মিশরের অধিবাসী এক যুবক। বয়স ত্রিশের কোঠায়। উজ্জ্বল ফর্সা গায়ের রং। এক হারা শরীরের গড়ন। শক্ত গাথুনী শরীরের। গাঢ় কালো চোখের তারায় হাসির ঝিলিক। প্রগাঢ় ব্যক্তিত্বের ছাপ তার চেহারায়। যে কোনো যুবতী এ যুবককে দেখলে প্রথম দেখাতেই আকৃষ্ট হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।
কিছুদিন পর যুবকের বিয়ে হলো। স্ত্রীর নাম মায়মুনা। বয়স বাইশ বছর। দেখতে বেশ সুন্দরী, রূপবতী। যে কোনো যুবকের পক্ষে মায়মুনার রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্য এড়িয়ে যাওয়ার মতো ছিলো না। তাছাড়া মায়মুনার তীক্ষ্ণ ধী, প্রখর দৃষ্টি ও বাচনভঙ্গি যে কোনো সুপুরুষকেই মায়ার বাধনে জড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো।
মায়মুনার স্বামীর নাম সালমান। সে দীর্ঘকাল যাবত হৃদয়ের মনিকোঠায় সযত্নে লালন করে আসছে একটি স্বপ্ন। বিবাহ ব্যতীত সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন মোটেও সম্ভব ছিলো না। তার স্বপ্ন হলো, তার ঔরসে একটি সুন্দর ফুটফুটে ছেলে জন্ম নিবে। আর সে ছেলের নাম রাখবে আহমদ। লোকজন তাকে ডাকবে আহমদের পিতা বলে।
দিন যায়। মাস যায়। অতিবাহিত হয় দাম্পত্য জীবনের মধুময় মুহূর্তগুলো। একদিন মায়মুনা হাসে। সেই হাসিতে কিসের যেন ইঙ্গিত। সালমান কারণ জানতে চায়। মায়মুনা বলে বোধ হয় আপনার স্বপ্ন গর্ভে ধারণ করেছি আমি ।
এরূপ একটি সংবাদের জন্যই প্রতীক্ষা করছিলো সালমান। স্ত্রীর কথায় তার হৃদয়ে এক অনাবিল শান্তির প্রলেপ ছোঁয়া দিয়ে যায়। দু চোখে খুশির উচ্ছ্বাস। হাস্য উচ্ছলতায় মুখমণ্ডল উদ্ভাসিত।
স্ত্রী গর্ভবর্তী। সালমানের জন্য এর চেয়ে বড় কোনো সুসংবাদ যেন হতে পারে না। গর্ভের সন্তান ছেলে বা মেয়ে, যে কোনোটি হতে পারে- আনন্দের আতিশয্যে সে কথা চিন্তা করারও অবসর পেলো না সালমান। উপরন্তু ঘরে বাইরে, বন্ধু মহলে সর্বত্রই নিজেকে আবু আহমদ বা আহমদের পিতা বলে প্রচার করতে লাগলো। ফলে অল্প দিনের মধ্যে সব খানে সে আবু আহমদ নামেই পরিচিতি লাভ করলো।
কয়েক মাস পর মায়মুনা একটি ফুটফুটে বাচ্চা জন্ম দিলো। তবে বাচ্চাটি ছেলে নয়, মেয়ে। এতে সালমান আশাহত হলেও আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট রইলো। আর পরবর্তী সন্তানটি ছেলে হবে এ আশায় আবু আহমদ নামটি জারি রাখলো।
দ্বিতীয় বছরের শেষ ভাগে আরেকটি সন্তান প্রসবের সময় হলো। সালমান ছেলে সন্তান লাভের প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে রইলো। কিন্তু এবারও তার আশা পূর্ণ হলো না। সন্তান জন্ম হওয়ার পর দেখা গেলো এটি কন্যা সন্তান, ছেলে সন্তান নয়।
পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় সালমান স্ত্রীর প্রতি বেশ অসন্তুষ্ট হলো। বললো, তুমি আমার সব আশা আকাঙ্খাকে মাটিতে মিশিয়ে দিলে। ধুলিসাৎ করে দিলে আমার স্বপ্ন সাধ। এভাবে আরো বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা বলে স্ত্রীকে তিরস্কার করতে লাগলো।
