বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কিছু আয়াত ও দোয়াবিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত দূর করার আমলদোয়া: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِم ِينَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জ্বালিমীন।অর্থ: আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৭ফজিলতক. এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেচ উনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদের ও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৮খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থ াকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি: ৩৫০৫গ. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভা ই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মাঝের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্র তি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা ত ার ডাকে সাড়া দিবেন। -কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮আমল: কঠিন বালা-মুসিবত দূর করার জন্য বর্ণিত দোয়া বা আয়াতটি এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঠ করে আল্লা হর কাছে দোয়া করলে, ওই দোয়া হয়।শিশুর জিদ দূর করার আমলদোয়া:أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّ مَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ
উচ্চারণ: আফাগাইরা দীনিল্লাহি ইয়াবগুনা ওয়াল াহু আসলামা মান ফিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি তাউআ উ ওয়া কারহান; ওয়া ইলাইহি ইয়ুরজাঊন।অর্থ: তারা কি আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থার পরি বর্তে অন্য জীবন ব্যবস্থা তালাশ খ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় হো ক বা অনিচ্ছায় হোক তার অনুগত হবে। সবাই তার কাছে ফিরে যাবে। -সূরা আল ইমরান: ৮৩ফজিলত: যে ব্যক্তির সন্তান বা প্রাণী তাকে কষ্ট দ েয়, সে যেন তার কানে সূরা আল ইমরানের ৮৩ নং আয়াত পড়ে। -আল মুজামুল আউসাত লিত্ তাবারানি: ৬৪আমল: কথা না মানলে প্রতিদিন ৭ বার সনে িভাগের চুলে হাত রেখে এ আয়াতখানা পাঠ করে তার ঝ ারা ও কানে ফুঁ দিলে- জিদ কমে আসে। এ আমল নূন্যতম ২১ দিন লাগাতার করতে হয়।শ্রেষ্ঠ দোয়াদোয়া:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্ , ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা আল বাকারা: ২০১ৎফজিলত: এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থা কে। He isবিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি হজরত আ নাসকে (রা) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা) বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি হজরত আনাস (রা.) উপরোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই হজরত আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দো য়াতে এই আয়াতকে প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি তাকে এ দোয় া দিতেন। -সহিহ মুসলিম: ৭০১৬হজরত আনাস (রা) দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ ও জাহান্নাম থেক ে পরিত্রাণের প্রার্থনা একত্রিত করে দিয়েছেন।দ্বীনদার স্ত্রী লাভের আমলদোয়া:
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ عْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًاউচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।অর্থ: হে আমার প্রভু! স্ত্রী ও সন্তাদের দ্বারা আমার চোখ শীতল কর। আমাকে পরহেজগারদের আদর্শ কর। -সূরা ফোরকান: ৭৪আমল: যারা বিয়ে করেননি তারা প্রত্যেক নামাজের (ত া ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল যে কোনো নামাজ (হোক) বৈঠকে দোয়ায়ে মাছূরা পড়ার পর কোরআনে বর্ণিত এ ই আয়াতখানা পাঠ করে সালাম ফিরাবেন। বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভা বে এ আমল করলে আশা করা যায়, আল্লাহভক্ত দ্বীনদার, পরহেজগার ও আদর্শ স্ত্রী জুটবে।আর যারা বিয়ে করেছেন তারা স্ত্রী ও সন্তানদের দ ্বীনদার করার জন্য, তাদের আদর্শবান করে গড়ে তোলা র জন্য- প্রতিবার দোয়ায় এ আয়াত আয়াত পাঠ করলে বিশেষ উপকার লাভ হয়।রিজিক বৃদ্ধির আমলদোয়া: اللَّهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِي ُّ الْعَزِيزُ
উচ্চারণ: আল্লাহু লাতীফুম্ বি-ইবাদিহি ইয়ারজুক ূঅর্থ: আল্লাহতায়ালা নিজের বান্দাদের প্রতি মেহ েরবান। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। -সূরা শুরা: ১৯আমল: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়বে, সে সর্বদা রিজি কের সঙ্কট থেকে হেফাজতে থাকবে।স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আমলস্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থ ীকেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর সূরা আলাম নাশরাহ পড়ে তার hers বুকে ফুঁ দিবে। সূরা পাঠ করার শুরু ও শেষে একবার করে দরূদ শরিফ প ড়বে। যদি শিক্ষার্থী সমঝদার হয়, তবে প্রতিবার পড়তে বসার সময়, প্রত্যেক ক্লাসের শুরুতে, শিক্ষার প্র তিটি আসরের শুরুতে আগে-পরে দরূদ শরিফসহ এ সূরা ়ড় ে her নিজের বুকে ফুঁ দিবে। যে নিয়মিত এ আমল করবে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতি শক্তি বাড়বে।
বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কিছু আয়াত ও দোয়া
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।