে খতিবে বাগদাদি ‘তারিখে বাগদাদ’, ৮/২৯০পৃষ্ঠায় এনেছেন
২।হযরত আবু হুরাইরা হতে হাফিয ইবনু আসাকির ‘তারিখে দামেষ্ক’ গ্রন্থে ৪৫/১৭৬ পৃ.
৩।হযরত আবু হুরাইরা হতে হাফিয ইবনু কাসির ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ ৫/৪৬৪
৪।হযরত আবু সাইদ খুদরি হতে ইমাম তাবারানি ‘মুজামুল আওসাত’ এর ৩/২২৪পৃ. উল্লেখ করেছেন
৫। এভাবে বারা’ ইবনু আযিব, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং ইমাম যাইনুল আবিদিন হতেও অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে
৬। জুরজানি (৪৯৯হি.), কিতাবুল আমালি, ১২১২ নং হাদিস
সুতরাং বুঝা গেলো হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে ‘মাওলা’ বলে সম্বোধন করাটা রাসুলে পাক ﷺ এঁর সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত।
দেওবন্দিদের অন্যতম মারকায জামেয়াতুল উলুম ইসলামিয়া বিনূরি পাকিস্তান এর অফিশিয়াল ফতোয়ায়ও যেসব অর্থে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম’আহ হযরত আলিকে ‘মাওলা’ বলে সেগুলো জায়েয বলে ফতোয়া দিয়েছে।
যেমন ফতোয়া নং 143909201315 এ উল্লেখ আছে
رسولِ اکرم صلی اللہ علیہ وسلم نے حضرت علی کرم اللہ وجہہ کے لیے “مولا” کا لفظ محب، دوست اور محبوب کے معنی میں استعمال فرمایا ہے، اور یہی معنی صحابہ کرام رضوان اللہ علیہم اجمعین نے سمجھا تھا؛ لہذا حضرت علی کرم اللہ وجہہ کے لیے “مولا” کا لفظ اسی معنی میں استعمال
کرنا چاہیے
— ❝রাসুল ﷺ হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ব্যাপারে ‘মাওলা’ শব্দকে ‘প্রিয়তম’,’প্রিয়ভাজন’ এবং ‘বন্ধু’ হিসেবে প্রয়োগ করেছেন। এবং সাহাবায়ে কেরাম রা. গণও এই অর্থ নিয়েছেন। একারণে হযরত আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ব্যাপারে ‘মাওলা’ শব্দের ব্যবহার এসব অর্থে হওয়া চাই।❞
مولیٰ کا ایک معنی سردار بھی آتاہے، اس معنی کے اعتبار سے بھی “مولا علی” کہنا جائز ہوگا
— ‘মাওলা’ শব্দের এক অর্থ ‘নেতা’ ও হয়। এই অর্থে ‘মাওলা আলি’ বলা জায়েজ!
সুতরাং বুঝা গেলো ‘মাওলা আলী’ বলাটা সবক্ষেত্রেই নাজাইয নয়। এটা আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারীদের অন্যতম একটা নিদর্শন বটে!