মায়মুনা ছিলো ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতা মেয়ে। সে ভালো করেই জানতো যে, সন্তান ছেলে বা মেয়ে হওয়ার পিছনে স্ত্রীর কোনো হাত নেই।যেমন হাত নেই স্বামীরও। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মহান কুদরতওয়ালা আল্লাহপাকের ইচ্ছা ও ইরাদার উপর মায়মুনা শুধু ইসলামি জ্ঞানেরই অধিকারী ছিলো না, ছিলো বুদ্ধিমতিও। তাই স্বামী যখন রাগের মাথায় বিভিন্ন ভাষায় তাকে তিরস্কার করছিলো, তখন সে একটি কথারও জবাব দেয় নি। নীরবে সবকিছু সহ্য করে নিয়েছে। পরে যখন স্বামীর রাগ চলে গেলো তখন এক সময় সুযোগ বুঝে বললো, দেখুন, ছেলে সন্তান জন্ম নেওয়া আল্লাহর হিকমত ও ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। এখানে স্বামী-স্ত্রীর সামান্যতম ভূমিকাও নেই। তাছাড়া পুত্ৰ যেমন পিতা-মাতার সন্তান তেমনি কন্যাও পিতা মাতারই সন্তান। উপরন্তু পবিত্র কুরআন ও হাদীসে পুত্র সন্তানের তুলনায় কন্যা সন্তানের অধিক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
যেমনঃ- (১) এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নারী ভাগ্যবতী হওয়ার প্রমাণ এই যে, তার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। এজন্য যে, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, “তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”
অত্র আয়াতে আল্লাহপাক কন্যাকে পুত্র সন্তানের আগে উল্লেখ করে তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
সালমান স্ত্রীর মুখ থেকে নিঃসৃত পবিত্র হাদীসগুলো মনোযোগ সহকারে শুনলো। এতে ফল এই দাঁড়ালো যে, মায়মুনার প্রতি তার যে রাগ ও গোস্বা ছিলো, যত ক্ষোভ ও আক্রোশ ছিলো সব পানির মতো ঠাণ্ডা হয়ে গেলো। ফলে মায়মুনাকে সে আগের মতোই ভালোবাসতে লাগলো ।
এরপর মায়মুনার তৃতীয় সন্তানটিও কন্যা হিসেবে জন্ম নিলো। এতে সালমানের রাগ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। হিতাহিত জ্ঞান হারালো। ভুলে গেলো কন্যা সম্পর্কিত হাদীসের ফজিলতপূর্ণ বাণীগুলো। ফলে মুখে যা এলো, মায়মুনাকে লক্ষ্য করে তাই সে অবলীলায় বলে ফেললো।
আসলে আল্লাহ তা’আলা সালমান- মায়মুনার এ ঘটনার মাধ্যমে গোটা বিশ্ববাসীকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। তাইতো দেখা যায় এরপর মায়মুনার চতুর্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ সন্তানটিও মেয়ে হয়েই জন্ম গ্রহণ করে। ফলে সালমান তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। ধারণ করে অগ্নিমূর্তি। এক কালে যে সালমান স্ত্রী ছাড়া কিছুই বুঝতো না, যে তার স্ত্রীকে গভীরভাবে ভালোবাসতো, আদর-স্নেহে সবসময় মাতিয়ে রাখতো সে সালমানই আজ নিদারুণ যন্ত্রণায় অতিষ্ট করে তুললো মায়মুনাকে। অত্যাচার নির্যাতন ও নির্মমতার স্টীম রোলার চালালো অসহায় এক নারীর উপর। শুধু তাই নয়, সে একথাও বলে ফেললো, যদি তুমি এরপর কন্যা সন্তান জন্ম দাও তবে তোমাকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে লাঞ্ছিত বের করে দিবো।
মায়মুনা এখন নিরুপায়। অসহায়। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপায়ে স্বামীকে বুঝাতে চেষ্টা করলো। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। তার এ সান্ত্বনাবাণী কিছুক্ষণের জন্য সালমানের রাগকে প্রশমিত করলে ও পরক্ষণেই তা আবার জেগে উঠতো। ফলে আবার শুরু হতো ভিরস্কার, অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতা।
ধৈর্যের পাহাড় মায়মুনা নিরুপায় হয়ে স্বামীর এসব যাতনা চোখ বুঝে সয়ে যাচ্ছে। কোনো প্রতিবাদ করছে না। শুধু রাতের শেষাংশে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে দু’হাত উপরে তুলে কেঁদে কেঁদে বলছে, ওগো দয়ার সাগর! তুমি এ বান্দীর উপর অসংখ্য অগণিত করুণা করেছো। তোমার দয়া আর রহমত ছাড়া আমার পক্ষে এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ওগো পরাক্রমশালী খোদা! তুমি তো আমার সব আশাই পূর্ণ করেছো। এবার আমার সর্বশেষ আশাটিও পূর্ণ করো। আমাকে মুক্তি দাও স্বামীর অত্যাচার থেকে। হয়তো পুত্র সন্তান দান করে; নয়তো অন্য কোনো উপায়ে। আমি কেবল স্বামীর নির্যাতন ও তিরস্কার থেকে নিষ্কৃতি চাই। অব্যাহতি চাই তার জুলুম থেকে। কিভাবে তুমি নিষ্কৃতি দিবে, কিভাবে তুমি আমার জীবনের সর্বশেষ আশাটি পূর্ণ করবে তা তুমিই ভালো জানো ।
এভাবে বেশ কিছুদিন দোয়া করার পর আল্লাহপাক মায়মুনার আহবানে সাড়া দিলেন। তার দোয়াকে কবুল করলেন। তবে পুত্র সন্তন দানের মাধ্যমে নয়, অন্য উপায়ে’ কুদরতের অপার কৌশলে। একদিন রাতে সালমান ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ সে স্বপ্নে দেখছে-
কিয়ামত কায়েম হয়ে গেছে। হাশরের ময়দানে বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক এক করে প্রতিটি মানুষ আল্লাহর সম্মুখে বিচারের কাঠগড়ায় দায়মান হচ্ছে। আল্লাহপাক ফয়সালা শুনাচ্ছেন। কারো জন্য মহা আনন্দের স্থান জান্নাতের ফয়সালা। আবার কারো জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির স্থান জাহান্নামের ফয়সালা। এভাবে যেতে যেতে এক সময় সালমানের ডাক এলো। সে বিচারের কাঠগাড়ায় দাঁড়ালো। মহা ক্ষমতাশালী আল্লাহ তার ব্যাপারে ফয়সালা দিলেন। বললেন, তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।
ফেরেশতারা নির্দেশ পালনের অপেক্ষায় ছিলো। আল্লাহর মুখ থেকে ফয়সালার বাণী শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সালমানকে টেনে হেঁচড়ে জাহান্নামের জ্বলন্ত অগ্নির দিয়ে নিয়ে চললো।
চলতে চলতে তারা যখন জাহান্নামের প্রথম দরজার সামনে গেলো তখন দেখলো, সালমানের প্রথম মেয়েটি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সে ফেরেশতাদের সম্বোধন করে বলছে, তোমরা আমার আব্বাকে জাহান্নামে ফেলতে পারবে না। তিনি আমাকে লালন পালন করেছেন, সুশিক্ষা দিয়েছেন, আদর স্নেহ দিয়ে বড় করে তুলেছেন।
মেয়েটির কথায় ফেরেশতারা সেখান থেকে চলে গেলো। এরপর সালমানকে নিয়ে জাহান্নামের দ্বিতীয় দরজার সামনে উপস্থিত হলো। সেখানে দেখা গেলো, দ্বিতীয় মেয়েটি আগেই সেখানে গিয়ে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে বারবার ঐ কথাই বলছে, যে কথা বলে ছিলো প্রথম মেয়েটি। ফলে ফেরেশতাগণ সে দরজা দিয়েও সালমানকে জাহান্নামে ফেলতে পারলো না।
অতঃপর তারা তাকে নিয়ে পর্যায়ক্রমে জাহান্নামের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ দরজায় উপনীত হলো। কিন্তু সেখানেও ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ মেয়ের বাধার কারণে তাদের উদ্দেশ্য সফল হলো না।
সবশেষে ফেরেশতারা সালমানকে নিয়ে দোজখের সপ্তম দরজায় উপনীত হয়। কিন্তু সেখানে কোনো বাধা না থাকায় ফেরেশতারা সালমানকে দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে জাহান্নামের আগুনের দিকে ঠেলে দিতে থাকে। এতে সালমান ঘুমের মধ্যেই আগুন আগুন বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। তার এই চিৎকার এতোই বিকট ছিলো যে, ঘরের সকল মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠে। এমনকি বাড়ির আশে পাশের লোকজন পর্যন্ত বাড়িতে আগুন লেগেছে ভেবে দৌড়ে এসে জড়ো হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত লোকজন যখন দেখলো, বাড়ির কোথাও আগুনের চিহ্নমাত্র নেই, সালমান দুঃস্বপ্ন দেখে এভাবে চিৎকার করে উঠেছে, তখন তারা সবাই যার যার পথে চলে গেছে। মেয়েরাও শুয়ে পড়েছে যার যার বিছানায় ।
এদিকে সালমানের চোখে পুনরায় ঘুম এলো না। সে অনেক চেষ্টা করেও দু’চোখের পাতা একত্রিত করতে পারলো না। অবশেষে মায়মুনার কাছে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বললো, প্রিয়তমা! তোমার সপ্তম সন্তানটিও কিন্তু মেয়েই জন্ম দিতে হবে।
স্বামীর কথায় স্ত্রী অবাক হলো। সে বললো, কেন? কি হয়েছে? যেখানে একটি পুত্র সন্তানের জন্য আপনি আমাকে কত তিরস্কার করেছেন, কত জুলুম নির্যাতন চালিয়েছেন, কত মারপিট করেছেন এখন আবার কি হলো যে, আপনি পুত্র সন্তানের কথা না বলে কন্যা সন্তানের আবদার করছেন।
স্ত্রীর কথায় সালমান তাকে আরো কাছে টেনে নিলো। তারপর স্বপ্নে দেখা পুরো ঘটনা তাকে বর্ণনা করে শোনালো। অতঃপর বললো, মায়মুনা ! আমি না বুঝে তোমার উপর অনেক অত্যাচার করেছি। নির্যাতন চালিয়েছি। আমি চরম অপরাধী। অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা করে দাও ।
মায়মুনা বললো, আমি জানতাম পুত্র লাভের অন্ধ প্রত্যাশায় আপনি এরূপ করছেন। আমার বিশ্বাস ছিলো, একদিন আপনার এ ভুল ভাঙ্গবেই । এজন্য আমি অনেক চোখের পানি ফেলেছি। কায়মনোবাক্যে খোদার দরবারে প্রার্থনা । আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানিয়েছি। আল্লাহর হাজার শোকর যে, তিনি আমার মতো এক অধম বান্দীর দোয়া কবুল করেছেন। স্বপ্নের মাধ্যমে তিনি আপনাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছেন। এবার বুঝতে পেরেছেন তো, কন্যা সন্তানের মূল্য? দেখলেন তো, কন্যা সন্তান কী কাজে আসে?
সালমান বললো, হ্যাঁ বুঝেছি, দেখেছি। আমার এ ভুল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য আমিও মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা! আলোচ্য ঘটনা ও বর্ণিত হাদীসসমূহ থেকে আমরা এ শিক্ষাই গ্রহণ করতে পারি যে, কন্যা সন্তান জন্ম হলে কিছুতেই নাখোশ কিংবা নারাজ হওয়া উচিত নয়। বরং কন্যা সন্তানকে মহাপরাক্রমশালী রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে ফজিলত লাভের একটি বিশেষ অসিলা মনে করে আনন্দিত হওয়া প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য। আর লালন পালনের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের মাঝে পার্থক্য করা, দু চোখা নীতি অবলম্বন কখনোই সমীচীন নয়। হাদীসের বর্ণিত অসংখ্য মর্যাদা ও নেয়ামত লাভের আশায় ছেলের তুলনায় মেয়ের প্রতি অধিক যত্নবান হওয়াই বাঞ্ছনীয়। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করো। আমীন ।